Coronavirus: ফের দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধি, আশঙ্কা বাড়াচ্ছে কলকাতা সহ দুই ২৪ পরগণা
- FB
- TW
- Linkdin
কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গের দাপট আগের থেকে কমেছে রাজ্যে। মৃত্যুর সংখ্যাও আগের থেকে কমলেও গত ২৪ ঘন্টায় ফের বেড়েছে। কোভিডে এখনও মৃত্য়ু হচ্ছে বাংলার ৬ জেলায়।
মৃত্যুর লিস্টে সেই ৬ জেলার লিস্টে শীর্ষে রয়েছে নদিয়া। যদিও মৃত্য়ুর অভিশাপ মুক্ত এখনও হতে পারেনি জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর,পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগণা, কলকাতা।
তবে এদিন দার্জিলিং, কালিংপং,মুর্শিদাবাদ, পূর্ব পশ্চিম বর্ধমান, হুগলি মৃত্যু শূণ্য হয়েছে। শহরে ভ্য়াকসিনের সংখ্য়া যত বাড়বে, ততোই আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃত্যুর সংখ্যা কমবে বলেই অনুমান বিশেষজ্ঞদের।
শুক্রবারের স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে একদিনে করোনা নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৯ জন। তবে এবার ফের কলকাতায় কোভিডে মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবারের স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, নদিয়ায় ৪ জনের মৃত্য়ু হয়েছে। এবং কলকাতা , জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর,পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগণা জেলায় ১ প্রাণ হারিয়েছেন।
শুক্রবারের স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, কলকাতায় একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা এক লাফে ৩২ থেকে বেড়ে ৮৮ জন। এবং এখানে মোট সংক্রমণের সংখ্যা ৩১১,৮৬৪ জন এবং মোট মৃতের সংখ্যা ৪৯৯১ জন।
এবারও রাজ্যের সব জেলার থেকে এবারেও সংক্রমণ নিয়ে শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগণা। দ্বিতীয় কলকাতা। তৃতীয় দক্ষিণ ২৪ পরগণা। তবে উত্তর ২৪ পরগণায় একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ এর নীচে নেমেছে।
শুক্রবারের স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, উত্তর ২৪ পরগণা একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৯ জন। দক্ষিণ ২৪ পরগণায় একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৬ জন। দার্জিলিং একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৯ জন।
শুক্রবারের স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, একদিনে বাংলায় করোনা আক্রান্ত ৭৫৮ জন । যা আগের থেকে অনেকটাই বড়েছে। পশ্চিমবঙ্গে এই অবধি মোট অ্য়াক্টিভ আক্রান্তের সংখ্য়া ৯,৬৩৫ জন।
তবে এই মুহূর্তে কোভিড জয়ীর সংখ্যা বেড়েছে। নিঃশ্বাস নিচ্ছে হাসপাতাল গুলি। স্বাস্থ্য ভবনের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে একদিনে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭৬৭ জন। বাংলায় কোভিডজয়ীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫, ১৩,৭৬৬ জন।
শুক্রবারের স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী ১৮ জানুয়ারী সুস্থতার হার পেরিয়ে ৯৭ শতাংশ হয়েছিল। তারপর দ্বিতীয় তরঙ্গে ফের পতন হয়। মার্চের পর থেকে। তবে এরপর অভিশপ্ত প্রায় ৭ মাস পেরিয়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে সুস্থতার হার একদিনে এখনও ৯৮.১৯ শতাংশ।