মাঝে মধ্যেই আঙুল মটকাচ্ছেন, শরীরের কতটা ক্ষতি করছেন জানেন
নিজের অজান্তে আনমনে, কখনও আবার শুধুমাত্র অভ্যেসের বশে অনেকেই আঙুল মটকান। চুপ চাপ বসে থেকেও আঙুল মটকাতে দেখা যায় অনেককে। কাউকে আবার গভীর চিন্তায় মগ্ন থাকা অবস্থাতেও আঙুল মটকাতে দেখা যায়। আঙুল ফাটিয়ে মজা পান অনেকেই। যেন মনে হয় আঙুলগুলোতে যে জড়তা ছিল তা মটকানোর পরই অনেক স্মুথ হয়ে গেল। কিন্তু, মনে আনন্দ হলেও এভাবে আখেরে নিজেরই ক্ষতি করছেন। কারণ আঙুল মটকানো একেবারেই ভালো নয়। এর থেকে শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
| Published : Aug 27 2021, 03:38 PM IST / Updated: Aug 27 2021, 09:21 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
আঙুল মটকানোর সঙ্গে সঙ্গে মটমট আওয়াজ হয়। যা অনেকেরই পছন্দের। কেউ তো আবার খেলার ছলেই এগুলো করে থাকেন। এমনকী, কার আঙুলে কত বেশি আওয়াজ হয় তা নিয়ে বন্ধু বা ভাই-বোনের সঙ্গে প্রতিযোগিতাতেও নামেন অনেকেই। কিন্তু, এটা একেবারেই ঠিক নয়। এভাবে সব সময় আঙুল মটকানোর ফলে আপনার আঙুলের সঙ্গে সঙ্গে শরীরের নানান ক্ষতিও হতে পারে।
আসলে আঙুল মটকানোর সময় আমরা আঙুলে চাপ দিয়ে মোচড় দিই। সাধারণত কোনও চাপ ছাড়া আঙুলের মোচড়ানো একেবারেই সম্ভব নয়। আঙুল হাড়ের যে সন্ধিগুলি থাকে তার চারপাশে এক ধরনের তরল থাকে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ওই তরলকে সাইনোভিয়াল ফ্লুইড বলা হয়।
আঙুল মটকানোর জন্য যখন আমরা আঙুলে চাপ দিই তখনই অস্থিসন্ধিগুলি স্বাভাবিক অবস্থান থেকে সরে যায়। আর এর ফলে ওই তরলের মধ্যে তৈরি হয় বুদবুদ। যা তৈরি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ফেটে যায়। সেই আওয়াজই আমাদের কানে আসে। মটমট শব্দ কোনওভাবেই হাড়ে হাড়ে ঘষা লাগার ফলে হয় না। আর এটাই হল মটমট শব্দের আসল কারণ।
অনেক্ষণ ধরে হাতের কোনও কাজ করার পরই অনেকে আঙুল ফাটিয়ে এভাবে আঙুলের জড়তা কাটান। আসলে এভাবে আঙুল মটকানোর ফলে খানিকটা আরাম পাওয়া যায়। সেই কারণে অনেকেই নিজের ইচ্ছেমতো আঙুল মটকান।