- Home
- Sports
- Cricket
- Virat Kohli: ২০০৮ থেকে ২০২১, প্রতিবছর কটি করে সেঞ্চুরি করেছেন কোহলি, দেখুন 'বিরাট' পরিসংখ্যান
Virat Kohli: ২০০৮ থেকে ২০২১, প্রতিবছর কটি করে সেঞ্চুরি করেছেন কোহলি, দেখুন 'বিরাট' পরিসংখ্যান
- FB
- TW
- Linkdin
২০০৮-
২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আঙিনায় প্রথম পা রেখেছিলেন বিরাট কোহলি। যদিও অভিষেকের বছরে খুব বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি বিরাট। ২০০৮ একটিও সেঞ্চুরি ছিল না কোহলির। মোট ৫ ইনিংসে ৩১.৮০ গড়ে ১৫৯ রান করেন। তার ব্যাট থেকে আসে কেবলমাত্র একটি হাফসেঞ্চুরি। সর্বোচ্চ স্কোর ৫৪ রান।
২০০৯ -
২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরিতে প্রথম সেঞ্চুরির খাতা খুলেছিলেন বিরাট কোহলি। সেই বছর বিরাটের ব্যাট থেকে এসেছিল একটি মাত্র সেঞ্চুরি। ২০০৯ সালে ৮ ইনিংসে ৫৪.১৬ গড়ে ৩২৫ রান। যার মধ্যে ছিল ১টি সেঞ্চুরি ও ২টি হাফ সেঞ্চুরি। তার সর্বোচ্চ স্কোর ১০৭ রান।
২০১০-
২০১০ সাল থেকে 'রান মেশিন' বিরাট কোহলির ব্যাট থেকে সেঞ্চুরির সংখ্যার বৃদ্ধি ঘটতে থাকে। নিজের ব্য়াটিংয়েও অনেকটা উন্নতি করেন। ২০০৯ সালে বিরাট কোহলি ২৫ ইনিংসে ৪৮.৬১ গড়ে ১০২১ রান করেছিলেন। যার মধ্যে ছিল ৩টি সেঞ্চুরি ও ৭টি হাফসেঞ্চুরি। তার সর্বোচ্চ স্কোর ১১৮ রান।
২০১১-
২০১১ সালে ভারতের দ্বিতীয় একদিনের বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন বিরাট কোহলি। একইসঙ্গে সেই বছরই টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয় তার। ২০১১ সালে মোট ৫ ইনিংসে ৩১.৮০ গড়ে ১৫৯ রান করেন। তার ব্যাট থেকে আসে কেবলমাত্র একটি হাফসেঞ্চুরি। সর্বোচ্চ স্কোর ৫৪ রান।
২০১২-
২০১২ সালে দুরন্ত গিয়েছিল বিরাট কোহোলি। টেস্ট ক্রিকেটেও প্রথম সেঞ্চুরি এসেছিল বিরাট কোহলির ব্যাটে। ২০১২ সালে ৪৬ ইনিংসে ৫৩.৩১ গড়ে ২১৮৬ রান করেন। যার মধ্যে ছিল ৮টি সেঞ্চুরি ও ১০টি হাফসেঞ্চুরি। তার সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ১৮৩ রান।
২০১৩-
২০১৩ সাল থেকে বিরাট কোহলি আধুনিক ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে চর্চিত হতে থাকেন। ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ী দলেরও সদস্য ছিলেন তিনি। ২০১৩ সালে ৪৩ ইনিংসে ৫৩.১৩ গড়ে ১৯১৩ রান করেন বিরাট। ৬টি সেঞ্চুরি ও ১০টি হাফসেঞ্চুরি ছিল ঝুলিতে। সর্রবোচ্চ স্কোর ছিল ১১৯ রান।
২০১৪-
