জীবনযাত্রায় আনুন এই ১০ পরিবর্তন, সুস্বাস্থ্যের সঙ্গে বজায় থাকবে যৌবনের চটক
বয়স ৩০ এর কোটায় পা দেওয়া মানে একের পর এক রোগ বাসা বাঁধে শরীরে। একদিকে ডায়াবেটিস, প্রেসার অন্য দিকে হার্টের সমস্যা কিংবা কিডনির সমস্যা। এছাড়া নিত্য দিনের হজমের সমস্যা আর মেয়েদের একাধিক গাইনো সমস্যা তো আছেই। শরীর অসুস্থ থাকলে তার প্রভাব পড়ছে চেহারাতেও। শারীরিক জটিলতার জন্য অকালপক্কতা যেমন দেখা দিচ্ছে, তেমনই চেহারায় দেখা দিচ্ছে বয়স্ক ছাপ। অল্প বয়সেই অনেকে হারিয়ে ফেলছেন যৌবনের চটক। কিন্তু, জানেন কী এই সব খারাপ হয় আমাদেরই দোষে। অত্যাধিক স্ট্রেস সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রেস্তোরাঁর খাবার আর বেশ কিছু খারাপ অভ্যেসের জন্য বাড়ছে শারীরিক জটিলতা। আর রইল ১০টি টোটকা। মেয়েরা সুস্থ থাকতে মেনে চলুন এগুলো। জীবনযাত্রায় এই ১০ পরিবর্তন সুস্বাস্থ্যের সঙ্গে বজায় থাকবে যৌবনের চটক।
- FB
- TW
- Linkdin
আজকাল অধিকাংশ মেয়েরাই কর্মরতা। তাই সকাল থেকে উঠে সংসার সামলে অফিস যেতে হয়। সারাদিন অফিস আর সংসার এক সঙ্গে সামলাতে গিয়ে নিজের জন্য সময় পান না। এই কারণে অজান্তে যে আপনারই ক্ষতি হচ্ছে তা খেয়াল করেছেন? সুস্থ থাকতে চাইলে ব্যস্ত জীবন থেকে নিজের জন্য ৩০ থেকে ৪০ মিনিট বের করুন। এই সময় এক্সারসাইজ করুন।
বিশেষ নজর দিন খাদ্যতালিকায়। অধিকাংশ রমণীরাই নিজের খাবার দিকে খেয়াল রাখেন না। এতে হতে পারে বিপদ। সঠিক পুষ্টির অভাবে শরীরে দেখা দিতে পারে নানান জটিলতা। রোজ খাদ্যতালিকায় রাখুন সবজি ও ফল। এতে শরীর যেমন সুস্থ থাকবে তেমনই বজায় থাকবে যৌবনের চটক।
প্রচুর পরিমাণে জল খাবেন। দিনেট ৭ থেকে ৮ গ্লাস জল খান। শরীরে জলের অভাব ঘটলে দেখা দেয় নানা রকম জটিলতা। রোজ পর্যাপ্ত জল খান। তাহলে শরীরের সঙ্গে ত্বকও উজ্জ্বল হবে। আর প্রস্রাবের হলুদ রং দেখলে উপেক্ষা করবেন না। শরীরে জলের ঘাটতি হলে এমন লক্ষণ সবার আগে চোখে পড়ে। যদি দেখেন প্রস্রাবের সময় জ্বালা অনুভব হচ্ছে তাহলে বেশি করে জল খান। শরীরে জলের ঘাটতি হলে হয় এমন সমস্যা।
সপ্তাহান্তে মাঝে মধ্যেই থাকে পার্টি। আর পার্টি মানের রঙিন জলের ফোয়ারা। অন্য দিকে কাজের চাপ থেকে মুক্তি পেতে ধূমপান করে থাকেন অনেক মহিলা। সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর জীবন পেতে চাইলে মেনে চলুন এই টোটকা। মদ্যপান ও ধূমপানের জন্য শরীরে যেমন ক্ষতি হয় তেমনই ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে যায়। মেনে চলুন এই বিশেষ টোটাক।
সুস্থ থাকতে চাইলে স্ট্রেস মুক্ত জীবন যাপন করুন। অফিসের কাজ, পরিবারের চাপের কারণে স্ট্রেসের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। এই স্ট্রেস একাধিক রোগের কারণ। স্ট্রেস থেকে মুক্তি পেতে চাইলে রোজ মেডিটেশন করুন। সুস্থ জীবন পেতে চাইলে চিন্তা মুক্ত থাকার চেষ্টা করুন। এবার থেকে মেনে চলুন এই টোটকা। রোজ মেনে চলুন এই টোটকা।
সঠিক প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন। ত্বক ও চুলের যত্ন নিতে আমরা সকলেই মেনে চলি নানান টোটকা। বাজার চলতি নানান প্রোডাক্ট ব্যবহার করি সকলে। কিন্তু, ত্বকের জন্য সঠিক প্রোডাক্ট বেছে নিন। ভুল প্রোডাক্ট ব্যবহারে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে দ্রুত। তাই ত্বকের জন্য সঠিক প্রোডাক্ট বেছে নিন। তা না হলে হতে পারে সমস্যা।
বাচ্চার হওয়ার পর সঠিক যত্ন নিন। বাচ্চা হওয়ার পর শরীরের নানান পরিবর্তন হয়। এই সময় সঠিক খাদ্যগ্রহণ করুন। এমন খাবার খান যা শরীর সুস্থ করবে। বাচ্চা হওয়ার পর সঠিক যত্ন না নিলে শরীরে নানান রকম জটিলতা দেখা যায়। এবার থেকে মেনে চলুন বিশেষ টোটকা। বাচ্চা হওয়ার পর শরীরের সঠিক যত্ন নিন।
প্রোটিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি ও ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার খান। সুস্থ থাকতে চাইলে এই সকল খাবার খেতে পারেন। এতে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। সুস্থ থাকতে চাইলে রোজ খান উপকারী খাবার। প্রোটিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি ও ভিটামিন ডি শরীর সুস্থ রাখবে।
মনে রাখবেন দোকানের খাবার নয়। যতটা সম্ভব কম দোকানের খাবার খান। এতে শরীর থাকবে সুস্থ। দোকানের খাবারে অধিক নুন ও চিনি থাকে। যা শরীরে জটিলতা বৃদ্ধি করে। এবার থেকে মেনে চলুন এই টোটকা। চেষ্টা করুন বাড়ির খাবার যতটা সম্ভব বেশি খেতে। স্বাস্থ্যকর খাবার খান। তবেই শরীর সুস্থ থাকবে সঙ্গে যৌবন ধরে রাখতে পারবেন।
ডাক্তারি পরামর্শ নিন সব সময়। কোনও জটিলতা ফেলে রাখবেন না। এতে বাড়তে পারে জটিলতা। সঠিক সময় চিকিৎসা করলে তবেই সুস্থ থাকা সম্ভব। সব সময় মনে রাখুন এই টোটকা। ডাক্তারি পরামর্শ মেনে চলুন। বয়স ৩০ এর কোটায় পা দেওয়া মানে একের পর এক রোগ বাসা বাঁধে শরীরে। একদিকে ডায়াবেটিস, প্রেসার অন্য দিকে হার্টের সমস্যা কিংবা কিডনির সমস্যা। তাই সব সময় ডাক্তারি পরামর্শ মেনে চলুন।