- Home
- Lifestyle
- Health
- গর্ভাবস্থায় ভুলেও খাবেন না জিরে থেকে হিং-এর মতো মশলা, এই পাঁচ মশলা গর্ভপাতের কারণ হতে পারে
গর্ভাবস্থায় ভুলেও খাবেন না জিরে থেকে হিং-এর মতো মশলা, এই পাঁচ মশলা গর্ভপাতের কারণ হতে পারে
রান্নার যে কোনও মশলা শুধু স্বাদ বৃদ্ধি করে এমন নয়। এই সকল মশলায় রয়েছে একাধিক পুষ্টিগুণ। যা শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে আমাদের। কোনও কোনও মশলার গুণে শরীরের একাধিক ঘাটতি পূরণ হয়, তো কোনও মশলা আমাদের শারীরিক জটিলতা থেকে মুক্তি দেয়। যেমন, রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে মেথি ভেজানো জল খান অনেকে। তেমনই ওজন কমাতে অনেকে খান জিরে ভেজানো জল। কিন্তু, জানেন কি এই সকল একাধিক উপকারী মশলা গর্ভস্থ মহিলাদের জন্য ক্ষতিকর। এমন কিছু মশলা আছে যা খেলে হতে পারে গর্ভপাত। সে কারণে গর্ভধারণের পরই মহিলাদের একটি চার্ট দেওয়া হয়। আজ জেনে নিন গর্ভবস্থায় কোন কোন মশলা ভুলে খাবেন না।
| Published : Jun 24 2022, 11:13 AM IST
- FB
- TW
- Linkdin
জিরে ভেজানো জল খান অনেকেই। রাতে এক গ্লাস জলে ১ চা চামচ জিরে সারা রাত ভিজিয়ে রাখেন। সকালে সেই জল ছেঁকে অনেকে পান করেন। তেমন অনেকে জিরে দেওয়া জল ফুটিয়ে তা পান করেন। এতে দূর হয় একাধিক শারীরিক জটিলতা। তেমনই ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু, গর্ভধারণের পর এই অভ্যেস বদল করা সবার আগে দরকার।
গর্ভাবস্থায় ভুলে খাবেন না জিরের জল। জিরে ভেজানো জল গর্ভবতী মহিলাদের জন্য মোটেও নিরাপদ নয়। এতে অম্বল দেখা দিতে পারে। এই জল খেলে গলা-বুক জ্বালা অনুভূত হতে পারে। তেমনই দেখা দিতে পারে কিডনির রোগ। আবার এই জল শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে। সেক্ষেত্রে গর্ভস্থ বাচ্চার ক্ষতি হয়। তাই সতর্ক থাকুন এই প্রসঙ্গে।
রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে মেথি জল বেশ উপকারী। অনেকেই রাতে মেথি ভিজিয়ে রাখেন। সকালে উঠে তা পান করেন। এই জল ডায়াবেটিস রোগীদের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। তেমনই পিসিওডি-র রোগীদের জন্য এটি উপকারী। তবে, গর্ভধারণের পর মেথি ভেজানো জল না খাওয়াই ভালো। মেথি দানা থেকে দেখা দেয় একাধিক শারীরিক জটিলতা।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, গর্ভবতী মহিলারা মেথি ভেজানো জল খেলে বা মেথি দানা খেলে তাদের গ্যাস ও ফোলাভাব সৃষ্টি হয়। তেমনই এর খারাপ প্রভাব পড়ে পাচনতন্ত্রর ওপর। প্রভাব পড়ে জরায়ুর ওপর। তাই বাচ্চাকে রক্ষা করতে এবং সুস্থ বাচ্চার জন্ম দিতে চাইলে বন্ধ করুন মেথি খাওয়া।
রান্নায় স্বাদ ফেরাতে রসুন অপরিহার্য উপাদান। তেমনই সুস্থ থাকতে অনেকে রোজ ১ কোয়া করে রসুন খেয়ে থাকেন। তাছাড়া রান্না ঘরে সব সময় মজুত থাকে গার্লিক পাউডার। অনেকে প্রায় সব রান্নাতেই ব্যবহার করেন এই মশলা। তেমনই, গার্লিক পাউডার দিয়ে পানীয় তৈরি করে খান অনেকে। গর্ভধারণের পর ভুলেও এই কাজ করবেন না।
গর্ভাবস্থায় রসুন খাওয়া উচিত নয়। রসুন অম্বল, গলা-বুক জ্বালা হওয়ার প্রধান কারণ। এতে গর্ভস্থ বাচ্চার নানা রকম ক্ষতি হয়। তাই গর্ভবতী মায়েরা যতটা পারবেন এড়িয়ে চলুন রসুন খাওয়া। রান্নায় রসুনের গুড়োর ব্যবহার কমান। এতে শরীর থাকবে সুস্থ। তেমনই গর্ভস্থ বাচ্চা থাকবে সুস্থ। তা না হলে বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে।
ভুলেও খাবেন না পিপারমিন্ট বা মেন্থল। এটি জরায়ুকে শিথিল করতে পারে। সুতরাং, গর্ভাবস্থায় এটিকে এড়িয়ে চলা সব থেকে ভালো। শরীর সুস্থ রাখতে মেন্থল উপকারী। কিন্তু, গর্ভবতী মহিলাদের জন্য এটা মোটেও উপকারী। এতে গর্ভস্থ বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে। তাই বাচ্চাকে রক্ষা করতে খাবেন না মেন্থল বা পিপারমিন্ট।
ভুলে ও খাবেন না হিং। গর্ভপাতের মতো দুঃসহ ঘটনা ঘটতে পারে এর জন্য। গর্ভধারণের পর ভুলেও ছোঁবেন না হিং। এতে থাকা একাধিক উপকরণ বাচ্চার মারাত্মক ক্ষতি করে। সুস্থ থাকতে চাইলে খাবেন হিং। বাচ্চাকে রক্ষা করতে চাইলে গর্ভধারণের পরই মহিলাদের একটি চার্ট মেনে চলতে হবে। গর্ভবস্থায় এই কয়টি মশলা ভুলে খাবেন না।
এছাড়া, গর্ভবতী মহিলাদের যতটা সম্ভব ক্যাফিনযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। এর কারণে শরীর জলশূন্য হয়ে পড়ে। সে কারণে চা ও কফি বেশি পরিমাণ খান না অনেকেই। তবে, গ্রিন টি একাধিক পুষ্টি গুণে পরিপূর্ণ। সে কারণে অনেকে মনে করেন, এটি যত খুশি খাওয়া চলে। এই ধারণা একেবারে ভুল। মনে রাখতে হবে গ্রিন টি ভেষজ চা নয়। তাই দিনে ২ বারের বেশ খাবেন না গর্ভস্থ মহিলারা।
দীর্ঘ ৯ মাস নিয়ম মেনে চলতে হয় গর্ভস্থ মায়েদের। এই সময় নানান শারীরিক জটিলতা, নানান কষ্ট সহ্য করে জন্ম দেয় সন্তানের। গর্ভধারণ থেকে সন্তানের জন্ম দেওয়া, পুরো সময়টা প্রতি পদক্ষেপে সতর্ক থাকতে হয় মেয়েদের। নিয়ম করে খাওয়া দাওয়া, ওষুধ, এক্সারসাইজ -সবই করতে হয় সতর্কতার সঙ্গে। এই সময় মেয়েদের বিশেষ নজর দিতে হয় খাওয়া দাওয়া প্রসঙ্গে।