ভুয়ো কল সেন্টার থেকে আয় হতো লক্ষ লক্ষ টাকা, কোথায় লুকিয়ে রাখত সাগ্নিক? খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ

পল্লবী দে-র মৃত্যুর পর থেকেই তার লিভ-ইন পার্টনার সাগ্নিক কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছে। আইনি জটিলতায় ক্রমশ জড়িয়ে পড়ছে সাগ্নিক। একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের হাতে আসছে।   পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাগ্নিকের মাসিক আয় প্রায় ২০ হাজার টাকা। কিন্তু এই সামান্য় মাইনের চাকরিতেই বিলাসবহুল জীবনযাপন করত সে। লাখ লাখ টাকা থেকে অডি গাড়ি কী ছিল না সাগ্নিকের। কিন্তু এত টাকা কে দিত সাগ্নিককে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছে নিউ টাউনে একটি কল সেন্টার চালাতেন সাগ্নিক।  পুলিশ জানিয়েছে, ওই কল সেন্টারটিও ভুয়ো ছিল। এবং সেখান থেকে লাখ লাখ টাকা আয় হতো সাগ্নিকের। সেখান থেকে আয়ের বিপুল পরিমাণ টাকা দিয়ে বিলাসবহুল জীবন কাটাত সাগ্নিক। ভুয়ো কল সেন্টারের থেকে যে অর্থ উপার্জন করত সাগ্নিক তা কোথায় রাখত,তারই খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।

রবিবার সকাল ৯ টা ৫০ মিনিটে গড়ফার ফ্ল্যাটে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় পল্লবীর নিথর দেহ। মৃত্যুর পর কোনও সুইসাইড নোট  উদ্ধার হয়নি অভিনেত্রীর ফ্ল্যাট থেকে। পল্লবীর আকস্মিক মৃত্যুকে খুন বলে দাবি করছেন প্রয়াত অভিনেত্রীর বাবা। তবে পল্লবীর রহস্য মৃত্যুতে সন্দেহের তির তার  লিভ-ইন পার্টনারের দিকে। 

পল্লবীর মৃত্যুর পর থেকেই কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছে তার প্রেমিক সাগ্নিক চক্রবর্তী। খুন থেকে প্রতারণা সহ একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে সাগ্নিকের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি চরিত্র নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছে পল্লবীর পরিবার।  মেয়ের উপর শারীরিক নির্যাতন চালাত সাগ্নিক. গায়ে হাত দিত এই অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 

পল্লবীর রহস্য মৃত্যুতে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে প্রয়াত অভিনেত্রীর লিভ-ইন পার্টনার সাগ্নিক চক্রবর্তীকে। ৯ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ  দিয়েছে আলিপুর আদালত। অভিনেত্রীর লিভ-ইন পার্টনারকে আগামী ২৬ শে মে পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে থাকতে হবে। খুন, আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে দায়ের হয়েছে সাগ্নিকের নামে। তারপর থেকেই লাগাতার জেরা করেই চলেছে পুলিশ। 

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাগ্নিকের মাসিক আয় প্রায় ২০ হাজার টাকা। কিন্তু এই সামান্য় মাইনের চাকরিতেই বিলাসবহুল জীবনযাপন করত সে। লাখ লাখ টাকার উপহার থেকে অডি গাড়ি কী ছিল না সাগ্নিকের। কিন্তু এত টাকা কে দিত সাগ্নিককে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এমন কী কাজ করতেন যে এত বিলাসবহুল জীবনযাপন করত সাগ্নিক। 

তদন্তকারীরা জানতে পেরেছে নিউ টাউনে একটি কল সেন্টার চালাতেন সাগ্নিক।  এবং সেই কল সেন্টারের আদৌ কোনও বৈধ কাগজ আছে কিনা কিংবা কী ধরনেরই বা কাজ হতো সেখানে তাও খতিয়ে দেখা হয়েছে। কল সেন্টার নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই কল সেন্টারটিও ভুয়ো ছিল। এবং সেখান থেকে লাখ লাখ টাকা আয় হতো সাগ্নিকের। সেখান থেকে আয়ের বিপুল পরিমাণ টাকা দিয়ে বিলাসবহুল জীবন কাটাত সাগ্নিক। ভুয়ো কল সেন্টারের থেকে যে অর্থ উপার্জন করত সাগ্নিক তা কোথায় রাখত,তারই খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই কল সেন্টারটিও ভুয়ো ছিল। এবং সেখান থেকে লাখ লাখ টাকা আয় হতো সাগ্নিকের। সেখান থেকে আয়ের বিপুল পরিমাণ টাকা দিয়ে বিলাসবহুল জীবন কাটাত সাগ্নিক। ভুয়ো কল সেন্টারের থেকে যে অর্থ উপার্জন করত সাগ্নিক তা কোথায় রাখত,তারই খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।

সাগ্নিকের মা আরও জানান রাজারহাটে যে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কেনার প্রসঙ্গ উঠে আসছে সেটিতেও আমরা সাগ্নিককে টাকা দিয়ে সাহায্য করেছি। ওই ফ্ল্যাটের জন্য কোনও টাকাই পল্লবী দেয়নি। বরং ৪৩ লক্ষ টাকা নগদ ও বাকি টাকা লোন নিয়েই এই ফ্ল্যাট কেনা হয়েছে। তবে নিউটাউনের ফ্ল্যাট কিনতে দুটি সম্পত্তি বিক্রি করেছে সাগ্নিকের পরিবার, তারও খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।

নিউ টাউনের সেই আবাসনের  প্রোমোটারদের সঙ্গেও যোগাযোগ করবে পুলিশ তাও জানা গেছে। সাগ্নিকের পরিবারও জানতেন না তাদের ছেলে কী কাজ করে। শুধু অনলাইনে কাজ করে এটাই বলেছিলেন তারা। তবে তদন্তে নেমে একাধিক নতুন তথ্যা ফাঁস হতে থাকে।

তদন্তকারীরা জানান, সাগ্নিকের লাখ লাখ টাকা আয়ের মূল উৎসই ছিল রাজারহাটের ভুয়ো কল সেন্টার। সেখান থেকে রোজগারের টাকাই দেদার খরচ করতেন সাগ্নিক। তবে এত টাকা কোথায় রাখত সাগ্নিক, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

ভুয়ো কল সেন্টারের নগদ টাকা খরচ করেই কি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন সাগ্নিক। ইতিমধ্যেই তিনটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পাওয়া গেছে। তবে পল্লবীর অ্যাকাউন্টেও সেখান থেকে টাকা গিয়েছে বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। আপতত পল্লবীর ব্যাঙ্ক ডিটেলসও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।