মন ভরে ভাত খান ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে, শুধু বদলে ফেলুন রান্নার পদ্ধতি
- FB
- TW
- Linkdin
যখন বাড়িতে মনের মত পদ রান্না হয়, যেমন খাঁসির মাংস, বা প্রিয় ইলিশ মাছ ভাপা সেদিন কি আর অত মেপে ভাত খাওয়া সম্ভব হয়। এ ছাড়া বিরিয়ানি, পোলাও, ফ্রাইড রাইস, মনচুরিয়ান রাইস এ সব তো আছেই। তবে এখন চাইলেই আপনি মন ভরে ভাত খেতে পারবেন। ওজন বৃদ্ধির ভয় না করেই।
প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কার বিজ্ঞানীদের দল ভাত রান্না এবং খাওয়ার একটি উপায় খুঁজে পেয়েছে, যা চালে উপস্থিত ক্যালোরিগুলি হ্রাস করে। এই পদ্ধতিটি বিশ্বব্যাপী ভাইরাল হচ্ছে। আপনি যদি এইভাবে ভাত রান্না করে খাওয়ার অভ্যাস করেন তবে ভাত খেয়ে আপনি কখনই মোটা হবেন না।
ভাত রান্নার সময় তাতে ১-২ চামচ বাদাম বা নারকেল তেল দিয়ে দিন। এরপর ভাত পুরোপুরি ঠান্ডা হতে দিন।
এই সময় চালে থাকা অ্যামাইলোজ নামক এক পদার্থ ভাত থেকে পৃথক হয়ে যায়। ভাত ঠান্ডা হয়ে গেলে তা ১২ ঘন্টার জন্য ফ্রিজের মধ্যে রেখে দিন।
এই সময়ে এই অ্যামাইলোজের অণু হাইড্রোজেন বন্ধন গঠন করে, যা সাধারণ স্টার্চটিকে নিবন্ধিত স্টার্চে পরিণত করে। আপনার শরীরে উপস্থিত এনজাইমগুলির জন্য এই স্টার্চ হজম করা সহজ।
সুতরাং আপনি যখন ১২ ঘন্টা পরে এই ভাত খাবেন, এতে উপস্থিত স্টার্চ আপনার অন্ত্রের উপস্থিত ব্যাকটিরিয়াকে মেরে কম ক্যালোরি ক্যালোরি উৎপন্ন করবে।
এর আর একটি বড় সুবিধা হল এই ভাত খাওয়ার পরে, আপনার অন্ত্রের ব্যাকটিরিয়া তাদের সংখ্যা বাড়ায় যা আপনার পেট সুস্থ রাখে এবং আপনার পরিপাক ক্রিয়া দ্রুত করে।
তাই এই উপায়ে ভাত খেলে আপনার দেহে বেশি ক্যালোরি বার্ন হবে এবং শর্করাও শরীরে বৃদ্ধি পায় না। বিজ্ঞানীদের দাবি করেছেন যে এভাবে রান্না করা চাল খাওয়া এতে উপস্থিত ৫০-৬০ শতাংশ ক্যালোরি হ্রাস করে। যা ওজন বাড়ার ঝুঁকি কমায়।
এই উপায়ে আপনি যদি দীর্ঘদিন ধরে এমন রান্না করা ভাত খান তবে এর ফলে আপনার ওজন বৃদ্ধি নিয়ে কোনও চিন্তা থাকবে না।
প্রয়োজেন চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই পরামর্শ করবেন। ভাত আপনার শরীরের জন্য উপযুক্ত কি না, তা জেনে নেওয়া প্রয়োজন।