বেড়নোর আগেই মোশন সিকনেসের ভয়, রইল এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া টিপস
একজন ফিটনেস এক্সপার্ট পূজা মাখিজা তাঁর ইন্সটাগ্রাম হ্যান্ডেলে মোশন সিকনেস থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় শেয়ার করেছেন। তিনি লিখেছেন, আমাদের বাড়ির রান্নাঘরেই নাকি রয়েছে এই ধরনের অস্বস্তি থেকে মুক্তি পাাওয়ার চাবিকাঠি। সেখানেই রয়েছে এমন কিছু জিনিস যা মোশন সিকনেসকে দূর করে। কীভাবে তা সম্ভব জেনে নেওয়া যাক।
- FB
- TW
- Linkdin
মোশন সিকনেস কথাটার সঙ্গে আমরা সকলেই কম বেশি পরিচিত। অনেকেই লং ড্রাইভে যেতে চান কিন্তু এই মোশন সিকনেস যেন সব আনন্দকে পন্ড করে দেয়। বাসে বা চার চাকা গাড়িতে করে ঘুরতে যাচ্ছেন। সবাই একদিকে আনন্দে মেতে রয়েছেন আর আপনি ভুগছেন মোশন সিকনেসে।
মোশন সিকনেস খুবই বিরক্তিকর একটি সমস্যা তা কিন্তু বলার অবকাশ রাখে না। সুন্দর করে সেজেগুছে ভালো মুডে বেড়োলেন আর কিছুক্ষণের মধ্যেই যেন মনে হচ্ছে বমি বমি ভাব, অসহ্য মাথার যন্ত্রনা, শরীরে ক্লান্তি অনুভব---এঅই রকম ঝামেলা নিয়ে কী আর ঘোরার আনন্দ উপভোগ করা যায়! গাড়ি হোক বা নৌকা প্লেন হোক বা জাহাজ কোথাও গিয়েই যেন শান্তি নেই। ছায়ার মত পিছু করে এই মোশন সিকনেস।
মোশন সিকনেস তৈরি হওয়ার পিছনে যে কারনকে চিহ্নিত করা হয়েছে সেটি হল আমাদের শরীরের মোশন সেন্সেসিং অঙ্গ গুলো এই বিষয়টাকে আমাদের মাথা অভধি পৌঁছে দেয়। তারপরই শরীরের ভিতর এই অস্বস্তিগুলো তৈরি হতে থাকে। সেগুলো থেকে খুব সহজে আরাম পাওয়ার উপায় থাকে না। আর এই গোটা বিষয়টার জন্যই শরীরে অস্বস্তি দানা বাঁধতে থাকে। মোশন সিকনেস তৈরি হওয়ার পিছনে যে কারনকে চিহ্নিত করা হয়েছে সেটি হল আমাদের শরীরের মোশন সেন্সেসিং অঙ্গ গুলো এই বিষয়টাকে আমাদের মাথা অভধি পৌঁছে দেয়। তারপরই শরীরের ভিতর এই অস্বস্তিগুলো তৈরি হতে থাকে। সেগুলো থেকে খুব সহজে আরাম পাওয়ার উপায় থাকে না। আর এই গোটা বিষয়টার জন্যই শরীরে অস্বস্তি দানা বাঁধতে থাকে।
একজন ফিটনেস এক্সপার্ট পূজা মাখিজা তাঁর ইন্সটাগ্রাম হ্যান্ডেলে মোশন সিকনেস থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় শেয়ার করেছেন। তিনি লিখেছেন, আমাদের বাড়ির রান্নাঘরেই নাকি রয়েছে এই ধরনের অস্বস্তি থেকে মুক্তি পাাওয়ার চাবিকাঠি। সেখানেই রয়েছে এমন কিছু জিনিস যা মোশন সিকনেসকে দূর করে। কীভাবে তা সম্ভব জেনে নেওয়া যাক।
মোশন সিকনেস থাকলে কোথাও বেড়নোর আগে মোটেই ভারী খাবার খাওয়া উচিত নয়। এমন কিছু খেয়ে বেড়তে হবে যাতে গা বমি ভাব তৈরি না হয়। সেই সঙ্গে এটাও মনে রাখতে হবে যে, এমন কোনও খাবারও খাওয়া উচিত নয় যাতে অ্যাসিডিটি হতে পারে। মনে রাখবেন, অ্যাসিডিটি থেকে মাথা যন্ত্রনা হয়।
মোশন সিকনেস থাকলে কোথাও যাওয়ার আগে বানিয়ে ফেলুন ক্যামোমাইল চা। এই চা গ্যাসট্রিক ম্যাসলগুলোকে আরাম দেয়। সেই সঙ্গে শরীরের যে জায়গা থেকে গ্যাসের সমস্যার সুত্রপাত হয় তা রোধ করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। ফলস্বরূপ এই মোশন সিকনেস থেকে কিছুটা হলেও আরাম পাওয়া যায়।
যাাদের মোশন সিকনেস রয়েছে তাঁরা অবশ্যই সঙ্গে রাখুন আদা, পিপারমেন্ট জাতীয় জিনিস যেগুলো বমি ভাব দূর করতে সাহায্য করে। যখন মনে হবে মোশন সিকনেস তৈরি হচ্ছে তখনই এগুলো মুখে দিতে হবে। তাহলে এই অস্বস্তি থেকে কিছুটা হলেও রেহাই পাওয়ার সম্ভবনা থাকবে।
আপনার যদি মোশন সিকনেসের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে বেড়নোর আগে খেতে পারেন লিকোরাইস রুট বা মুলেঠি। এক গ্লাস জলে ৭৫ মিলিগ্রাম দিয়ে ওষুধের মত এটি খেতে পাারেন। তাহলে শরীরে মোশন সিকনেসের সমস্যা তৈরি না হওয়ার অনেকটা সম্ভবনা থাকে।
পূজা মাখিজা কিন্তু বলেইছেন যে মোশন সিকনেস থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য রান্না ঘরই হল আঁতুরঘর। চা থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় জিনিস কিন্তু সেখানেই পাওয়া যাবে বা তৈরি হয়। তাই আপনার যদি মোশন সিকনেসের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে এই নিয়ম গুলো মেনে চলুন।