- Home
- Lifestyle
- Health
- ওমিক্রণের বিরুদ্ধে লড়তে কিভাবে বাড়িয়ে তুলবেন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, জেনে নিন পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
ওমিক্রণের বিরুদ্ধে লড়তে কিভাবে বাড়িয়ে তুলবেন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, জেনে নিন পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
- FB
- TW
- Linkdin
হঠাৎ জ্বর, সেই সঙ্গে প্রচণ্ড গা-হাত-পা ব্যাথা অথবা পেটের সমস্যা এগুলো হতে পারে ওমিক্রনের লক্ষন। এই রোগ যা স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। যদি কোনও রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয় তবে শরীর সুস্থ থাকা অত্যন্ত জরুরী।
এমন সময় সংক্রমণ থেকে নিরাপদ থাকতে, আমরা ঘরে বসে, ঘন ঘন হাত ধোয়া, মাস্ক ব্যবহারের নিয়মগুলি অনুসরণ করছি। তবে কীভাবে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা যায়, এই বিষয়ে আমরা অনেকেই সচেতন নই।
প্রতিরোধ ক্ষমতা, এটি সাধারণত আমাদের জীবনযাত্রার এবং ডায়েটের উপর নির্ভরশীল। জেনে নেওয়া যাক কীভাবে বাড়িতে থেকেই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করা যায়, এই বিষয়ে কী বলছেন ডায়েটিশিয়ানরা।
এই অবস্থায় যতটা সম্ভব বাড়িতে থাকার একটি রুটিন ঠিক করতে হবে। এই সময়ে অনেকেই অনেক রাত অবধি জেগে থাকছেন, দেরী করে ঘুম থেকে উঠছেন, অথবা অনেক সময় ফ্রিজে থাকা ঠান্ডা খাবার খাচ্ছেন। এই নিয়মগুলি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
এই রুটিনে চললে বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। পাশাপাশি যারা ডায়াবেটিস বা হার্টের সমস্যা রয়েছে তা আরও বাড়তে পারে। রোগের বিরুদ্ধে লড়তে হলে নিজেকে সংযত রাখা সবচেয়ে জরুরি।
এই করোনা মহামারির ফলে ২০২০ সাল থেকে আমাদের উপর শুধু শারীরিক নয়, মানসিক চাপও সবার উপরে রয়েছে, তাও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এই সময়ে সুস্থ থাকার জন্য পর্যাপ্ত ভাল ঘুমের প্রয়োজন যা প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এমন পরিস্থিতিতে উচিত রাতে সময়ের আগে ঘুম পরা এবং খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠা।
এই রুটিন নিয়মিত মেনে চলার চেষ্টা করুন। ঘুম নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আপনি স্বাস্থ্যকর, সতেজ এবং শক্তিশালী বোধ করবেন। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে। ডায়াবেটিস, স্থূলত্ব, হৃদরোগ এবং রক্তচাপের রোগীদেরও তাদের অবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও পর্যাপ্ত ঘুমের দরকার।
যখন আমরা বাড়িতে থাকি তখন অন্য কোনও শারীরিক ক্রিয়াকলাপের সুযোগ থাকে না। আপনি যদি যোগা বা অন্য কোনও শারীরিক কসরত শিখে থাকেন তা নিয়মিত অভ্যাসে রাখুন। এছাড়া নিয়ম করে প্রতিদিন একই সময়ে চোখ বন্ধ করে মানসিক ভারসাম্য এবং তৃপ্তির জন্য ১০ থেকে ১৫ মিনিটের ধ্যান করুন।
মন্ত্র জপ করলে আপনার মনও শান্ত থাকবে। সকালে এবং সন্ধ্যা প্রতিদিন সময় করে ব্যায়াম করুন। এতে শরীর সুস্থ থাকবে এবং প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে তুলবে। এর সঙ্গে ঘুম থেকে ওঠার দুই ঘন্টার মধ্যে পেট ভরে প্রাতঃরাশ করুন। প্রতি ৩ থেকে ৪ ঘন্টা পরপর হালকা খাবার খান। মুড়ি, বিস্কুট, চিড়ে শরবত ইত্যাদি। দুপুরের খাবার বেলা ১ টা থেকে ২ টোর মধ্যে সেরে ফেলুন।
সন্ধ্যাবেলা কম চিনিযুক্ত চা সঙ্গে চিঁড়ে অথবা সুজির মতো হালকা খাবার খেয়ে নিন। রাত নটার মধ্যে রাতের খাবার সেরে ফেলুন। সেই সঙ্গে সারাদিনে নিয়ম করে প্রচুর জল পান করতে হবে। যা শরীরের থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করবে ও প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ করে শরীর সতেজ রাখতে সাহায্য করবে।