ছেলেরা না মেয়েরা, ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন কারা বেশি, কী বলছেন চিকিৎসকেরা
ক্যান্সার নামটি শুনলেই যেন বুকটা কেঁপে ওঠে। কারণ একটাই এই মারণ রোগে আক্রান্ত হলেই মৃত্যু পর্যন্ত হয় অনেকেরই। গোটা বিশ্বজুড়ে এই রোগের ত্রাসে ভীত কমবেশি সকলেই। সমীক্ষা বলছে ৬ টি মৃত্যুর মধ্যে ২ টি মৃত্যুর কারণই এই ক্যান্সার। ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা অনেক বেশি ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। স্তন ক্যান্সার নিয়ে নানান ভুল ধারণা রয়েছে সকলের মধ্যে। জেনে নিন কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
- FB
- TW
- Linkdin
সম্প্রতি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্তের ঝুঁকি ও সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে । শুধু তাই নয় ব্রেস্ট ক্যান্সার নিয়েও ভ্রান্ত ধারণা ছড়িয়ে পড়েছে সকলের মধ্যে। তবে ভুল দিকে কান না দিয়ে সত্যি-মিথ্যা জানা সবার আগে জরুরি।
ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা অনেক বেশি স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। সম্প্রতি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্তের ঝুঁকি ও সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে ।
প্রথমত, স্তন ক্যান্সার হলেই লাম্প দেখা যায় স্তনে। তবে স্তনের মধ্যে কোনও লাম্প দেখা দিয়েছে মানেই সেটা যে ক্যান্সার, তা কিন্তু কখনই নয়।
যারা স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন এবং প্রথম স্টেজে থাকেন সেক্ষেত্রে তাদের কোনও লাম্প হয় না। বরং অনেক ক্ষেত্রেই রোগী কোনও লাম্প অনুভবও করতে পারেন না।
বংশগতভাবে যাদের পরিবারের কেউ স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে না থাকেন অনেকেই ভাবেন তিনি এই মারণ রোগ থেকে মুক্ত। কিন্তু মহিরালাই বেশি করে এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
স্তন সার্জারি করলে এই ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে , তা মোটেই নয়। যে কোনও কারণেই স্তন ক্যান্সার হতে পারে।অনেকেই মনে করেন তার দেওয়া অন্তর্বাস পরলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই তথ্যের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
অল্প বয়সী মহিলাদের স্তন ক্যানসার হয় না এরও কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই। বেশিরভাগ মহিলারাই এই রোগে আক্রান্ত হন। তবে তাঁদের বয়স ৪০-এর উপরে। কম বয়সের মেয়েরাও স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারেন।
ব্রেস্ট ক্যান্সারে শুধু মেয়েরাই নন, বরং ছেলেরাও আক্রান্ত হচ্ছেন।গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বার্ধক্যে থাকা পুরুষদের মধ্যেই এই স্তন ক্যান্সার বাসা বাঁধছে।
স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার প্রথম ধাপে ধরা পড়লে তাহলে বাঁচানো সম্ভব। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা পরের দিকেই ধরা পড়ে। কেমোথেরাপি ও রেডিয়েশন থেরাপিতে স্তন ক্যান্সার সারানো যায়।
জেনেটিক সূত্র ধরেই স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন পুরুষরা। গবেষণা মতে, ১৫-২০ শতাংশ পুরুষই বংশানুক্রমিক ভাবেই স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন।শরীরে ইস্ট্রোজেন ও অ্যান্ড্রেজেনের তারতম্যের কারণেই পুরুষের শরীরে এই রোগের জীবাণু থাকে।