World Alzheimer Day: জেনে নিন কেন হয় এই রোগ, রইল রোগ থেকে মুক্তির উপায়ের হদিশ
- FB
- TW
- Linkdin
এখন প্রশ্ন হল কী করবে বুঝবেন এই রোগ আপনার শরীরে বাসা বেঁধেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাওয়া এই রোগে অন্যতম লক্ষণ। এটি রোগের প্রাথমিত অবস্থা। কারও নাম ভুলে যাওয়া, কী কাজ করবেন তা ভুলে যাওয়া কিংবা তারিখ ভুলে যাওয়ার মতো সমস্যা উপেক্ষা করবেন না।
তেমনই যদি কথা বলা বা লেখার সমস্যা হলে উপেক্ষা করবেন না। অ্যালজাইমার রোগ হলে হতে পারে এমনটা। এই রোগের আক্রান্ত হলে এমন সমস্যা দেখা দেয়। যদি দেখেন বয়স বাড়ার সঙ্গে আপনা লিখতে কিংবা কথা বলতে সমস্যা হচ্ছে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
তেমনই বারে বারে মেজাজ পরিবর্তন হওয়া মোটেও স্বাভাবিক বিষয় নয়। অ্যালজাইমার রোগে আক্রান্ত হলে হতে পারে এমনটা। হতাশা, ভীতি, চিন্তা, সন্দেহ কিংবা বিভ্রান্ত হওয়ার মতো সমস্যা উপেক্ষা করবেন না। এতে বাড়তে পারে জটিলতা। মেজাজ বারে বারে পরিবর্তন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
এছাড়াও, নিত্যদিনের কাজ শেষ করতে সমস্যা হয় অনেকের। সময় মতো কাজ করে উঠতে পারে না। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সঠিক সময় চিকিৎসকরে পরামর্শ নিন। অলসতা, কিংবা কাজ করতে অক্ষমতা মোটেও সাধারণ বিষয় নয়। অধিকাংশই এই সমস্যাকে সাধারণ রোগ ভেবে উপেক্ষা করেন। এবার এমন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে অবশ্যই চিকিৎসকের পরমার্শ নিন। তার সঙ্গে বদল আনুন খাদ্যতালিকায়। সঠিক খাদ্যাভ্যাস মুক্তি দিতে পারে রোগ থেকে। অ্যালজাইমার রোগের প্রতিকার করতে মেনে চলুন বিশেষ টিপস। অ্যালজাইমার রোগে আক্রান্ত হলে সবার আগে খাদ্য তালিকা যোগ করুন কয়টি খাবার। প্রতিদিন বেরি, ব্রোকোলি, ফুলকপির মতো ফল খান।
এর সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ যুক্ত খাবার খান। এতে স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে। স্যালমন, টুনা, ম্যাকরেল, সার্ডিন মাছ খেতে পারেন। এই ধরনের খাবার স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাবে। তেমনই খেতে পারেন বাদাম ও বেরির মতো খাবার। সুস্থ থাকতে ব্লু বেরি ও স্ট্রবেরি খেতে পারেন। এতে স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটবে।
এখন প্রশ্ন হল কেন হয় অ্যালজাইমারের মতো রোগ। বিশেষজ্ঞদের মতে এর পিছনে রয়েছে নানা কারণ। তবে, জেনেটিক কারণে এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। তেমনই বয়স্কজনিত পরিবর্তন, পরিবেশগত পরিবর্তন ও জীবনশৈলীর কারণে হতে পারে এই রোগ। এবার থেকে এই সকল লক্ষণ দেখা দিলে তৎক্ষণাত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এই রোগ ফেলে রাখা উচিত নয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ৬৫ বছরের বেশি বয়স্কদের ক্ষেত্রে প্রতি ৫ বছর অন্তর অ্যালজাইমার আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। ৮৫ বছর বা তার বেশি বয়সের প্রায় এক তৃতীয়াংশ মানুষের অ্যালজাইমার রোগ হতে পারে। তাই নির্দিষ্ট সময় অন্তর পরীক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। আপনার অজান্তেই এই রোগ শরীর বাসা বাঁধতে পারে। সময় থাকতে চিকিৎসা শুরু করুন।
অ্যালজাইমার রোগের প্রধান লক্ষণ হল ভুলে যাওয়া। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই এই সমস্যায়র সম্মুখীন হয়ে থাকেন। অধিকাংশই এটি বয়সকালের সমস্যা ভেবে উপেক্ষা করি। কিন্তু, এমন করলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। তাই সময় থাকতে চিকিৎসা শুরু করুন। সঠিক সময় রোগ ধরা পড়লে এর থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এই রোগ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
১৯০১ সালের প্রথমবার একজন জার্মান মনোবিদ অ্যালয়েজ অ্যালজাইমার রোগটি চিহ্নিত করেন। তাঁর নাম অনুসারে রোগটির নামকরণ করা হয় অ্যালজাইমার। বর্তমানে সারা বিশ্বে বহু মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। বয়স বাড়ার সঙ্গে দেখা দিতে পারে এই রোগ। তাই এই কয়টি লক্ষণ উপেক্ষা করবেন না। সময় থাকতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করলে সুস্থ থাকা সম্ভব।