- Home
- Sports
- Cricket
- ১০ বছর ধরে যৌন নিপীড়ন, পাক ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে কোরান ছুঁয়ে গুরুতর অভিযোগ প্রাক্তন প্রেমিকার
১০ বছর ধরে যৌন নিপীড়ন, পাক ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে কোরান ছুঁয়ে গুরুতর অভিযোগ প্রাক্তন প্রেমিকার
মাঝে আর মাত্র দুই দিন। তারপরই ২৪ অক্টোবর, টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১ (T20 World Cup 2021)-এ ভারত বনাম পাকিস্তান (India Vs Pakistan) ম্যাচ। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আরও একবার ক্রিকেট বিশ্বের সবথেকে আকর্ষক লড়াই। এই প্রথম এই ম্যাচে পাকিস্তান দলের নেতৃত্ব দিতে দেখা যাবে তাদের তরুণ অধিনায়ক বাবর আজমকে (Babar Azam)। অল্প বয়সে পাকিস্তানের অধিনায়ক হলেও, এর মধ্য়েই মারাত্মক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছে তাঁক নাম। বিয়ের মিথ্যা আশা দেখিয়ে ১০ বছর ধরে এক মহিলার সঙ্গে সঙ্গম এবং তাঁর থেকে ক্রমাগত অর্থ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে পাক অধিনায়কের বিরুদ্ধে -
| Published : Oct 21 2021, 05:57 PM IST / Updated: Oct 26 2021, 10:07 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলের অধিনায়ক বাবর আজম। সেই সঙ্গে দলের ব্যাটিং-এরও অন্যতম প্রধান ভরসা তিনি। তাঁকে পাকিস্তানি ক্রিকেট মহল তুলনা করে বিরাট কোহলি-সহ (Virat Kohli) অনেকানেক প্রাক্তন ক্রিকেট কিংবদন্তির সঙ্গে। ইতিমধ্যেই সেই প্রত্যাশার অনেকটাই পূরণ করেছেন তিনি। তবে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে কিন্তু রয়েছে বড় কলঙ্ক।
২০২০ সালের নভেম্বরে বাবরের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছিলেন হামিজা মুখতার (Hamiza Mukhtar) নামে এক যুবতী। লাহোরের (Lahore) অতিরিক্ত দায়রা আদালতে পাক অধিনায়কের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন তিনি। আদালত সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বাবর আজমের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল।
এরপর এক সাংবাদিক সম্মেলন করে হামিজা মুখতার জানিয়েছিলেন তাঁকে বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১০ বছর ধরে যৌন শোষণ চালিয়ে এসেছে বাবর আজম। তিনি আরও দাবি করেন, বাবরের কঠিন সময়ে তাঁকে সাহায্য করেছিলেন, তাঁকে আর্থিকভাবেও সহায়তা করেছিলেন।
হামিজা দাবি করেন, তিনি এবং বাবর স্কুলজীবনের বন্ধু। ২০১০ সালে বাবর তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন এবং পরের বছরই তঁরা আইনি মতে বিয়ে করবেন বলে একসঙ্গে পালিয়েছিলেন। কিন্তু, এরপরই বাবর ২০১২ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে (U-19 World Cup 2012) পাকিস্তান দলের নেতৃত্ব পায়। আর তাতেই বদলে গিয়েছিলেন তিনি।
সেই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ভাল খেলেই বাবর ক্রিকেট বিশ্বে পরিচিতি পেয়েছিলেন। খ্যাতি অর্জন করার সঙ্গে সঙ্গে তিনি বিয়ের বিষয়ে মত পরিবর্তন করেছিলেন বলে দাবি করেন হামিজা। তখন থেকেই হামিজাকে অস্বীকার করা শুরু করেছিলেন বাবর।
হামিজা আরও বলেন, বাবরকে তিনি পুলিশে যাবেন বলে জানিয়েছিলেন। তাতে ফল হয়েছিল উল্টো। পাক অধিনায়ক তাঁকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল। এরপর তাঁকে শারীরিকভাবে আঘাত ও যৌন নির্যাতনও নাকি করেছিলেন বাবর, এমনটাই বলেন হামিজা।
পরে চলতি বছরের শুরুতে হঠাৎই ইউটার্ন নেন হামিজা। বাবর আজমের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ তিনি প্রত্যাহার করে নেন। বলেন, বাবর আজমের বিরুদ্ধে যা কিছু অভিযোগ এনেছিলেন তা সব মিথ্যা এবং তিনি মামলাটি প্রত্যাহার করছেন। তবে অনেকেই মনে করেন হামিজার আচমকা অবস্থান বদলের পিছনে চিরপরিচিত প্রভাবশালীদের প্রভাব খাটানোর কাহিনি রয়েছে।
বস্তুত, এর আগে 'ডেইলি পাকিস্তান'কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামিজা পবিত্র কোরানে হাত রেখে শপথ নিয়ে বলেছিলেন, বাবর আজমের বিরুদ্ধে তাঁর আনা সমস্ত অভিযোগ সত্য। তিনি আরও বলেছিলেন, এই সত্য চেপে রাখলে 'আমি হয়তো এই পৃথিবীতে রেহাই পাব কিন্তু আল্লা আমাকে এর পরের পৃথিবীতে ক্ষমা করবেন না। ফলে, আমি আল্লার এই পবিত্র গ্রন্থে হাত রেখে শপথ নিয়ে বলছি যে বাবর আজমের বিরুদ্ধে আনা আমার সমস্ত অভিযোগ সত্য।'
বাবর আজমের আইনজীবী আগে জানিয়েছিলেন হামিজা মুখতার বাবরকে ব্ল্যাকমেল করছিল। মামলা প্রত্যাহারের জন্য পাক অধিনায়কের কাছ থেকে নাকি তিনি ৪৫ লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন। আর এর জন্যই হামিজা বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত করতে চাইছেন।
তাহলে কি শেষে টাকা দিয়েই নিজের জীবনের কলঙ্ক ঢাকলেন বাবর আজম? যতদিন ভারত-পাক ক্রিকেট থাকবে, ততদিন কিন্তু এই প্রশ্নটাও থাকবে। হামিজা মুখতার শোনা যায়, এখন টিকটকের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছোট ছোট ভিডিও ক্লিপ পোস্ট করে থকেন।