জিয়ার সঙ্গে অমিতাভের কিসিং দৃশ্য, ছি-ছিক্কারে ভরে যায় ভারতীয় সমাজ
রাম গোপাল ভর্মার ছবি মানেই বিতর্কের অন্ত নেই। নগ্নতা, বিতর্কিত চিত্রনাট্য, রাজনীতিকে ঘিরে মন্তব্য, বিভিন্ন উপাদানই থাকে রাম গোপাল ভর্মার ছবিতে। অমিতাভ বচ্চনও তাঁর এই বিভিন্ন বিতর্কিত ছবির অংশ ছিলেন। তবে যে ছবির কারণে নিজের সম্মান খুইয়ে ছিলেন তা হল 'নিঃশব্দ'। ৬০ বছরের এক ব্যক্তির সঙ্গে ১৮ বছরের একটি মেয়ের অবৈধ সম্পর্ক। যা সমাজের চোখে পাপ, অন্যায় হলেও বিজয় এবং জিয়ার কাছে পুরো ব্যাপারটাই ছিল নিষ্পাপ প্রেমের মত।
- FB
- TW
- Linkdin
৬০ বছর বয়সী পিতা, বিজয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অমিতাভ বচ্চন। অন্যদিকে ১৮ বছর বয়সী জিয়ার চরিত্রে প্রয়াত অভিনেত্রী জিয়া খান।
ছবির বিষয় প্রথমদিকে খবর বেরতেই নাক শিঁটকিয়েছিল ভারতীয় দর্শক। অমিতাভ বচ্চনকে সেই সকল ভক্তরা অনুরোধ করেছিল এই ছবিতে কাজ না করতে।
এই ছবির হাত ধরেই বলিউডে পদার্পণ জিয়া খানের। ডেবিউতেই এমন সাহসি চরিত্রে অভিনয় করার কারণে প্রশংসা তো দূরহস্ত, একের পর এক নিন্দায় ভরতে থাকে দর্শকমহল।
অমিতাভকে লেজেন্ডের জায়গায় বসিয়ে এসেছে অসংখ্য দর্শক। দেশবাসীর ভালবাসায় তিনি আজও এভারগ্রিন লেজেন্ডদের মধ্যে একজন।
অথচ সেই দর্শকদেরই চটিয়ে ফেলেন বচ্চন সাহাব। জিয়া খানের সঙ্গে এই ছবিতে অভিনয় করে নিজের সম্মানও হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। ছি-ছিক্কার পড়েছিল সেই সময় বলিউড নিয়ে।
জিয়া খানের সঙ্গে প্রেমালাপ, চোখে-মুখে ঘনিষ্ঠতা দর্শকের কাছে 'অশালীন' হয়ে উঠেছিল বলে দাবি তাদের। এরই মধ্যে গোঁদের উপর বিষফোড়া হয়ে বসল চুম্বন দৃশ্য।
জিয়া খানের সঙ্গে অমিতাভ বচ্চনের কিসিং দৃশ্যে চোখ কান নাক বন্ধ করে ফেলেছিল দর্শকমহল। হাতে গোনা কিছু দর্শকই কেবল এই সাহসি চরিত্রের প্রশংসা করে।
ভ্ল্যাডিমির নাবোকোভের উপন্যাস লোলিতার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয় এই ছবি। ভারতীয় দর্শকদের কথায়, বিদেশি সমাজ এই অশালীন প্রেম নিতে পারে তবে ভারতীয় সমাজ নয়।
ছবিতে এলাহাবাদে নিমেষের মধ্যে ব্যান করে দেওয়া হয়। উত্তর প্রদেশের কংগ্রেস দল ছবিটির বিরোধিতা করে। মুক্তিতে আনে বাঁধা। তবে ছবিটি মুক্তি পেলেও তেমন সফলতার মুখ দেখতে পায়নি।