কিডনির সমস্যা মানেই বিপজ্জনক, জেনে নিন কিভাবে সুস্থ রাখবেন গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গ
বিশ্বব্যাপী প্রতি দশ জনের মধ্যে একজন কিডনি বা বৃক্ক রোগে ভুগছেন। উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসের কারণে কিডনির সমস্যা ও ঝুঁকি দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আরও সতর্কতার প্রয়োজন। অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস নিয়মিত করতে হবে। এছাড়াও সময়ে সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কিডনিতে সমস্যা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের অনেকগুলি অংশও ক্ষতিগ্রস্থ হতে শুরু করে। প্রস্রাবে, রক্ত, পা ও চোখ ফোলা, ক্লান্ত বোধ, শ্বাসকষ্ট হওয়া, উচ্চ রক্তচাপ অনুভব করা, প্রস্রাবের পরিমাণ হ্রাস হওয়া এবং শরীরে ফোলাভাব কিডনিতে সমস্যার প্রধান লক্ষণ।
- FB
- TW
- Linkdin
কিডনি কয়েক মিলিয়ন মাইক্রো ফাইবার দিয়ে তৈরি। এই তন্তুগুলিকে নেফ্রন বলা হয়। তাদের কাজ রক্ত পরিশুদ্ধ করা।
নেফ্রনগুলিতে সমস্যা সৃষ্টির কারণে বেশিরভাগ সময় কিডনিতে সমস্যা দেখা দেয়।
যদি কোনও কারণে নেফ্রনগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তবে রক্ত সঠিকভাবে পরিষ্কার হয় না।
রক্ত পরিশুদ্ধ হওয়ার সময়, রক্তে উপস্থিত ক্ষতিকারক উপাদানগুলি এবং দেহে অতিরিক্ত জল ইউরিন হিসাবে ফিল্টার হয়ে যায়।
ইউরেটারের ২ টি টিউব কিডনির সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। ইউরেটার দিয়ে রক্ত পরিষ্কার হয় এবং তার অবশিষ্টাংশ মূত্রাশয় পর্যন্ত পৌঁছায়।
প্রতিরোধের উপায়-
কিডনির সমস্যা এড়ানোর অনেক উপায় রয়েছে। নিয়মিত যোগব্যায়াম করার মাধ্যমে এই রোগের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এছাড়াও, ধূমপান এবং অ্যালকোহল সেবন বন্ধ করতে হবে।
এছাড়া, ফাস্ট ফুডের পরিবর্তে পুষ্টিকর খাবার রাখতে হবে ডায়েটে। ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে প্রায়শই লোকেরা পেইনকিলার খায়। তবে কিডনিতে সমস্যার ক্ষেত্রে এই ধরনের ওষুধ এড়িয়ে চলতে হবে।