২৫তম বর্ষপূর্তিতে ফিরে দেখা লর্ডসের মহারাজকীয় শতরান, নস্টালজিয়ায় ভাসছেন দাদা
- FB
- TW
- Linkdin
১৯৯৬ সালের ২০ জুন। ইংল্যান্ডের লর্ডস। অভিষেক হয়েছিল বেহালার বাঁ-হাতি তরুণ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। যা ভারতীয় তথা বিশ্ব ক্রিকেটে এক উজ্জ্বল অধ্যায়ের সূচনা করেছিল৷ নতুন আশায় স্বপ্ন দেখেছিল বাঙালিরা।
কিন্তু মহারাজের টেস্ট অভিষেক মোটেই মসৃণ ছিল না৷ সফর শুরুর আগেই নভজ্যোত সিং সিধুর দেশে ফেরা এবং মঞ্জেরেকরের না-খেলায় ভাগ্যের শিকে ছিড়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। একই কারণে সুযোগ পেয়েছিলেন রাহুল দ্রাবিড়ও।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি করে নয়া নজির গড়েছিলেন বাংলার দাদা। একইসঙ্গে নিজের জাত চিনিয়েছিলেন ডাকাবুকো সৌরভ। বিশ্ব ক্রিকেটে জন্ম হয়েছিল এক নয়া তারকার।
অভিষেকেই চাপের মুহূর্তে ব্যাট করতে নামতে হয় ,সৌরভকে। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে করা ৩৪৪ রান তাড়া করতে নেমে ২৫ রানের মাথায় প্রথম উইকেট পরে যায় ভারতের। ফাস্ট ডাউন ব্যাট করতে নামেন সৌরভ।
একধার থেকে লাগাতর উইকেট পড়লেও নিজের রাজকীয় ব্যাটিং চালিয়ে যান সৌরভ। নিচের দিকে ব্য়াট করতে এসে সৌরভকে যোগ্য সঙ্গত দেন সেই লর্ডস টেস্টে অভিষেক হওয়া রাহুল দ্রাবিড়।
কঠিন সময়ে লর্ডসের উইকেটে ইংরেজ বোলারদের সুইং সামলে একের পর এক চোখ ধাঁধানো কভার ড্রাইভ, স্কোয়ার কাট প্রশংসা কুড়িয়েছিল ক্রিকেট বিশ্বের। সেদিনের ১৩১ রানের ইনিংস জন্ম দিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেটে এক লড়াকু যোদ্ধাকে। তারপরটা ইতিহাস।
তারপর ভারতীয় তথা বিশ্ব ক্রিকেটকে শাসন করেছেন সৌরভ। শুধু ব্যাটসম্যান অধিনায়ক হিসেবে ভারতীয় ক্রিকেটকে পৌছে দিয়েছিলেন উন্নতির শিখরে। বিদেশের মাটিতে টেস্ট জয় থেকে চোখে চোখে রেখে লড়াই। সবকিছুই শিখিয়েছিলেন প্রিন্স অফ ক্যালকাটা।
শুধু ব্যাট হাতেই নয়, অভিষেক টেস্টে বল হাতেও চমক দেখিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট তিনটি উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। প্রয়োজনের সময় উইকেট তুলে দলকে সাহায্য করেছিলেন ডান হাতি মিডিয়াম পেসার সৌরভ।
তারপর ভারত তথা বিশ্ব ক্রিকেটর অন্যতম সফল ব্যাটসম্যানের পাশাপাশি হয়ে উঠেছেন অন্যতম সেরা অধিনায়কও। বর্তমানে তিনি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্টও। সাফল্যের সঙ্গে সামলাচ্ছেন গুরু দায়িত্ব। আর এই সব কিছুরই ভিত রচিত হয়েছিল ১৯৯৬ সালের ২২ জুন ইংল্যন্ডের লর্ডসে।
এছাড়াও ঐতিহাসিক দিনে সকাল থেকেই শুভেচ্ছার বন্যায় ভাসছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। আজকের দিনেও নস্টালজিক বেহালার বাঁ-হাতিও।