সইফ-অমৃতার শেষ দেখা, কী ঘটেছিল সেই দিন, রহস্য ফাঁস সারার
- FB
- TW
- Linkdin
বয়স মাত্র ২০। প্রেম থেকে বিবাহের সম্পর্কে এত ছোট বয়সে বোধহয় সইফই প্রথম পা দিয়েছিলেন। তারপর ২সন্তানের বাবা হয়েও সেই পুরোনা সম্পর্ক টেকাতে পারেননি নবাব পুত্র। অচিরেই কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়ে দাড়ি টেনেছিলেন সইফ।
লকডাউনের মধ্যেও সইফ-অমৃতার বিবাহবিচ্ছেদের খবর নিয়ে ফের সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া।
সম্প্রতি বেশ কয়েক বছর আগে করণ জোহরের চ্যাট শো-তে এসে নিজের বাবা ও মায়ের সম্পর্ক নিয়ে গোপন তথ্য ফাঁস করেছিলেন সারা আলি খান।
শো-চলাকালীন সারা জানিয়েছিলেন, বাবা ও মায়ের শেষ সফরের কথা। শুধু তাই নয়, সারার সঙ্গে সেই শো-তে হাজির ছিলেন সইফও। সারার এই কথাগুলি শুনে রীতিমতো হতাবাক হয়ে গেছিলেন সইফ আলি খানও।
বিয়ের ১৩ বছর পর সইফ অমৃতা আলাদা হয়ে গেলেও একা হাতেই পুরো যত্নের সঙ্গে সন্তানদের মানুষ করেছেন অমৃতা সিং। যদিও বিচ্ছেদ সঙ্গে সন্তানদের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক ছিল সইফের।
সারা জানিয়েছেন, বাবা যখন আমাকে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেড়ে যেতে এসেছিলেন তখনও মা সঙ্গে ছিলেন। তিনজনে মিলে নিউইয়র্কে ডিনারও করেছিলাম। সেই সময়টাই আলাদা ছিল।
সারা আরও বলেছিলেন, আমার যতদূর মনে পড়ছে মা বিছানায় বসে ছিলেন আর পাপা প্রদীপ জ্বালিয়ে দিচ্ছিলেন। এটাও খুব সুন্দর একটি স্মৃতি। যা আজীবন আমার মনে রয়ে যাবে। আর এটিই সম্ভবত তাদের দুজনের শেষ দেখা ছিল। এরপর আর কখনও দুজনে একসঙ্গে মিলিত হননি।
সারা কেন মাকে ছেড়ে বাবার কাছে থাকেন না তার উত্তরেও সারা জানিয়েছিলেন, আমার মা আমাকে ও ভাইকে ছোট থেকে মানুষ করেছে। আর সেই কারণেই মায়ের কাছে থাকতে বেশি ভালবাসেন সারা।
এমনকী আমাদের লালন-পালন করার জন্য মা নিজের ফিল্মি কেরিয়ারও ছেড়ে দিয়েছিলেন। যেই বাড়িতে বাবা ও মা খুশি নন সেখানে আমি থাকি কি করে বলেছিলেন সারা।
বাবার সঙ্গেও যে সারার সম্পর্ক ভাল তা তাদের ছবিতেই স্পষ্ট। সারা জানিয়েছেন, আমার কোনও কিছুরই অভাব নেই, তাই আমি যেরকম আছি তাই নিয়েই খুশি।
নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক হয়েছেন সারা আলি খান।
তারপরই নিজের ওজন নিয়ে অনেক বেশি ওয়াকিবহাল হয়ে পড়েছিলেন অভিনেত্রী। ২০১৮ সালে বলি অভিনেতা সুশান্তের বিপরীতে 'কেদারনাথ' ছবি দিয়ে বলিউডে ডেবিউ করেন সারা আলি খান।