শিথিল হয়েছে মাস্ক ব্যবহারের নিয়ম, তবে অসতর্ক হলে ফের আক্রান্ত হতে পারেন ভাইরাসে
২০১৯ সালের শেষ থেকে করোনার (Corona) দাপটে নাজেহাল অবস্থা সমস্ত বিশ্ববাসীর। করোনা একে একে প্রাণ কেড়েছে কোটি কোটি মানুষের। এই রোগ ক্রমে গ্রাস করেছে বিশ্বের সব কয়টি দেশ। রোগের প্রভাবে অভিভাবক হারা হয়েছেন বহু বাচ্চা, তেমনই সন্তান হারিয়েছেন বহু মা-বাবা। রোগে কবল থেকে মুক্তি পেতে চালু হয়েছে করোনা বিধি নিষেধ। মাস্ক (Mask) পরা ও সোশ্যাল ডিস্টেন্স (Social Distancing) মেনে কিছুটা হলেও রক্ষা পাওয়া গিয়েছে। এবার এই মাস্ক নিয়ে জাড়ি হল নয়া নির্দেশিকা।
- FB
- TW
- Linkdin
US সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেশন মাস্ক নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি করেছেন। আমেরিকার জনসংখ্যার প্রায় ৭০ শতাংশের জন্য আভ্যন্তরীণ অঞ্চলগুলোতে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক নয়। অর্থাৎ কিছুটা হলেও শিথিল হল করোনার বিধিনিষেধ।
US সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেশন মাস্ক নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি করার পর, ভারতেও চালু হল নয়া নিয়ম। নয়া নির্দেশ অনুসারে, ভারতে পাবলিক প্লেসে মাক্স পরা বাধ্যতামূলক। তবে, প্রাইভেট ফোর হুইলার গাড়িতে না পরলেও হবে। এখন থেকে আর জরিমানা দিতে হবে না কাউকে।
এবার থেকে দিল্লিতে জাড়ি হয়েছে এমন নিয়ম। সখানে গাড়িতে মাস্ক ব্যবহার না করলেও চলবে। সেক্ষেত্রে জড়িমানা দিতে হবে না কাউকে। এতদিন দিল্লিতে গাড়িতে থাকলেও মাস্ক পরতে হত। এবার থেকে আর এই নিয়ম না মানলেও চলবে।
বেশ কয়টি দেশ তাদের নিষেধাজ্ঞাও শিথিল করেছে। গবেষণা হয়েছে ইন ফ্লাইট সংক্রমণ নিয়ে। গবেষকরা জানান, SARs-CO-2 ভাইরাসের ইন ফ্লাইট সংক্রমণ সম্ভাব কিন্তু তা অপেক্ষাকৃত কম ঘটে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ থেকে একটি সমীক্ষা করা হয়। সেই সমীক্ষা অনুসারে, ভেন্টিলেশন ও এয়ার ফিল্টারেশন পদ্ধতি দ্বারা বায়ুবাহিত সংক্রমণের ঝুঁকি কমে।
এদিকে বিমানে যাতায়াতের সময় যাত্রীদের টিকাকরণ, করোনার পরীক্ষা করার মতো বিষয় গুরুত্ব দেওয়া হয়। ফলে, এমনিতেই রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি কম হয়। ফলে, ইন ফ্লাইট সংক্রমণ যে সেভাবে মানুষের শরীরে প্রভাব ফেলতে পারে না, তা প্রমাণিত।
গবেষণা অনুসারে, বাইরে ভ্রমণের সময় মাস্ক পরা মাধ্যতা মূলক। কারণ, ভুলবসত মুখে হাত দিলে, তার থেকে সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যায়। কিন্তু, বিমানে ভ্রমণের সময় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি কম। যেহেতু বিমানে ওঠার আগে যাত্রীদের পরীক্ষা করা হয়, সেক্ষেত্রে সংক্রমিত রোগীর বিমানে ওঠার সম্ভাবনা কম থাকে। ফলে, কোনও ব্যক্তির থেকে সংক্রমণের সম্ভাবনাও কম।
করোনার বিধি নিষেধ সামান্য শিথিল হলেও, পুরোপুরি উঠে যায়নি। WHO (ওয়ার্ল্ড হেলফ অরগানাইজেশন)-এর মতে, কোভিড ১৯ প্রায় ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের ফুসফুস বা হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর প্রভাব ফেলে। মাস্ক পরা বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলে রোগের ঝুঁকি কমে। ভালো করে ঢেকে রাখতেল এমনিতেই ঝুঁকি কমে যায়।
মাস্ক ব্যবহারের কড়াকড়ি কিছুটা হলেও সতর্ক হয়েছে বর্তমানে। তাই বলে একেবারে মাস্ক ব্যবহার বন্ধ করে দেবেন এমন নয়। মনে রাখতে হবে, মাস্ক ব্যবহারে ফলে, করোনা ভাইরাস আমাদের শরীরে প্রবেশে বাধা পায়। তাই ভিড়ে তা ব্যবহার করা অত্যাবশ্যক।
মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনেকেই ডিজাইন করা কাপড়ের তৈরি মাস্ক ব্যবহার করেন। এই ধরনের মাস্ক কিছুক্ষেত্রে করোনা থেকে রক্ষা করে ঠিকই, কিন্তু পুরোপুরি নয়। তাই প্রয়োজন সঠিক এন৯৫ মাস্কের ব্যবহার। অথবা, কাপড়ের তৈরি মাস্ক করতে হলে দুটি মাস্ক একসঙ্গে পরুন।
করোনা মুক্ত থাকার জন্য খাওয়ার আগে সঠিক ভাবে হাত ধোবেন। অযথা মুখে ও নাকে হাত দেবেন না। কোনও রকম শারীরিক জটিলতা লক্ষ্য করলে তৎক্ষণাত ডাক্তারি পরামর্শ নিন। তা না হলে, যে কোনও সময় করোনা আক্রান্ত হতে পারেন।