ধোনির সেরা ১৫ ছবি, যা দেখে আপ্লুত হবেন আপনিও
৭৪তম স্বাধীনতা দিবসের দিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন ভারতের অন্যতম সফল অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। ১৫ বছরেরে কেরিয়ারে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক হিসেবে এমন কিছুই হয়তো বাকি নেই যা ধোনির অর্জন করা হয়নি। কেরিয়ারের বিদায় বেলায় এসে মুকেশের 'মে প্যাল দো প্যাল কা শায়ের হু' গানের মাধ্যমে নিজের কেরিয়ারের ছবির কোলাজ দিয়ে ইতি টেনেছেন। ধোনির বর্ণময় কেরিয়ারের এমন কিছু মুহূর্ত যা চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে ক্রিকেটের ইতিহাসে। আসুন দেখা যাক এমন কিছু মুহূর্ত।
| Published : Aug 16 2020, 06:58 PM IST / Updated: Aug 16 2020, 07:07 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
২০০৭ সালে টি২০ বিশ্বকাপ জিতে অধিনায়ক ধোনির জন্ম হয়েছিল। ২০০৭ সালের টি২০ বিশ্বকাপ তাই ধোনির কেরিয়ারের অন্যতম সেরা মুহূর্ত। বিশ্বকাপ জয়ের পর ইয়াং ধোনির সেলিব্রেশন ছিল দেখার মত। মাঠেই স্যাম্পেন উড়িয়ে সেলিব্রেশন করেন তিনি।
ধোনির সেরা ছবির মধ্যে এই ছবিটি রাখতেই হবে। কারণ ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনালে ধোনির এই ছক্কাই ২৮ বছর পর ১৩০ কোটি দেশবাসীর বিশ্বজয়ের স্বপ্ন পূরণ করেছিল।
ধোনির কেরিয়ারের অপর কটি সেরা মুহূর্ত। ২০১৩ সালে প্রথম ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি চ্যাম্পিয়নন হন ধোনি। এর আগে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় যুগ্মভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ধোনি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্রে প্রথম অধিনায়ক হিসেবে আইসিসির তিনটি ট্রফি জয়ের নজির গড়েন।
এই সেউ মুহূর্ত ২০১৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের সেমি ফাইনাল। জাদেজাকে সঙ্গে নিয়ে হারা ম্যাচ জয়ের দোরগোরায় নিয়ে গিয়েছিলেন ধোনি। কিন্তু জাদেজা আউট হওয়ার পর ওকা টানলেও, শেষমুহূর্তে রান আউট হন ধোনি। ধোনির কেরিয়ারে এটিই ছিল শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। আর ধোনির অবসর ঘোষণার পর অদ্ভুত সমাপতন ঘটল ধোনির কেরিয়ারেরে। কারণ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জীবনের প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচে রান আউট হয়েছিলেন ধোনি। আর জীবনের শেষ ম্যাচেও রান আউটই হেয়ছিলেন ধোনি।
খেলার বাইরেও ধোনি মাঠে একাধিক ভাললাগার মুহূর্ত রয়েছে। বাইকের প্রতি ধোনির ভালবাসার কথা সকলেরই জানা। মাঠে পুরস্কার হিসেবে সতীর্থের বাইক নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর ছবি আজও উজ্জ্বল সকলের মনে।
রায়না যে ধোনির কতটা ভাল বন্ধু তা আরও একবার প্রমাণন করেছেন ধোনির সঙ্গে একসাথে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে। মাঠের বাইরেও যে তারা কতটা ভাল সময় কাটাতেন এই ছবি তারই প্রমাণ।
২০১৯ বিশ্বকাপে এই জার্সিটি ইংল্যান্ড ম্যাচের জন্য আলাদাভাবে বানানো হয়েছিল। কারণ ভারতীয় দের জার্সির সঙ্গে ইংল্যান্ডের জার্সির রং অনেকটা এক হয়ে যাচ্ছিল। মাত্র একটি ম্যাচ এখনও পর্যন্ত এই জার্সিটি পড়ে খেলেছে ভারতীয় দল। তার সাক্ষী থাকতে পেরেছিলেন ধোনিও।
ধোনির জীবনের অন্যতম প্রধান অংশ হল আইপিএল ও চেন্নাই সুপার কিংস দল। ধোনি আইপিএলের ইতিহাসে সবথেকে ধারাবাহিক ও অন্যতম সেরা দল গড়ে তুলেছেন সিএসকে-কে। তিনবার চেন্নাইকে চ্যাম্পিয়নও করেছেন মাহি।
ভারতীয় সেনাতেও সান্মানিক পদ পেয়েছেন ধোনি। যখন সময় পেয়েছেন, কিংবা জীবনে যখন কোনও কঠিন সময় এসেছে তখনই সময় কাটিয়েছন ভারতীয় সেনাবাাহিনীর সঙ্গে। ২০১৯ বিশ্বকাপে হারের পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন ধোনি। তখনও ভারতীয় সেনার সঙ্গে অনেকটা সময় কাটিয়েছিলেন এমএসডি।
নিজের পরিবারের সঙ্গেও সময় কাটাতেন বালবাসেন ধোনি। একবার আইপিএল জয়ের পর সেই মুহূর্ত ভাগ করে নিয়েছিলেন পরিবারের সঙ্গে। এছাড়া গোটা লকডউন পর্বও পরিবারের সঙ্গে কাটিয়েছেন ধোনি।
ভারতের মাটেতি আইপিএল হওয়ার সময় অনেক সময় আগের দিন রাতে ম্যাচ খেলে পরের দিন ভোরেই ফ্লাইট থাকে। অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকার পর ফ্লাইট ধরতে গিয়ে মাহি আর সাক্ষী এয়ারপোর্টের মেঝেতেই ঘুমোচ্ছেন। এই ছবি ভাইরালও হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ধোনির বাইকের পাশাপাশি গাড়ি খবুই পছন্দ। গতির ঝড় তপলতে পছন্দ করেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। বাড়িতে সেই গাড়ি ধোয়ার সময় বাবা ধোনিকে সাহায্য করছেন ছোট্ট জিভা।
অবসর সময়ে ধোনি যে বাইক নিয়ে ব্যস্ত থাকেন সেই কথা আগেই জানিয়েছেন সাক্ষী। প্রতিদিন একটি করে বাইক খোলা আর তা পুনরায় জোড়া লাগানো ধোনির সখ। আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতই বসে বাইকের কাজ করছেন ধোনি।
নিজের চুলের প্রতি বরাবরই খুবই সৌখিন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ধোনির প্রথম জীবনের লম্বা চুল নজর কেড়েছিল সকলের। তারপরও একাধিক বার একাধিক হেয়ার স্টাইলে দেখা মিলিছে ধোনির।
সকলে ধোনিকে শান্ত স্বভাবের বলেই চেনেন। কিন্তু তিনি যে কতটা মজা করতে ভালোবাসেন এই ছবি তারই প্রমাণ। একটি ছোট্ট সাইকেল নিয়ে শিশুসুলভভাবে মজা করছেন দুবারের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক।