- Home
- Sports
- Cricket
- ভারত বনাম নিউজিল্যান্ডের টেস্ট চ্যাম্পিয়শিপ ফাইনাল, জেনে নিন আইসিসির একাধিক নতুন নিয়ম
ভারত বনাম নিউজিল্যান্ডের টেস্ট চ্যাম্পিয়শিপ ফাইনাল, জেনে নিন আইসিসির একাধিক নতুন নিয়ম
- FB
- TW
- Linkdin
রিজার্ভ ডে-
টেস্ট ক্রিকেটে রিজার্ভ ডে রাখার সিদ্ধান্ত খুবই অভিনব। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইানালের জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি। ম্যাচের ফলাফলের জন্যই এমন সিদ্ধান্ত বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থার।
কীভাবে কাজ করবে রিজার্ভ ডে-
ম্যাচ চলাকালীন কোনও একদিন বা দুদিন সামান্য বৃষ্টি হলে যে কয়েকটা ওভার নষ্ট হল, সেগুলি রিজার্ভ ডে’তে খেলিয়ে দেওয়া হবে, এমন নয়। রিজার্ভ ডে একমাত্র ব্যবহার করা যাবে যদি পাঁচদিনে ৯০ ওভার বা ৬ ঘণ্টার বেশি খেলা বৃষ্টির জন্য পণ্ড হয়। রিজার্ভ ডে’তে সর্বোচ্চ ৮৩ ওভার বা ৩৩০ মিনিট খেলা যাবে। রিজার্ভ ডে নেওয়া হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত ম্যাচ রেফারি নেবেন এক্কেবারে ম্যাচের পঞ্চম দিনের শেষ ১ ঘন্টায়।
ফলো-অনের নিয়ম-
৫ দিনের ম্যাচে ২০০ রানের লিড থাকলে তবেই প্রতিপক্ষকে পুনরায় ব্যাট করতে ডাকা যায়। ৪ ও ৩ দিনের ম্যাচে ১৫০ রানের লিড থাকলে ফলো-অন করানো যায় বিপক্ষ দলকে। ২ দিনের ম্যাচে ১০০ এবং ১ দিনের ম্যাচে ৭৫ রানের লিডই যথেষ্ট ফলো-অন করানোর জন্য।
ফলো-অনের বিশেষ নিয়ম-
যদি ৫ দিনের ম্যাচের প্রথম দিনের খেলা ভেস্তে যায় বা প্রথম দু'দিনে খেলা শুরুই না হয়, সেক্ষেত্রে ৪ দিনের বা ৩ দিনের ম্যাচের মতো ফলো-অনের নিয়ম প্রযোজ্য হবে। সুতরাং, তখন ১৫০ রানে এগিয়ে থাকলেই ফলো-অন করানো যাবে।
শর্ট রানে থার্ড আম্পায়ার-
এতদিন কোনও ক্রিকেটার রান নেওয়ার সময় পপিং ক্রিজে পৌঁছলেন কিনা, সেটা দেখার দায়িত্ব ছিল অন-ফিল্ড আম্পায়ারের। কেউ পপিং ক্রিজে না পৌঁছে দ্বিতীয় বা তৃতীয় রানের জন্য ফিরে গেলে ‘শর্ট রান’ দেওয়া হত। অর্থাৎ রান বাতিল হত। সিদ্ধান্ত নিতেন মাঠের আম্পায়াররা। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে এই শর্ট রানের সিদ্ধান্ত নেবেন থার্ড আম্পায়ার। মাঠের আম্পায়ার শর্ট রানের সিগন্যাল দিলেই থার্ড আম্পায়ার খতিয়ে দেখবেন, সেটি আদৌ শর্ট রান ছিল কিনা।
ডিআরএসের আগে আম্পায়ারের পরামর্শ-
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ডিআরএস নেওয়ার আগেও নেওয়া যাবে আম্পায়ারের পরামর্শ। তবে, শুধুমাত্র একটি ক্ষেত্রে। কোনও এলবিডব্লু সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে, ব্যাটসম্যান শট খেলেছেন, নাকি বলটি ইচ্ছা করে প্যাডে লাগিয়েছে, সে বিষয়ে আম্পায়ারের মতামত আগেই জেনে নেওয়া যাবে। তারপর নেওয়া যাবে ডিআরএস। ফিল্ডারদের পাশাপাশি ব্যাটসম্যান নিজেও এই পরামর্শ নিতে পারবেন।
এলবিডব্লু-এর ক্ষেত্রে উচ্চতা-
এলবিডব্লু রিভিউয়ের ক্ষেত্রে ব্যাটসম্যানদের উপরে চাপ খানিকটা বাড়ছে। কারণ, বলের উচ্চতা নিয়ে সিদ্ধান্ত কিছুটা বদলেছে আইসিসি। এতদিন এলবিডব্লু রিভিউয়ের ক্ষেত্রে বলের অন্তত অর্ধেক উইকেটের বেলে লাগলে তবেই আউট দেওয়া হত। এবার থেকে এই নিয়ম বদলাচ্ছে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে রিভিউয়ের ক্ষেত্রে যদি হক-আইয়ে দেখা যায়, বলের কোনও একটি অংশ উইকেটের কোনও একটি অংশ ছুঁয়ে যাচ্ছে, তাহলেই সেটিকে আউট বলে গণ্য করা হবে।
ডিউক বল-
ম্যাচটি খেলা হবে গ্রেড ওয়ান ডিউক বল দিয়ে। টেস্ট ক্রিকেট সাধারণত তিন ধরনের বলে খেলা হয়। ডিউক বল, এসজি বল এবং কোকাবুরা বল। এই গ্রেড ওয়ান ডিউক বল সম্পূর্ণরূপে হাতে সেলাই করা। সেলাইয়ের ছটি সারি রয়েছে এতে। এতে বল গ্রিপ করতেও সুবিধা হয়, আবার এর সিমও অনেকক্ষণ ধরে রাখা যায়। যার ফলে সুইং এবং স্পিন দুটোই বেশি হতে পারে।