মাসিক পিছতে আর ওষুধ নয়, মেনে চলুন ঘরোয়া টোটকা, এই ১০ উপায় উপকার পাবেন
- FB
- TW
- Linkdin
পিরিয়ড পিছতে নানা রকম ওষুধ খান অনেকে। তবে, জানেন কি অনেক ওষুধেরই নানা রকম সাইড এফেক্ট রয়েছে। এবার পিরিয়ডস পিছতে এবার ওষুধ নয়, মেনে চলুন ঘরোয়া টোটকা। এমন কিছু খাবার আছে, যা খেলে পিরিয়ডস পিছিয়ে যায়। এই সহজ টোটকা মেনে চললে উপকার পাবেন। জেনে নিন কী খাবেন কী খাবেন না।
পিরিয়ডস পিছতে চাইলে গোটা মাস বরাবর মরিচ, রসুনের মতো খাবার এড়িয়ে চলুন। ডায়েট থেকে বাদ দিন মশলাদার খাবার। এতে শুধু পিরিয়ডস পিছবে এমন নয়। সঙ্গে শরীরও সুস্থ থাকবে। এই টোটকা সারা মাস মেনে চলুন। এতে কোনও রোগও আপনাকে ছুঁতে পারবে না। এর সঙ্গে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিন রেস্তোরাঁ-র খাবার।
সরষের গুঁড়ো মাসিক পিছিয়ে দিতে বেশ উপকারী। ১ কাপ গরম দুধে ২ চা চামচ সরষের গুঁড়ো মিশিয়ে খান। পিরিয়সড যে সপ্তাহে হওয়ার কথা, তার এক সপ্তাহ আগে থেকে পান করুন এই পানীয়। একদিনও বন্ধ করবেন না। এতে পিরিয়ডস দেরিতে হবে। নির্দিষ্ট সময় কেটে গেলে, তবেই এই দুধ খাওয়া বন্ধ করবেন।
অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মাসিক পিছিয়ে দিতে বেশ উপকারী। পিরিয়ড আসার ১০ দিন আগে থেকে রোগ ১ চা চামচ করে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার পান করুন। এটি রোজ খেলে ৫ থেকে ৬ দিন পিরিয়ডস পিছিয়ে যাবে। তাই এই টোটকা মেনে চললে বেশ উপকার পাবেন।
খেতে পারেন রাম্পবেরি পাতা। এটি ভিটামিন সি পরিপূর্ণ। যা মাসিকের প্রক্রিয়াকে ধীরে করতে সাহায্য করে। যে দিন মাসিক হওয়ার কথা, তার কদিন আগে থেকে রাম্পবেরি পাতা খান। এতে পিরিয়ড পিছিয়ে যাবে। তবে, এই সময় পেটে টান ধরার সমস্যা হতে পারে। সেক্ষেত্রের চিন্তার কিছু নেই। পিরিয়ডস পিছতে চাইলে খেতে পারেন এই গাছেপ পাতা।
খেতে পারেন পেঁপে। পেঁপেতে থাকে ক্যারোটিন। যা শরীরের ইস্ট্রোজেনের মাত্রার পরিবর্তন করে। এতে রক্তচলাচলে পরিবর্তন হয়। যার প্রভাবে পিরিয়ড পিছতে পারে। মাসিক যে দিন হওয়ার কথা। তার ৪ থেকে ৫ দিন আগে থেকে রোজ ১ বাটি করে পেঁপে সেদ্ধ খান। এতে উপকার পাবেন।
জিলেটিন মাসিক পিছিয়ে দিতে বেশ উপকারী। এক কাপ জলে জিলেটিন মিশিয়ে নিন। তা পান করুন। এতে ১ সপ্তাহ পর্যন্ত মাসিক পিছিয়ে যায়। এই টোটকা বেশি উপকারী। এই টোটকা মেনে চললে সহজে উপকার পাবেন।
অধিক চিন্তার কারণে অনেক সময় পিরিয়ডস এগিয়ে যায়। তাই এই সময় মানসিক সুস্থতা বজায় রাখুন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে টেনশনের জন্য তাড়াতাড়ি পিরিয়ড হয়ে যায়। এক্ষেত্রে মেডিটেশন করতে পারেন। তাতে উপকার পাবেন। মানসিক সুস্বাস্থ্য বজায় থাকলে যে কোনও রোগ থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন।
কঠিন এক্সারসাইজ এই সময় না করাই ভালো। অধিক শারীরিক পরিশ্রমের জন্য মানসিক এগিয়ে যায়। তাই এই কটি দিন হালকা ব্যায়াম করুন। তা না হলে মাসিক এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাবে। এই সময় মাসাজ না করাই ভালো। এতেও মাসিক এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
মাসিক পিছতে যতটা পারবেন কম ওষুধ খান। অনেক সময় ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার জন্য নানা রকম শারীরিক জটিলতা বৃদ্ধি পায়। তাই সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে ঘরোয়া টোটকা মেনে চলতে পারেন। একান্ত ওষুধ খেতেই হলে অবশ্যই তা ডাক্তারি পরামর্শ মেনে খাবেন।