মাত্র ৩০ দিনে ওজন তো কমবেই বাড়বে প্রতিরোধ ক্ষমতাও, শুধু জলে মেশান এই উপাদান
শরীরে ক্লান্তি , শীঘ্রই অসুস্থ হয়ে পড়া এবং ওজন বৃদ্ধি - আজকাল এগুলি অত্যন্ত সাধারণ বিষয় হয়ে উঠছে। প্রায় বেশির ভাগ মানুষ এই তিনটির মধ্যে যে কোনও একটি সমস্যায় ভুগছেন। তবে এই সমস্যাগুলি উপেক্ষা করা এবং এড়িয়ে যাওয়াও মারাত্মক একটি ভুল। এগুলি খুব সাধারণ বিষয় মনে হলেও, অত্যন্ত বিপজ্জনক হিসাবে প্রমাণিত হতে পারে। আপনার অনুন্নত প্রতিরোধ ক্ষমতা, আপনার শরীরকে দিনে দিনে দুর্বল করে দেয়। এর ফলস্বরূপ আপনার শরীর সময়ের আগে ক্লান্ত এবং কাজ করার ক্ষমতা লোপ পায়। কেবল এই নয়, দুর্বল অনাক্রম্যতা এবং ওজন বৃদ্ধির কারণে বিভিন্ন রোগ বাড়তে থাকে। তাই জেনে নিন, ওজন নিয়ন্ত্রণ থেকে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির সহজ ও সরল উপায়-
- FB
- TW
- Linkdin
বাড়তি ওজন কমাতে এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে তুলতে সাহায্য করবে রান্নাঘরে থাকা সাধারণ এই উপাদান। যা নানান জটিল শারীরিক সমস্যা থেকেও মুক্তি দেবে। সেই প্রতিকারটি হল জল এবং গোলমরিচ। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে গোলমরিচের গুঁড়ো দিয়ে হালকা গরম জল পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
মাত্র ৩০ দিন এই টোটকা মেনে চলতে পারলে আপনি অগণিত স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। জেনে নিন এই পানীয়ের আরও নানা উপকারীতা। জানলে আপনি নিজেই এই পানীয় সম্বন্ধে অপরকেও জানাবেন।
গরম জলে গোলমরিচ গুঁড়ো মেশানো পানীয় ইমিউনিটি বুস্টার পানীয় হিসাবে কাজ করে। যা শরীরের কোষগুলিকে পুষ্টি দেয় এবং তাদের ক্ষতি প্রতিরোধে সহায়তা করে। এগুলি ছাড়াও এটি ফ্রি-র্যাডিক্যালগুলির সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে।
এই পানীয় আপনার শরীরকে ঋতুজনিত সমস্যার আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করবে। পাশাপাশি গোল মরিচ এবং গরম জলের এই মিশ্রণ ছাড়াও আপনার অনাক্রম্যতা বাড়াতে গোলমরিচের সঙ্গে গুঁড়ো হলুদ মিশিয়েও সেবন করতে পারেন।
গোল মরিচ এবং গরম জলের সংমিশ্রণটি আপনার পেটের সমস্যাগুলির জন্যও উপকারী। এই পানীয় আপনার শরীর থেকে সমস্ত টক্সিন এবং ক্ষতিকারক রাসায়নিকগুলি বের করে দেয়। পরিপাক ক্রিয়া উন্নতি করে এবং পেটকে স্বাস্থ্যকর করে তোলে।
সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হল মাত্র ৩০ দিন নিয়মিত এই পানীয় গ্রহণের ফলে আপনার ওজন চোখে পড়ার মত কমে যায়। সকালবেলায় খালি পেটে এই পানীয় আপনার কার্যক্ষমতার শক্তি প্রায় দ্বিগুণ বাড়িতে তুলতে সক্ষম।
শুধু ওজন কমানোই নয় কোষ্ঠকাঠিন্যের মত জটিল সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম এই পানীয়। প্রতিদিন এই পানীয় গ্রহণের ফলে দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক। এটি আপনার অন্ত্রের চলাচলের উন্নতি করে যা আপনার পেটকে স্বাস্থ্যকর এবং হালকা রাখে।