- Home
- Entertainment
- Bengali Cinema
- চলচ্চিত্র জগতে যে মায়েরা সুপারস্টার, পরিবার-সিনেমা ব্যালেন্স করেই করেছেন বাজিমাত
চলচ্চিত্র জগতে যে মায়েরা সুপারস্টার, পরিবার-সিনেমা ব্যালেন্স করেই করেছেন বাজিমাত
- FB
- TW
- Linkdin
সুচিত্রা সেনঃ বাংলা চলচ্চিত্র জগতের কালজয়ী ছবি মানেই তা উত্তম সূচিত্রা। সেই স্টারডাম ধরে রাখার পাশাপাশি পরিবারও সামলাতে দক্ষ ছিলেন তিনি। শ্যুটিং-এর হাজারো ব্যস্ততার মাঝে তিনি একমাত্র মেয়ে মুনমুন-কে বড় করেছিলেন। মুনমুন টলিউডে পরবর্তীতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী হিসেবে প্রমাণ করেন।
অপর্ণা সেন- ভারতীয় চলচ্চিত্রের এক অন্যতম নাম। বাংলা ছবিতে নিজেকে এক অন্যমাত্রায় নিয়ে গিয়েছেন অপর্ণা। সত্যজিৎ রায়ের হাত ধরে অভিনয়ে আসা। এরপর বাংলা ছবির সর্বকালের সেরাদের মধ্যে নিজেকে তুলে নিয়ে গিয়েছেন তিনি। এহেন অপর্ণা সেনও তাঁর শত ব্যস্ততার মাঝে দুই কন্যা সন্তানকে সমান নজরে মানুষ করেছিলেন। এরমধ্যে এক কন্যার নাম কঙ্কণা সেনশর্মা। যিনি বাংলা ও হিন্দি ছবির এক জনপ্রিয় অভিনেত্রীও বটে।
মুনমুন সেন- বাংলা ছবির মহানায়িকার মেয়ে। এহেন পারিবারিক ঐতিহ্যের অধিকারীনি মুনমুন-ও যে সিনেমায় আসবেন এটাই প্রত্যাশিত। তারপরে তাঁর গ্ল্যামারের বিচ্ছুরণ তো বাংলা থেকে মুম্বই সবাই-কে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল একটা সময়। অভিনয়ের এই ব্যস্ততার মাঝেই দুই কন্যা সন্তানের জননী হয়েছিলেন মুনমুন। এঁদের একজন রিয়া ও অন্যজন রাইমা। দুই সন্তান-ই মাকে আদর্শ করে গ্ল্যামার জগতকেই নিজের কেরিয়ার করেছেন। রিয়ার বেশিরভাগ কাজকর্ম মডেলিং হয়ে থাকলেও, বলিউডে বহু ছবিতে নায়িকা হিসাবে কাজ করেছেন। রাইমা আবার পুরোপুরি অভিনয়েই নিবেদিত। বাংলা এবং হিন্দি ছবি- দুটোর কাজই সমান দক্ষতায় সামলান তিনি।
মাধবী মুখোপাধ্যায়- বাংলা ছবির চারুলতা তিনি। একটা সময় বাংলা চলচ্চিত্রের শীর্ষ নায়িকাদের একজন। কিন্তু কেরিয়ারের চাপে সংসার ধর্মটা ভোলেননি তিনি। একজন মা হিসাবে যথাযথভাবেই অভিনয়ের সঙ্গে সঙ্গে দুই সন্তানকে মানুষ করেছেন।
শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়- বাংলা চলচ্চিত্রে এই মুহূর্তে জনপ্রিয় নায়িকাদের অন্যতম তিনি। মাত্র ১৬ বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন শ্রাবন্তী। এরপর তিনি এক পুত্র সন্তানের মা হন। বিয়ের সময় থেকে সন্তান হওয়ার পরও বেশকিছুদিন ইন্ডাস্ট্রি থেকে দূরে ছিলেন তিনি। পরবর্তী সময়ে পুত্র সন্তান ঝিনুককে সামলেই অভিনয়ে কামব্যাক ঘটিয়েছিলেন শ্রাবন্তী। সবচেয়ে বড় কথা মা-হওয়ার পরও বাংলা চলচ্চিত্রে নায়িকা হিসাবে নিজেকে জনপ্রিয় করতে বেগ পেতে হয়নি শ্রাবন্তীকে। পুত্র সন্তান এবং কাজ দুটোই ভালো সামলান শ্রাবন্তী।
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তঃ ১৯৮৯ সালে প্রথম অভিনয় জগতে পা রেখেছিলেন তিনি। নব্বই-এর দশকে বাংলা চলচ্চিত্রে নিজেকে এক নম্বর নায়িকা হয়ে ওঠেন। ফিল্মি কেরিয়ারের সঙ্গে সঙ্গে সংসার সামলাতেও সিদ্ধহস্ত ঋতুপর্ণা। শত ব্যস্ততার মাঝেই দুই সন্তান-কে মানুষ করছেন তিনি। বর্তমানে সপরিবারে সিঙ্গাপুরে সংসার পেতেছেন তিনি। সেখান থেকেই চলচ্চিত্র জগতে নিজের সংযোগ রক্ষা করে চলেছেন ঋতুপর্ণা।
অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়- একটা সময় ঋতুপর্ণ ঘোষের হাত ধরে বাংলা ছবিতে একটা সম্ভাবনাময় নাম হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু, প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগেই বাংলা ছবির এক নম্বর তারকা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। মাঝে বেশ কয়েকটা বছর অভিনয় থেকে দূরে থাকলেও তা স্থায়ী হয়নি। পুত্র সন্তান একটু বড় হতেই ফের অভিনয়ে ফিরে আসেন অর্পিতা। তিনি যে কত বড় অভিনেত্রী তা এরপর ভালোই বুঝিয়েছেন। বাংলা ছবিতে অর্পিতা এখনও একজন নামী তারকা হিসাবেই গণ্য হন। অভিনয়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজের প্রোডাকশন কোম্পানিও সামলান। এরসঙ্গে রয়েছে সংসার সামলানোও। ছুটির দিনগুলিতে স্বামীকে লুচি করে খাওয়াতেও ভালোবাসেন। এছাড়াও ছেলে বোর্ডিং স্কুল থেকে ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরলে তো আর কথাই নেই। তখন একজন শতব্যস্ত মা-এর মতোই সবভুলে ছেলের প্রতিটি মুহূর্তকে স্মরণীয় করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়- অভিনয়ে প্রথম আবির্ভাব টেলিভিশনের পর্দায়। কিন্তু, বাংলা চলচ্চিত্র মহলের বুঝতে দেরি হয়নি যে স্বস্তিকা বড় পর্দা-র মেটেরিয়াল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজের অভিনয় দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন স্বস্তিকা। বাংলা ছবির সঙ্গে সঙ্গে তিনি হিন্দি ছবিরও কাজ করেছেন। বাংলায় সাহসী এবং একজন সুদক্ষ অভিনেত্রী হিসাবে তাঁর নাম। অভিনয়ের আসার আগেই মাতৃত্বের স্বাদ পেয়েছিলেন স্বস্তিকা। ফিল্মি কেরিয়ারের সঙ্গে সঙ্গে তিনি সন্তানকেও সমান নজর দিয়ে বড় করেছেন।