রিহানাদের বিরুদ্ধে সরব সচিন, 'ক্রিকেট ঈশ্বরকে' তুলোধনা করে ভূপতিত করল নেটিজেনরা
First Published Feb 4, 2021, 6:56 PM IST
হ্যাশট্যাগ ‘ইন্ডিয়াটুগেদার’ এবং হ্যাশট্যাগ ‘ইন্ডিয়াএগেনস্টপ্রোপাগান্ডা’-র সমর্থনে সোশ্যাল মিডয়ায় পোস্ট করেছিলেন সচিন তেন্ডুলকর, বিরাট, রোহিত শর্মারা। দিল্লিতে কৃষক আন্দোলনের রব হয়েছিলেন মার্কিন পপস্টার রিহানা, সমাজকর্মী গ্রেটা থুনবার্গরা। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে দেশের অভ্যন্তরীন বিষয়ে নাক গলানোর বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি। এরপরই দুটি হ্যাশটাগ ভাইরাল হয়ে যায়। ট্যুইট করেন সচিনও। কিন্তু সেই ট্যুইট বিড়ম্বনায় ফেলে দিল ক্রিকেট ইশ্বরকে। নেটিজেনরা কদর্য ভাষায় আক্রমণ করছেন সচিনকে। এমন অপমানিত নিজের জীবনে হয়তো হতে হয়নি মাস্টার ব্লাস্টারকে।

সচিন তেন্ডুলকর ট্যুইটে লিখেছিলেন, ‘ভারতের সার্বভৌমত্ব নিয়ে আপস করা যায় না। বাইরের লোকজন দর্শক হতে পারে, তবে অংশ নিতে পারে না। ভারতীয়রা ভারতকে জানে এবং ভারতের পক্ষেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। আসুন আমরা জাতি হিসাবে ঐক্যবদ্ধ থাকি’।

এরপর অসন্তোষ প্রকাশ করেন নেটিজেনরা। তীব্র ভাষায় মাস্টার ব্লাস্টারকে আক্রমণ করেন একের পর এক নেটাগরিকরা। যা নিয়ে রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

একজন সচিনের শেষ টেস্ট ম্যাচের ছেঁড়া টিকিটের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন,‘আমি আগে সচিনের ভক্ত ছিলাম। আজ থেকে সব শ্রদ্ধা হারালাম।’

সচিনকে কদর্য ভাষায় অপমান করতেও দুবার ভাবেননি নেটিজেনরা। এমন ভাষায় হয়তো সচিনকে এর আগে কোনও দিনও অপমানিত হতে হয়নি।

অটল বিহারী বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী থাকার সময়ের একটি ঘটনাও তুলে ধরেছেন নেটাগরিকরা। সেই সময় সচিন নিজের প্রিয় ফেরারি গাড়িটি কিনেছিলেন। কর মুকুব করে দিয়েছিল ভারত সরকার। নেটাগরিকদের মতে বাজপেয়ীর দলের প্রতি সেই অনুগত্যই প্রকাশ করেছেন সচিন।

কোনও ভক্ত আবার তাঁকে জিজ্ঞেস করেছেন, বিজেপি-র হয়ে কথা বলার জন্য অর্জুন তেন্ডুলকর ভারতীয় দলে জায়গা পাবেন কি না।

অনেকে আবার সচিনের ট্যুইটে লিখেছেন,'এই কৃষকদের অনেকেই তাঁর খেলা দেখতেন। তাঁর করা প্রতিটা রান তাঁদের মুখে হাসি এনে দিত। সেই কৃষকদের নিয়ে কথা না বলে নীরব দর্শক হয়ে থাকার জন্যও সচিনকে ব্যঙ্গ করেছেন অনেকে।'

২০০৩ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সচিন ১৯৪ রানে ব্যাট করার সময় ডিক্লেয়ার ঘোষণা করেন রাহুল দ্রাবিড়। সচিনের এই টুইটের পর রাহুলের সেই সিদ্ধান্তকে সামনে এনে একজন লিখেছেন, ‘আজ মনে হচ্ছে, সেদিন রাহুল ঠিক করেছিল।’

সচিনরা এতদিন চুপ থাকার ফলেই রিহানাদের কথৈা বলতে হচ্ছে। ফলে এখন মাস্টার ব্লাস্টারকে চুপ থাকার পরামর্শও দিয়েছেন অনেকেই।

সচিন তেন্ডুলকর সংঘ পরিবারের হয়ে কথা বলছেন বলেও অভিযোগ করেছেন অনেকে। ফলে সচিনের ট্যুইট ঘিরে তোলপার নেট দুনিয়া।
Today's Poll
অভিভাবক হিসাবে আপনার সন্তানের জন্য অনলাইনে কোন ক্লাসের এডুকেশনাল কনটেন্ট পেতে চান ?