- Home
- India News
- আর মাত্র কয়েকটা মাস, তারপরই মুক্তি মিলবে কোভিড ১৯ থেকে- আশার কথা শুনিয়েছেন মহামারি বিশেষজ্ঞ
আর মাত্র কয়েকটা মাস, তারপরই মুক্তি মিলবে কোভিড ১৯ থেকে- আশার কথা শুনিয়েছেন মহামারি বিশেষজ্ঞ
গত দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে গোটা বিশ্ব দাপিয়ে বেড়াচ্ছে করোনাভাইরাসের জীবাণু। বিশ্বের প্রতিটি দেশই কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ব্যহত হয়েছে আর্থিক উন্নয়ন। করোনার কারণে প্রায় গোটা বিশ্বই লকডাউনের মুখোমুখী হয়েছে। কাজ হারিয়ে। বিশ্বকে এক কঠিন পরিস্থিতির সামনে ফেলে দিয়েছে। এই অবস্থায় আশার কথা শুনিয়েছেন মহামারি বিশেষজ্ঞ নীল ফার্গুসন।
| Published : Jul 27 2021, 06:15 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
ব্রিটেনের মহামারি বিশেষজ্ঞ নীল ফর্গুসন। তিনি বলেছেন বিট্রেনে করোনাভাইরাস রোগের তীব্রতা ক্রমশই হ্রাস পাচ্ছে। তাই বলা যাতে পারে আর কয়েক মাসের মধ্যেই রোগটির পরিসমাপ্তি ঘটবে। বিবিসিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে এমনই মন্তব্য করেছেন ব্রিটেনের মহামারি বিশেষজ্ঞ।
নীল ফার্গুসন বলেছেন, ব্রিটেন গোটা বিশ্বের বাইরে নয়। তবে দ্রুতহারে টিকাকরণের কারণেই মৃত্যুর ঝুঁকি অনেকটাই কমেছে। পাশাপাশি কমেছে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও। তাতেই মূলত কোভিড ১৯ পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ভ্যাক্সিনের প্রভাব হাসপাতালে ভর্তি আর মৃত্যুর ঝুঁকি অনেত কমিয়ে দিয়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ওপরেও প্রভাব বিস্তার করেছে। তাই আশা করা যেতে পারে। সেপ্টেম্বর- অক্টোবরের শেষের দিকে মহামারির প্রভাব অনেকটাই কমে যাবে ব্রিটেনে।
ব্রিটেনে বর্তমানে করোনা-বিধি অনেকটাই শিথিল হয়ে গেছে। গত ১৯ জুলাই থেকেই প্রায় সমস্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বরিস জনসন সরকার। তবে সেই কারণে তাঁকে একাধিক বিশেষজ্ঞের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে।
ব্রিটেনে করোনাভাইরাসের ডেল্টা রূপ কার্যকর ছিল। যা সাধারণ ভাইরাসের তুলনায় অনেকটাই দ্রুত সংক্রমণ ছড়ায়। তাই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিশেষজ্ঞরাও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।
তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েও ব্রিটেন সরকার করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছিল। তবে এখনও পর্যন্ত সেই দেশে মাস্ক পরা আর নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব মেনে চলা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এটি দুটি বিধি কঠোরতার সঙ্গেই আরোপ করা হয়েছে ব্রিটেনে।
জনসন বলেছেন কোভিড বিধি নিষেধ অপসারণের প্রভাব এখনও পর্যন্ত দেখা যায়নি। তবে ইউরোপের অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতির দেশে দ্রুততার সঙ্গে টিকা দেওয়াকেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। গত ৬ দিন ধরেই ব্রিটেনে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে।
সোমবার ২৪ হাজার ৯০৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানান হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে। কোভিড ভাইরাসের নতুন রূপও ধরা পড়েছে। তবে আক্রান্ত হাসপাতালে ভর্তি হলেও মৃত্যু এড়াতে পারেছে।
ব্রিটেনের প্রশাসন সূত্রের খবর গত জানুয়ারিতেও হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা তুলনায় অনেকটাই বেশি ছিল। সেই সময় ব্রিটেনে দ্বিতীয় তরঙ্গ চলছিল। কিন্তু এখন আক্রান্তের সংখ্যার পাশাপাশি হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও ধীরে ধীরে কমছে।
অক্টোরবর পর্যন্ত করোনাভাইরাসের মহামারির সঙ্গেই ব্রিটিশ নাগরিকদের বাস করতে হবে বলেও জানিয়েছেন ফর্গুসন। তিনি বলেছিলেন, এখনও দেশের মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাবে। তবে মহামারিটিকে ব্রিটিশ নাগরিকরা পিছনে ঠেলে দিতে সক্ষম হয়েছে। শরৎকালে যদি মানুষ নূন্যতম বিধিনিষেধ মেনে চলেন তাহলেই এই মহামারি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।