২০১৪ সাল ছিল কোহলির পক্ষে খুব গুরুত্বপূর্ণ। টি২০ বিশ্বকাপ রানার্সআপ হয় ভারত। প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন তিনি। এই বছরই ধোনি টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর অধিনায়ক হন কোহলি। ২০১৪ সালে ৪৭ ইনিংসে ৫৫.৭৫ গড়ে ২২৮৬ রান করেন বিরাট। সর্বোচ্চ ১৬৯, সেঞ্চুরি ৮, হাফ সেঞ্চুরি ১২।
২০১৫-
২০১৫ সালে বিরাট কোহলির ফর্মে একটি ওঠা নেমে ছিল। তবে একেবারে খারাপও ছিল না। ওই বছর বিরাট কোহলির ব্যাট থেকে এসেছিল ৩৭ ইনিংসে ৩৮.৪৪ গড়ে ১৩০৭ রান। সর্বোচ্চ স্কোর ১৪৭ -এর পাশপাশি ৪টি সেঞ্চুরি ও ৩টি হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন বিরাট কোহলি।
২০১৬ -
২০১৬ সালে ফের স্বমহিমায় পাওয়া যায় আধুনিক ক্রিকেটের রান মেশিনকে। ওই বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৪১ ইনিংসে ৩৮.৪৪ গড়ে ১৩০৭ রান করেন। যার মধ্যে ছিল ৭টি সেঞ্চুরি ও ১৩টি হাফসেঞ্চুরি। বিরাটের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ২৩৫ রান। ২০১৬ সালে আইপিএলে সেরা স্কোরার ছিলেন বিরাট। তার দল আরসিবি রানার্সআপ হয়েছিল।
২০১৭-
২০১৭ সালে এমএস ধোনি ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের নেতৃত্ব ভার ছেড়েছিলেন। এরপর বিরাট কোহলিকে সীমিত ওভারেও দায়িত্ব পাওয়ার পর জীবনের সেরা ফর্মে দেখা যায়। এই বছরে তিনি ৫২ ইনিংসে ৬৮.৭৩ গড়ে ২৮১৮ রান করেছিলেন। যার মধ্যে ছিল ১১টি সেঞ্চুরি ও ১০টি হাফসেঞ্চুরি। তার সর্বোচ্চ স্কোর ২৪৩ রান।
২০১৮ -
২০১৭-র পর ২০১৮ সালেও একইভাবে কথা বলেছে বিরাট কোহলির ব্যাট। এই বছরে তিনি ৪৭ ইনিংসে ৬৮.৩৭ গড়ে ২৭৩৫ রান করেন। যার মধ্যে ছিল ১১টি সেঞ্চুরি ও ৯টি হাফসেঞ্চুরি। তার সর্বোচ্চ স্কোর অপরাজিত ১৬০ রান।
২০১৯ -
২০১৯ সালে ব্য়াট হাতে বিরাট অনবদ্য থাকলেও, অধিনায়ক বিরাটের বিশ্বজয়ের স্বপ্নভঙ্গ হয়। একদিনের বিশ্বকাপে দল সেমি ফাইনালে উঠলেও সেখান থেকে বিদায় নিতে হয়। ২০১৯ সালে বিরাট ৪৬ ইনিংসে ৬৪.৬০ গড়ে ২৪৫৫ রান করেন। যার মধ্যে ছিল ৭টি সেঞ্চুরি ও ১৪টি হাফসেঞ্চুরি। ২৫৪ রান ছিল সর্বোচ্চ স্কোর।
২০২০-
২০২০ সালে করোনা অতিমারীর কারণে খুব বেশি ক্রিকেট হয়নি। আর সেই বছর থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিরাটের ব্যাটে সেঞ্চরির খরা। ২০২০সালে ২৪ ইনিংসে ৩৬.৬০ গড়ে ৮৪২ রান করেন। যার মধ্যে ছিল কেবল ৭টি হাফসেঞ্চুরি। বিরাটের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ৮৯ রান।
২০২১-
২০২১ সালে বিরাটের ব্যাটে আসেনি কোনও সেঞ্চুরি। ২০২১ সালে বিরাট কোহলি মোট ৩০ ইনিংসে ৩৭.০৭ গড়ে ৯৬৪ রান করেছেন। যার মধ্যে কেবল ১০টি হাফসেঞ্চুরি রয়েছে। তার সর্বোচ্চ স্কোর অপরাজিত ৯০ রান।