কেন একবার 'জুতোর বাড়ি' খেতে হয়েছিল বীরন্দ্র সেওয়াগকে, জানুন সেই কাহিনি
হরিয়ানার জাট পরিবারে জন্ম ভারতের প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার বীরেন্দ্র সেওয়াগের (Virender Sehwag)। ছোট বেলা থেকেই ক্রিকেটের (Cricket)প্রতি সেওয়াগের ভালোবাসা ছিল। যেই সময় শিশুরা অন্য খেলনা দিয়ে খেলত, সেই সময় থেকেই ব্যাট নিয়ে খেলা করতেন বীরেন্দ্র সেওয়াগ। মাত্র ১২ বছর বয়সে ক্রিকেট খেলতে গিয়ে নিজের দাঁত ভেঙে ফেলেছিলেন বীরু। তারপর ক্রিকেটের প্রতি প্রেম ও যোগ্যতার জোরেই ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন সেওয়াগ। কিন্তু ছেলেবালায় (childhood)এমন কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন সেওয়াগ যার জন্য তাকে জুতো-লাঠি দিয়ে মার খেতে হয়েছিল। চলুন সেওয়াগের জীবনের সেই অজানা কাহিনি।
| Published : Jun 10 2022, 08:03 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
বীরেন্দ্র সেওয়াগরা চার ভাই বোন। সেওয়াগ তৃতীয় সন্তান। মঞ্জু ও অঞ্জু সেওয়াগের দুই বড় বোন। সেওয়াগের ছোট ভাইয়ের নাম বিনোদ। শুধু চার-ভাইবোন নয়, সেওয়াগরা যৌথ পরিবারে থাকতেন। সেওয়াগদের পরিবার ছাড়াও তাদের সঙ্গে থাকতেন তাদের কাকারাও। আমরা সবাই নিজেদের মধ্যে ক্রিকেট খেলতাম।
বীরু বারো বছর বয়সে ক্রিকেট খেলতে গিয়ে নিজের দাঁত ভেঙে ফেলেন। যার পরে বীরেন্দ্র সেওয়াগের বাবা কিষাণ সেওয়াগ বীরুর খেলা বন্ধ করে দেন। কিন্তু ক্রিকেটের জন্য পাগল ছিলেন সেওয়াগ। ফের অনুশীলনে ফেরার জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠেছিলেন তিনি।
সেওয়াগ জানিয়েছেন অতিরিক্ত খেলার জন্য ও পড়াশোনা না করার জন্য একাধিক তার মা তাকে মেরেছিলেন। এছাড়া ভারতীয় তারকা ওপেনার ছোট বেলা থেকেই খুব দুষ্টু ছিলেন। যার জন্য একাধিকবার বকা ও মার খেতে হয়েছিল। এক বার জুতো দিয়েও সেওয়াগকে পিটিয়েছিলেন তার মা। তবে তা খেলার জন্য নয়।
সেওয়াগ জানিয়েছিলেন, ছোট বেলায় আমি একবার আমার বাবার বিড়ির প্যাকেট চুরি করেছিলাম। বাড়ির সামনে হাসপাতালের দেওয়ালে বসে আমি ও আমার ভাই ও কাকার ছেলেরা একসঙ্গে বিড়ি খাচ্ছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেই সময় মায়ের কাছে ধরা পড়ে যান সেওয়াগ। তারপর তাদের জুতো ও লাঠি দিয়ে পেটানো হয়েছিল।
এছাড়াও বীরেন্দ্র সেওয়াগের মা জানিয়েছেন সেওয়াগ স্কুলেও যেতে চাইত না। স্কুলে যাওয়ার সময় নানা ধরনের নাটক করত। সেই সময় ওর গায়ে জল ছিটিয়ে দেওয়া হত। ফলে এই ঘটনা থেকেই প্রমাণিত ছেলেবেলায় কতটা দুরন্ত ছিলেন নডজগড়ের নবাব।
সেওয়াগ ছোট বেলায় এতটাই দুষ্টু ছিল যে তার মা সামলাতে হিমসিম খেত। সেওয়াগকে শাসন করার জন্যই কঠোর শাস্তির দিতেন তার মা।ছোট বেলায় খুব দুষ্টু থাকলেও, ক্রিকেট খুব মনোযোগ সহকারে খেলতেন। তিনিই ভারতের একমাত্র ক্রিকেটার যার টেস্টে ক্রিকেট ৩০০ রান রয়েছে। একটি নয় দুটি তিনশো রান রয়েছে সেওয়াগের।
ছোটবেলার স্মৃতি এখনও সেওয়াগকে নস্টালজিয়ায় নিয়ে যায়। ক্রিকেট জীবনে সাফল্যের জন্য মায়ের শাসন ও ভালোবাসাকেই কৃতিত্ব দিয়েছেন নজবগড়ের নবাব। সেই সময় যদি কড়া শাসনের মধ্যে না থাকতেন তাহলে এই দিন তিনি দেখতে পেতেন না বলেও জানিয়েছেন বীরেন্দ্র সেওয়াগ।
প্রসঙ্গত, নিজের টেস্ট কেরিয়ারে ১০৪টি টেস্ট ম্য়াচে ২৩টি শতরান সহ ৮৫৮৬ রান করেছেন সেওয়াগ। টেস্টে দুটি তিনশো রানও রয়েছে তার।একদিনের ক্রিকেটে ২৫১টি ম্য়াচে ১৫টি শতরান সহ ৮২৭৩ রান করেছেন। ১৯টি টি২০ ম্য়াচে ২ হাফ সেঞ্চুরি সহ ৩৯৪ রান করেছেন। আইপিএলে ১০৪ ম্য়াচে করেছেন ২৭২৮ রান।