অল্প কাজ করলেই গা-হাত-পা ব্যথা করছে? পেশীর ব্যথা দূর করতে এই কয়টি খাবার খান
সারাটা দিন কাটে চরম ব্যস্ততার মধ্যে। সংসার সামলে অফিস যাওয়া। দিনের শেষ ক্লান্ত হয়ে ফেরা। মনের জোড়ে সব কাজ করে চলেছেন, কিন্তু শরীর আপনাকে সব সময় সঙ্গ দেয় না। অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্ত লাগে। একটু কাজ করলেই পেশিতে ব্যথা হয়। এই সমস্যা অনেকেই উপেক্ষা করে যান। কিন্তু, এক সমস্যা এই পেশির ব্যথা মারাত্মক আকার নিতে পারে। পেশির ব্যথায় সারাক্ষণ ভুগছেন অনেকে। আজ রইল কয়টি খাবারের কথা। খাদ্য তালিকায় এই কয়টি খাবার রাখলে দূর হবে পেশির ক্লান্তি ভাব। জেনে নিন কী কী খাবেন।
- FB
- TW
- Linkdin
রোজ খাদ্যতালিকা রাখুন একটি করে ডিম। এতে ভিটামিন এ, ফলিক অ্যাসিড, প্রোটিন থাকে। যা শরীরের সকল ঘাটতি দূর করে। রোজ সকালে একটি করে ১ থেকে ২টি করে ডিম খান। এতে দূর হবে পেশির ক্লান্তি। শিশুকেরও রোজ ডিম খাওযাতে পারেন। শিশুর দৈহিক বৃদ্ধি হবে, হাড় শক্ত হবে এর গুণে। সঙ্গে বুদ্ধির বিকাশ ঘটে।
রোজ এক গ্লাস করে দুধ খান। দুধে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে। এতে হাড় যেমন শক্ত হবে তেমনই পেশি শক্ত হয়। দুধে ভিটামিন ও মিনারেল থাকে। এতে শরীর যেমন সুস্থ থাকে, তেমনই মানসিক চাপ দূর হবে। রাতেও এক গ্লাস দুধ খেতে পারেন।
অ্যাপেল সিডার ভিনিগার খেতে পারেন। খালি পেটে জলের সঙ্গে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে খেতে পারে। এটি শরীরের জন্য বেশ উপকারী। এতে ৯৪ শতাংশ জল, ১ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট থেকে। ওজন কমাতে এটি বেশ উপকারী। এমনকী হজমশক্তিও বাড়ে নিয়মিত এই অ্যাপেল সিডার ভিনিগার খেলে। সঙ্গে দূর হবে পেশির ক্লান্তি ভাব।
রোজ ৮ থেকে ১০টি করে আমন্ড খান। এতে থাকে ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন ই। যা পেশি শক্ত করে থাকে। আমন্ডে থাকা একাধিক পুষ্টিগুণ এনার্জি বৃদ্ধি করে থাকে। এতে কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন থাকে। রোজ রোজা ৮ থেকে ১০টি আমন্ড জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে উঠে এই সব কয়টি বাদাম ব্লেন্ড করে নিন। এবার তার সঙ্গে দুধ মিশিয়ে শরবত বানান। এতে উপকার পাবেন।
পেশীর দুর্বলতা দূর করতে রোজমেরি অয়েল বেশ উপকারী। এতে তাকে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য। এই তেল দিয়ে মাসাজ করতে পারেন। ৩০ মিলি নারকেল তেল কিংবা বাদাম তেলের সঙ্গে ১২ ফোঁটা রোজমেরি অয়েল নিন। ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে এই তেল ব্যথার জায়গায় লাগান ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে উপকারী পাবেন।
রোজ খাদ্যতালিকায় রাখুন ভিটামিন যুক্ত খাবার। রোজ ১ বাটি করে সবজি সেদ্ধ খান। সকালে ব্রেকফার্স্টে কিংবা দুপুরের খাবারের সঙ্গে খেতে পারেন সবজি সেদ্ধ। সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে। সঙ্গে খেতে পারেন ১টি করে ফল। রোজ ফল খেলে দূর হবে শরীরের সকল ঘাটতি। রোজ খাবার পর একটি করে ফল খান।
জানেন কী কফির গুণে দূর হবে পেশীর ক্লান্তি ভাব। এতে ক্যাফেইন নামে একটি উপাদান থাকে। রোজ ১ থেকে ২ কাপ কফি খেতে পারেন। এতে পেশীর দুর্বলতার সমস্যা দূর হবে। ডিমেশিয়া ও পারকিনসন্স রোগের ঝুঁকি কমায় রোজ কফি খেলে। তবে, আপনার শরীরে অন্য কোনও জটিল রোগ থাকলে, সতর্ক হন। ডাক্তারি পরামর্শ নিয়ে তবেই কফি খান। তা না হলে সমস্যা বাড়তে পারে।
রোজ একটি করে কলা খেতে পারেন। এতে পটাসিয়াম ও কার্বোহাইড্রেট আছে। পেশীতে ব্যথা অনুভব হলে, রোজ একটি করে কলা খান। এটি শরীরের জন্য বেশ উপকারী। যারা ব্যায়াম করেন তারা রোজ একটি করে কলা খেতে পারে। রোজ খাদ্যতালিকায় যোগ করুন একটি করে কলা। চাইলে ব্যানানা স্মুদি খেতে পারেন।
গাঁটের ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে পারে গাজর। এতে থাকা উপকারী উপাদান গাঁটের ব্যথা উপসম করে। গাজরের জুস তৈরি করুন। তা রোজ সকালে খান। নিয়মিত খেলে উপকার পাবেন।
দইতে থাকে ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ভিটামিন বি। যা শরীরে পুষ্টি জোগায়। রোজ খেতে পারেন ১ বাটি দই। এতে শরীরের সকল ঘাটতি পূরণ হবে। পেশি শক্ত হবে। দইয়ের গুণে ত্বক ও চুল ভালো থাকে। খাওয়ার সঙ্গে মাখতেও পারেন দই। তাই সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে দই খান।
এর সঙ্গে খেতে পারেন বাদাম। এতে ম্যাগনেশিয়াম ও নিউট্রিয়েন্ট থাকে। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে খেতে পারেন বাদাম। বাদামে থাকা একাধিক পুষ্টিগুণ পেশি শক্ত করে। তাই রোজ নিয়ম করে বাদাম খান।