- Home
- Entertainment
- Bengali Cinema
- গাঙ্গুলি পরিবার মেতে উঠল হোলির আনন্দে, রইল কড়ি খেলার স্পেশ্যাল এপিসোডের চমক
গাঙ্গুলি পরিবার মেতে উঠল হোলির আনন্দে, রইল কড়ি খেলার স্পেশ্যাল এপিসোডের চমক
- FB
- TW
- Linkdin
হোলির (Holi) প্রস্তুতি বেশ কিছুদিন আগেই শুরু করে দিয়েছে গাঙ্গুলি পরিবার। পারমিতা, অনু, শুভ্রা সকলে মিলে রং কিনে এনেছে। বাড়িতে তৈরি হয়েছে নানা রকম মিষ্টি। সাজানো হয়েছে বাগান। সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ঘনিষ্ঠদের। নাচ, গান, খাওয়া-দাওয়া ও আনন্দের মধ্যে হোলি উদযাপনে ব্যস্ত পুরো পরিবারে।
হোলিতে পারমফর্ম (Perform) করতে দেখা যাবে পারমিতাকে। তাঁর সঙ্গে যোগ দেবেন অপূর্ব। গান গাইবে, পারমিতার দেওর ও জা। এমনকী, পারমফর্ম করবেন অনুও। আনন্দ থেকে বাদ পড়েননি পারমিতার দেওর অনি। হোলির রঙ, যাতে তার জীবনে আনন্দ নিয়ে আসে, তারই আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে পারমিতা। এই সবই এক ফুটে উঠতে চলেছে হোলি স্পেশ্যাল এপিসোডে (Special Episode)।
জি বাংলার বেশ জনপ্রিয় সিরিয়াল (Serial) হল কড়ি খেলা। গল্পের কেন্দ্রে অপূর্ব ও পারমিতার জীবন নিয়ে। গল্পের শুরুতে দেখা যায়, অপূর্ব একটি নামী প্রকাশনী সংস্থার মালিক। আর পারমিতা কেক তৈরি করে। অপূর্বর দুই মেয়ে আছে। কিন্তু এক দুর্ঘটনায় তাঁর স্ত্রী মারা যায়। দুজনকে একাই মানুষ করে সে।
অন্য দিকে, পারমিতা তাঁর এক ছেলে আর শাশুড়িকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকে। তাঁরা আসানসলের বাসিন্দা। বরের কর্মসূত্রে কলকাতা এসেছিল। কিন্তু, এক দুর্ঘটনায় তাঁর স্বামী গত হয়। এরপর থেকে সে একাই তাঁর ছেলে ও শাশুড়িকে নিয়ে থাকে। শাশুড়ির পেনসন আর তাঁর কেকের ব্যবসা, নিয়ে ভালোই স্বচ্ছন্দ্যে কাটছিল তাঁদের জীবন।
এদিকে পারমিতার ছেলে কুট্টুস আর অপূর্বর ছোট মেয়ে গুঞ্জা এখই স্কুলে পড়ে। দুজনে ভালোই বন্ধু। ঘটনাচক্রে মা-হারা গুঞ্জা পারমিতার মধ্যে নিদের মাকে খুঁজে পায়। আর কুট্টুস অপূর্বর মধ্যে তার বাবাকে দেখে। গুঞ্জা ও কুট্টুসের জন্য পারমিতা ও অপূর্ব বিয়ে করবে বলে স্থির করে।
নানান টাল বাহানার পর চার হাত এক হয়। তবে, এই বয়সে অনুষ্ঠান করে নয়, বরং পরিবারের উপস্থিতিতে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ (Marriage) করেন তাঁরা। বিয়ের পর ছেলে কুট্টুসে নিয়ে অপূর্বর বাড়িতে আসেন পারমিতা। শুরুতে সব এতটাও সহজ ছিল না। অপূর্বের মা কিছুতেই মেনে নিতে চাননি পারমিতাকে।
অপূর্বর বড় মেয়ে শ্রীজা তাঁর মায়ের জায়গায় পারমিতাকে দিতে নারাজ ছিল। প্রথম থেকেই তার কাছে পারমিতা ছিল সৎ মা। ধীরে ধীরে বহু সমস্যার পর তাদের সম্পর্কের উন্নতি হয়। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পারমিতা অপূর্বর বাড়ির সকলের মন জয় করে নিয়েছিল। এমনকী, তাঁর ও অপূর্বর মধ্যেও তৈরি হচ্ছিল ভালোবাসা।
এরই মাঝে বাধ সাঁধে পারমিতার আগের স্বামী। হঠাৎ সে জানতে পারে, দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়নি তাঁর আগের স্বামীর। সে স্মৃতি হারিয়ে বহু বছর অন্য জায়গায় ছিল। হঠাৎ-ই সে ফিরে আসে। আর পারমিতা ও অপূর্বর সংসার দেখে তা সহজে মেনে নিতে পারেনি। কুট্টুসের অভিভাবকত্ব দাবি করে। এই নিয়ে চলে বিস্তর সমস্যা।
পারমিতার সাজানো সংসার ভাঙতে উঠে পড়ে লাগে তাঁর প্রাক্তন স্বামী। এমনকী, কুট্টুসকে ভয়ও দেখায়। শেষে জয় হয় সত্যের। এদিকে অপূর্বের প্রথম পক্ষের স্ত্রীর অনু অপূর্বর বাড়িতেই থাকেন। সেই অনু স্থানীয় এলএলএ-র সঙ্গে সমস্যায় পড়ায়। রাস্তায় অনু একবার তাঁকে অপমান করে। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিল ছেলেটি। সেই সময় অনু ও পারমিতাকে প্রায় ধাক্কা দিতে যায়।
তাঁর এই ভুল পদক্ষেপের প্রতিবাদ করে অনু। যাতে খুবই অপমানিত হন সেই এলএলএ-র ছেলে। সে এখন মেতে উঠেছে প্রতিশোধ নিতে। যা সম্প্রতি দেখানো হচ্ছে সিরিয়ালে। এদিকে সদ্য হোলির উৎসবে মেতেছেন তাঁরা। রং, খাবার, মিষ্টি এমনকী, ভানেরও আয়োজন করা হয়েছে। নাচ, গান, আনন্দ- এর রাশ নতুনত্ব নিয়ে আসছে হোলি স্পেশ্যাল এপিসোড।