- Home
- Entertainment
- Bengali Cinema
- অভাবের মধ্যেই পথের পাঁচালীর স্বপ্ন বোনা, কোনও চিত্রনাট্য ছাড়াই চলেছিল শ্যুট, গল্পে নেই যে অংশের ছাপ
অভাবের মধ্যেই পথের পাঁচালীর স্বপ্ন বোনা, কোনও চিত্রনাট্য ছাড়াই চলেছিল শ্যুট, গল্পে নেই যে অংশের ছাপ
এভাবেও যে ছবি করা যায়, সেই দৃষ্টি সত্যজিৎ রায়ের খুলে গিয়েছিল বিদেশ সফরে। ছবি মানেই যে তাকে হতে হবে সুন্দর, সতেজ ও রূপকথা, এমনটা নয়। বাস্তবচিত্রও দর্শকদের সামনে তুলে ধরা যেতে পারে। ইতালির নয়াবাস্তববাদই ছবি পরিচালকের সেই মুহূর্তের মূল মন্ত্র। বাই সাইকেল থিপ থেকেই ভাবনা জন্মেছিল তৈরি করবেন পথের পাঁচালী।
- FB
- TW
- Linkdin
অবলম্বনে নির্মিত এই ছবিটি সত্যজিৎ রায়ের পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র। ১৯৫৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল এই ছবি।
কম খরচে, অনভিজ্ঞ শিল্পীদের নিয়ে তৈরি হয়েছিল এই ছবি। তবে ছবির সঙ্গে গল্পের বেশ কিছু জায়গায় ছিল অমিল।
গল্পের বেশ কিছু অংশ হুবহু তুলে ধরেননি সত্যজিৎ রায়। পথের পাঁচালী গল্পের জন্য কোনও চিত্রনাট্য লেখাই হয়নি।
বেশ কয়েকটি ছোট ছোট টিকা আর তাঁর আঁকা কয়েকটি ছবি দিয়ে তৈরি হয়েছিল এই সিনেমা। তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন বেশ কিছু অংশ তিনি বদলে দিয়েছিলেন ছবিতে। বেশ কয়েকটি চরিত্রকে সত্যজিৎ রায় রাখেননি ছবিতে।
উপন্যাসের শুরুর দিকেই গ্রামের মন্দিরে সকলের সামনেই ইন্দির ঠাকরুণের মৃত্যু ঘটে। তা দিয়েই শুরু হয়েছিল গল্প। কিন্তু চলচ্চিত্রে অপু ও দুর্গা তার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
চলচ্চিত্রের অপু ও দুর্গার ট্রেন দেখার জন্য দৌড়নোর দৃশ্যটিও উপন্যাসে নেই। কিন্তু ছবিকে এক অনবদ্য ফ্রেমে বাঁধতে এই দৃশ্য রেখেছিলেন পরিচালক।
বর্ষায় ভিজে প্রচণ্ড জ্বর বাঁধিয়ে দুর্গার মৃত্যু ঘটে বলে চলচ্চিত্রে দেখানো হয়। তবে উপন্যাসে মৃত্যুর কারণ অজানাই রাখা হয়েছে।
হরিহর রায়ের পরিবারের গ্রাম ত্যাগ দিয়ে চলচ্চিত্র শেষ হলেও উপন্যাস সেই ভাবে শেষ হয়নি। তবে সবটাই সত্যজিৎ রায় করেছিলেন ছবির স্বার্থে।
পরবর্তীতে পথের পাঁচালীর হয়ে লিখতে গিয়ে সবটাই তুলে ধরেছিলেন পরিচালক। এই কালজয়ী ছবি তৈরি করতে পরিচালকের লেগেছিল মোটের ওপর তিন বছর।