জরায়ুর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এই ১০টি খাবারের গুণে, জেনে নিন কী কী খাবেন
- FB
- TW
- Linkdin
খাদ্যতালিকায় রাখুন ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। এই ধরনের খাবার আপনার শরীর থেকে টক্সিন ও বর্জ্য দূর করতে সাহায্য করে। এই ধরনের খাবার আপনার শরীরে সঞ্চিত অতিরিক্ত ইস্ট্রোজেন অপসারে সাহায্য করে। জরায়ু ফাইব্রয়েড গঠনে বাধা দেয়। ফাইব্রয়েডের উৎস হিসেবে মটরশুটি, লেবু, শাকসবজি, ফল ও শস্য খেতে পারেন। সঙ্গে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ গ্লাস জল পান করুন।
রোজ খাদ্যতালিকায় রাখুন ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন সমৃদ্ধ সবজি। ফাইব্রয়েডের ঝুঁকি কমাতে খান সবুজ সবজি। খেতে পারেন লেবু, বাঁধাকপি, ব্রকলি। এই সকল সবজি ফাইটোস্ট্রোজেন সমৃদ্ধ। ফাইটোস্ট্রোজেন আপনাপ ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমিয়ে দেয়। এর ফলে আপনার জরায়ুতে টিউমারের বৃদ্ধি রোধ হয়।
রোজ ভিটামিন সি ও বায়োফ্ল্যাভোনয়েড সমৃদ্ধ ফল খান। এগুলো জরায়ুতে ফাইব্রয়েডের বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। আপনার ইস্ট্রোজেনের মাত্রা ঠিক রাখে। এতে ওভারিয়ান ক্যান্সার থেকে রক্ষা পেতে পারেন। তাই নিয়ম করে ফল খান। এতে জরায়ু যেমন ভালো থাকবে তেমনই ফলে থাকা একাধিক উপাদান শরীর রাখবে সুস্থ।
খেতে পারেন দই, পনির, দুধ ও মাখন। এহুলোতে ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম আছে। যা হাড় সুস্থ রাখার সঙ্গে জরায়ুর স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এটি জরায়ু ফাইব্রয়েড এর ঝুঁকি কমায়। তাই জরায়ুর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে রোজ দুগ্ধ জাতীয় প্রোডাক্ট খেতে পারেন। এতে শরীর সুস্থ থাকবে। সঙ্গে ৮ থেকে ১০ গ্লাস করে জল পান করুন রোজ।
খেতে পারেন গ্রিন টি। দুধ চা-কে একেবারে বাই বাই বলুন। গ্রিন টি-তে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এই চা একদিকে যেমন জরায়ুকে ভালো রাখে তেমনই সুস্থ রাখে শরীর। সঙ্গে বাড়তি ওজন কমাতে চাইরে অবশ্যই গ্রিন টি খেতে পারেন। শরীর সুস্থ রাখতে খেতে পারেন গ্রিন টি। তাই এবার থেকে দিনে ২ থেকে ৩ বার খেতে পারেন গ্রিন টি।
খান ঠান্ডা জলের মাছ। ওমেগা ৩-তে পরিপূর্ণ মাছ খেতে পারেন। এতে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড। যা শরীরের প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিমের উৎপাদন কমায়। তেমনই এতে থাকা একাধিক যৌগ জরায়ু ভালো রাখে। শরীর সুস্থ রাখতে খেতে পারেন ঠান্ডা জলের মাছ। ম্যাকেরেল ও স্যামন মাছ বেশ উপকারী। তাই রোজের খাদ্যতালিকায় রাখুন এমন খাবার।
পাতিলেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যা আমাদের শরীর সুস্থ রাখে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সঙ্গে জরায়ুর স্বাস্থ্য ভালো রাখে। শরীর সুস্থ রাখতে চাইলে রোজ পাতিলেবু খান। সকালে খালি পেটে গরম জলে পাতিলেবুর রস চিপে খেতে পারেন। এতে শরীর থাকবে সুস্থ। ভালো থাকবে জরায়ু।
রোজ বাদাম খেতে পারেন। এতে রয়েছে ওমেগা ৩ ও ভালো কোলেস্টেরল। এটি শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ এই খাবার জরায়ুর ক্যন্সারের ঝুঁকি কমায়। রোজ খাদ্যতালিকায় রাখুন বাদাম। এই গর্ভাবস্থায়ও খেতে পারেন। এতে গর্ভস্থ বাচ্চার বিকাশ ঘটবে।
খেতে পারেন ক্যাস্টর অয়েল। এই তেল দিয়ে রান্না করুন। এতে রয়েছে একাধিক উপকারী উপাদান। এতে জরায়ু সুস্থ থাকবে। এবার থেকে মেনে চলুন এই টোটকা। ক্যাস্টর অয়েল যেমন ত্বকের জন্য উপকারী। তেমনই উপকারী জরায়ুর জন্য। এবার থেকে মেনে চলুন এই টোটকা
অল্প বয়স থেকে বহু মেয়ের দেখা দিচ্ছে ইউটেরাসের সমস্যা। হচ্ছে গাইনো সমস্যা। কখনও মাসিক নিয়ে সমস্যা তো কখনও গর্ভধারণে সমস্যা। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে খেতে পারেন পালং শাক। এই শাকে রয়েছে একাধিক পুষ্টিগুণ। যা জরায়ুর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। এবার থেকে খাদ্যতালিকায় রাখুন পালং শাক।