- Home
- Lifestyle
- Health
- বর্ষার মরশুমে সামান্য অসাবধান হলেই পেটের সমস্যা, সুস্থ থাকতে কোন কোন বিষয় নজর রাখবেন
বর্ষার মরশুমে সামান্য অসাবধান হলেই পেটের সমস্যা, সুস্থ থাকতে কোন কোন বিষয় নজর রাখবেন
বর্ষা মানেই প্রতিদিন জিভে জল আনা নিত্যনতুন খাবার। খিচুড়ি, মাংস, চপ-সিঙ্গারা, গরম চা আর পকোরা, নানা রকম তেলে ভাজা আরও কতো কি। কিন্তু এর পাশাপাশি এও অস্বীকার করলে চলে না, এই সময় পেটের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে এই সময়টাতে একসঙ্গে একাধিক রোগের আধিক্য বাড়ে। এই স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ার কারনেই ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসদের প্রভাব বাড়ে। এর পাশাপাশি এই সময়টা যেহেতু মশা ও অন্যান্য পোকামাকড়দের প্রজননের সময়, তাই সংক্রমণ এই সময় আরও দ্রুত গতিতে ছড়ায়।
| Published : Jun 17 2021, 12:24 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
এখন প্রশ্ন হছে এই সবের থেকে মুক্তির উপায় কী? চিকিৎসকদের মতে এই সময় কিছু কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলে, খুব সহজেই এই ধরনের রোগকে প্রতিহত করা যাবে।
বর্ষাকালে আদ্রতা বেশি থাকে। যার ফলে খাবার সহজে হজম হতে চায় না। তাই সিদ্ধ খাবারের ওপর জোর দেওয়া প্রয়াজন। সিদ্ধ খাবার ভালো হজম হয়। অন্যদিকে তেলে ভাজা জাতীয় খাবার যতটা এড়িয়ে চলতে পারবেন ততই মঙ্গল।
বর্ষায় সবচে বেশি যে রোগ দুটি ছড়ায়, তা হোল ডেঙ্গু এবং ম্যালেরিয়া। এই দুটি রোগেরই বাহক যেহেতু মশা, তাই মশার আক্রমণ থেকে সাবধান হওয়া প্রয়োজন।
এই সময় বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার পরিছন্ন রাখুন। এর পাশাপাশি অবশ্যই মশারি ব্যাবহার করুন। মশা তাড়ানর ক্রিমও ব্যাবহার করতে পারেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে এই সময় সামুদ্রিক মাছ, যেমন চিংড়ি, কাঁকড়া এই ধরনের মাছ এড়িয়ে চলুন। কারন, এই সময়টা ওদের বংশবৃদ্ধির সময়। তাই টাটকা মাছ পাওয়াটা খুবই মুশকিল।
বর্ষার সময় আবহাওয়া একটু ঠাণ্ডা ঠাণ্ডাই লাগে। যার ফলে অনেকেই জল খওয়া কময়ে দেন। চিকিৎসকদের মতে এটি সবচে বড় ভুল। জল কম খওয়ার ফলে হজম ক্ষমতা কমে যায়। এই সময় সারাদিনে অন্তত ৮ গ্লাস জল খওয়া প্রয়োজন। লেবু জল বা আদা চাও খেতে পারেন।
এই সময় এমনিতেই শরীরে অ্যান্টিবডি কমে যায়। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য, ভিটামিন সি এবং প্রোটিন জাতীয় খাবার খওয়া প্রয়োজন।