এক যুগ পার ভারতের কোটিপতি লিগের, চিনে নিন আইপিএলের সেরা ১০ কোটিপতিকে
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। যাকে অনেকেই ভারতের কোটিপতি লিগ বলেও আখ্যা দিয়েছে। আইপিএল এসে ক্রিকেটের ধারাটাই পাল্টে দিয়েছে। বিনোদ, ক্রিকেট আর টাকার মিশেলে আইপিএল হয়ে উঠেছে পৃথিবীর সব থেকে প্রিয় ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। আইপিএলের ১২ বছরের ইতিহাসে দেশি-বিদেশি একাধিক প্লেয়ারকে কোটি কোটি টাকা খরচ করে কিনেছে দলগুলি। ১৩ তম মরসুম শুরুর আগে দেখে নেওয়া যাক আইপিএলের ইতিহাসে সব থেকে দামি প্লেয়ারদের তালিকা।
| Published : Aug 29 2020, 10:20 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
যুবরাজ সিং
স্টাইলিশ বাঁহাতি ব্য়াটসম্যান যুবরাজ সিং কোনও আলাদা করে পরিচয়ের অপেক্ষা রাখেন না। ২০১৫ সালে নিলামে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস ২.৬৭ মিলিয়ন ডলার দিয়ে যুবরাজকে কেনা হয়েছিল যা প্রায় ১৬ কোটি টাকার কাছাকাছি। তার আগে ২০১৪ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ২.৩৩ মিলিয়ন ডলার বা ১৪ কোটি টাকা দিয়ে যুবিকে কিনেছিল। কিন্তু পরের বছরই দল থেকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত যুবির জন্য সবচেয়ে বেশি টাকা নিলামে দর হাঁকা হয়েছিল।
প্যাট কামিন্স
আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে দামি বিদেশি ক্রিকেটার হিসেবে নাম লিখিয়ে ফেলেছেন প্যাট কামিন্স। ছয় বছর পর কেকেআরে ফিরেছেন অস্ট্রেলিয়ার এই পেসার। অতীতে ২০১৪ সালে ১ কোটি টাকায় প্যাট কামিন্সকে নিয়েছিল কেকেআর। কিন্তু কেরিয়ারে বরাবারই চোটপ্রবণ ক্রিকেটার কামিন্স। আইপিএলে এখনও পর্যন্ত দর্শনীয় পরিসংখ্যান গড়ে তুললে পারেননি তিনি। যদিও অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এই মুহূর্তে দারুণ ফর্মে রয়েছেন ডানহাতি। সেকারণে তাঁকে ১৫.৫০ কোটি টাকায় দলে নিয়েছে কেকেআর।
বেন স্টোকস
ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার বেন স্টোকসের ২০১৭ সালে বেস প্রাইজ ছিল ২ কোটি টাকা। রাইজিং পুনে সুপারজায়েন্টে ২.১৬ মিলিয়ন ডলার ১৪.৫০ কোটি টাকা দিয়ে স্টোকসকে কিনে নেয়। প্যাট কামিন্সের আগে স্টোকসই ছিলেন আইপিএল ইতিহাসে সবচেয়ে দামী বিদেশী খেলোয়াড়। ২০১৮ সালে ১২.৫০ কোটিতে স্টোকসকে কেনে রাজস্থান। যা আইপিএলের ইতিহাসে রেকর্ডের সামিল।
দীনেশ কার্তিক
উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান দীনেশ কার্তিক আইপিএলের জনপ্রিয় খেলোয়াড়য তামিলনাড়ুর এই ক্রিকেটার ঘরোয়া খেলায় নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেছেন। ২.০৮ মিলিয়ন ডলার দিয়ে দীনেশকে কিনেছিল দিল্লি। পরে ২০১৫ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ১.৭৫ মিলিয়ন ডলার দিয়ে কার্তিককে কেনে।
গৌতম গম্ভীর
দিল্লির ওপেনার গৌতম গম্ভীরকে ২০১১ সালে ২.৪ মিলিয়ন ডলার দিয়ে কিনে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। ২০১১ সাল থেকে কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়কও হন গৌতম গম্ভীর। আইপিএলের ইতিহাসে অন্যতম সবচেয়ে সফল অধিনায়কও বলা যেতে পারে গম্ভীরকে। ২০১২ ও ২০১৪ সালে দুবার টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছে কলকাতা।
ইউসুফ পাঠান
বরোদার মারকুটে খেলোয়াড় ইউসুফ পাঠান টি২০ ফরম্যাটের একেবারে যোগ্য খেলোয়াড় ছিলেন। প্রথণ দিকে য়েকটি আইপিএলে চুটিয়ে খেলেন ইউসুফ। ২০১১ সালে ২.১ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে ইউসুফকে কিনে নেয় কলকাতা। এর আগে রাজস্থান রয়্যালসের জন্য খেলতেন ইউসুফ।
রবিন উথাপ্পা
কর্নাটকের ওপেনিং ব্যাটসম্যান রবিন উথাপ্পা নিজের আক্রমণাত্মক ব্য়াটিংয়ের জন্য পরিচিত। পুনে ওয়ারিয়র্স ২.১ মিলিয়ন ডলার দিয়ে উথাপ্পাকে কিনে ছিল। যদিও পরবর্তীতে কেকেআর হয়ে বর্তমানে রাজস্থানের হয়ে খেলবেন উথাপ্পা।
রোহিত শর্মা
মুম্বইয়ের প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মা বরাবারই দলের তারকা পারফর্মার থেকেছেন। ২০১১ সালে ২ মিলিয়ন ডলার দিয়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান কিনে নেয় রোহিতকে। তার আগে ডেকান চার্জার্সের হয়ে তিনি আইপিএল খেলতেন। মুম্বইয়ের অধিনাক হয়ে দলকে ৪ বার চ্যাম্পিয়ন করেছেন রোহিত। যা এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক।
রবীন্দ্র জাদেজা
বাঁহাতি বোলিং অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজাকে ২০১২ সালে ২ মিলিয়ন ডলার দিয়ে কিনে নেয় চেন্নাই সুপার কিংস। সৌরাষ্ট্রের ক্রিকেটার তারপর থেকে চেন্নাইতেই খেলেন। বর্তমানে দেশের অন্যতম সেরা স্পিনারের পাশাপাশি সেরা অলরাউন্ডারও জাদেজা।
ইরফান পাঠান
ফাস্ট বোলিং অলরাউন্ডার ইরফান পাঠানকে ২০১১ সালে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস ১.৯ মিলিয়ন ডলার দিয়ে কিনে নেয়। দ্রুত উইকেট তুলে নেওয়া ছাড়াও প্রয়োজনে ব্যাট হাতে বল বাউন্ডারি লাইনের বাইরে বল পাঠাতে পারেন অনায়াসেই। যদিও এখন আর তিনি খেলার সঙ্গে যুক্ত নেই। অবসর নিয়েছেন।