- Home
- Lifestyle
- Health
- এক্সারসাইজ ছাড়াই ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে, জীবনযাত্রায় এই ১০টি পরিবর্তন মুহূর্তে কাজ করবে
এক্সারসাইজ ছাড়াই ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে, জীবনযাত্রায় এই ১০টি পরিবর্তন মুহূর্তে কাজ করবে
বাড়তি ওজন (Over Weight) নিয়ে সকলেই চিন্তিত। চেহারা আকর্ষণীয় না হলে, কোনও সাজই তেমন ভাবে মানায় না। আর এই বাড়তি ওজন সকলের কাঁপালেই এনে দেয় চিন্তার ভাঁজ। এদিকে রোজ সময় করে এক্সারসাইজ (Exercise) করা হয় না। ফলে, বাড়ছে ওজন। আবার অনেকে শারীরিক জটিলতার কারণে ওজন কমানোর এক্সারসাইজ করতে পারেন না। এবার এক্সারসাইজ ছাড়াই ওজন (Weight) কমাতে পারেন। জীবনযাত্রায় এই ১০টি পরিবর্তন আনুন। এতে সহজে কমবে ওজন।
| Published : Mar 20 2022, 01:30 PM IST / Updated: Mar 20 2022, 01:34 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
রোজ সকালে উঠে লেবু জল খান। ঈষদুষ্ণ গরম জলে ২ টেবিল চামচ লেবুর রস নিন, তাতে মেশান ১ টেবিল চামচ মধু। মিশ্রণটি খালি পেটে খেতে পারেন। পাতিলেবু ও মধুর গুণে ওজন কমবে। টানা ১৫ দিন থেকে ১ মাস খালি পেটে এই জল খান। এতে কয়েকদিনেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন।
খাবার সময় নির্দিষ্ট করুন। সঠিক সময় খাবার না খেলে তা সহজে হজম হয় না। এর ফলে বাড়ে মেদ। তাই রোজ সকাল ৯টার মধ্যে প্রাতঃরাশ খান। তারপর ১২টা থেকে ১টার মধ্যে খান দুপুরের খাবার। কাজের চাপে অনেকেরই দুপুরের খাবার খেতে বিকেল ৪টে বেজে যায়। এতে যেমন অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়, তেমনই বাড়তে পারে ওজন।
ওজন কমাতে গিয়ে অনেকেই ব্রেকফাস্ট স্কিপ করে। ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে প্রাতঃরাশ না খাওয়া। প্রাতঃরাশ না খাওয়ার জন্য শরীরে নেতিবাচক প্রভাব (Negative Effect) পড়ে। যা ওজন বৃদ্ধির কারণ হয়। এমনকী, সকালে খাবার না খেলে শর্করা ও চর্বিযুক্ত খাবারের প্রতি লোভ বাড়ে মানুষের যার থেকে ক্যালোরির পরিমাণ বাড়ে।
বারে বারে চা ও কফি খাওয়ার জন্য বাড়তে পারে ওজন। অফিসের কাজ করতে গিয়ে কিংবা এনার্জি বাড়াতে গিয়ে বারে বারে চা ও কফি খান অনেকে। চা ও কফিতে থাকা চিনি শরীরের প্রবেশ করে। যা ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। তাই বারে বারে চা ও কফি খাওয়া একেবারে বন্ধ করুন। আর চায়ে চিনি খাবেন না।
খাবারের পরিমাণ নির্দিষ্ট করুন। ওজন কমাতে চাইলে সবার আগে খাবার পরিমাণ কমাতে হবে। তা না হলে, নিজেই সমস্যায় পড়বেন। তবে, খাবার কমানো মানে, পুরো বন্ধ করা নয়। সঠিক সময় খাবার খান। কিন্তু, পরিমাণ বুঝে খান। তা হলে সহজে ওজন কমবে। খেতে বসার আগে জল খেয়ে নিন। তাহলে এমনিতেই পেট ভরা থাকবে। ফলে খিদে কম পাবে।
ডায়েটে একদিন করে চিট ডে। এদিন সব রকম খেতে পারেন। অনেকেই এই দিন মনের মতো খাবার খেয়ে ফেলেন। যাতে প্রচুর পরিমাণ ক্যালোরি গ্রহণ করা হয়। এবার থেকে এই অভ্যেসে বদল আনুন। চিট ডে-তে পছন্দের খাবার খেতে পারেন। কিন্তু, তা অল্প পরিমাণ খান। তা না হলে, সারা সপ্তাহের পরিশ্রম মাটি হয়ে যাবে।
পুষ্টি কর খাবার রাখুন খাদ্যতালিকায়। ওজন কমাতে গিয়ে অনেকেই অল্প পরিমাণ খাবার খান। এই সময় যদি পুষ্টি কর খাবার না খান, তাহলে অসুস্থ হয়ে পড়বেন। তাই রোজ খাদ্যতালিয়ার রাখুন পুষ্টিকর খাবার। খেতে পারেন সবজি সেদ্ধ। রোজ একটি করে মরশুমি ফল খান। এতে উপকার পাবেন।
রান্নায় সুবিধে হয় বলেই হোক, কিংবা ঝটপট রাঁধতে আজকাল সকলেই প্রসেড ফুডের ওপর ভরসা করে। এছাড়া, ফাস্ট ফুড তা আছেই। ওজন কমাতে চাইলে সবার আগে এই সকল খাবার বাদ দিন তালিকা থেকে। তা না হলে ওজন কমা অসম্ভব। এই ধরনের খাবারে অধিক নুন ও চিনি থাকে। যা মেদ বৃদ্ধি করে।
রাতে ঘুমানোর ২ ঘন্টা আগে খাবার খাবেন। ওজন কমাতে চাইলে সঠিক সময় রাতের খাওযার গ্রহণ করা বেশ প্রয়োজন। রাত ৮.৩০ থেকে ৯টার মধ্যে রাতের খাবার সেড়ে নিন। রোজ রাতে অল্প পরিমাণ খাবার খান। তা না হলে, খাবার সঠিকভাবে হজম হয় না। এতে বাড়তে থাকে ওজন। তাই সবার আগে এই অভ্যেসে বদল আনুন।
রোজ ৮ ঘন্টা অনবশ্যই ঘুমান। সঠিক সময় বিশ্রাম না নিলে বাড়তে থাকে শারীরিক জটিলতা। তার সঙ্গে স্ট্রেস ফ্রি থাকুন। মানসিক চাপ দেখা দিলে তার প্রভাব পড়ে ওজনে। এর থেকে বাড়তে পারে ওজন। তাই কীভাবে মানসিক চাপ মুক্ত থাকবেন সে দিকে খেয়াল রাখুন। তা না হলে ওজন বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়বে শারীরিক জটিলতা।