- Home
- Lifestyle
- Health
- সি সেকশনের পর মেনে চলুন চিকিৎসকের পরমার্শ, সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামা করতে মাথায় রাখুন এই টিপস
সি সেকশনের পর মেনে চলুন চিকিৎসকের পরমার্শ, সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামা করতে মাথায় রাখুন এই টিপস
গর্ভধারণ করা বা মা হওয়া প্রতিটি মেয়ের জীবনের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ও আনন্দের সময়। গর্ভধারণের পর থেকে সন্তান জন্ম দেয়ার এই দীর্ঘ সময় সন্তানের কথা ভেবে থাকতে হয় খুব সাবধানে। এমন একাধিক সাবধানতা মেনে চলতে হয় সন্তানের জন্মের পরও। সন্তানের জন্ম দিতে সি সেকশন করানোর পর দেখা দেয় আরও অনেক জটিলতা। বর্তমানে সি সেকশনে ওপর ভরসা করে থাকেন চিকিৎসকরা। কিন্তু, এই পদ্ধতিতে সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর মেনে চলতে হবে বিশেষ নিয়ম। অপারেশনের কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত সিঁড়ি দিয়ে ওঠা নামা করার পরামর্শ দেন না চিকিৎসকরা। এই সময় শরীর পুরোপুরি সুস্থ হওয়া প্রয়োজন। তবে, নির্দিষ্ট সময় পর সিঁড়ি দিয়ে ওঠা নামা করার সময় মেনে চলুন এই বিশেষ টিপস।
- FB
- TW
- Linkdin
কারও সাহায্য ছাড়া একা একা সিঁড়ি দিয়ে ওঠা নামা করবেন না। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তবেই সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামা করুন। কিন্তু, ভুলেও একা একা হাঁটবেন না। এই সময় শরীর দুর্বল থাকে। তাই পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। সে কারণে কারও সাহায্য নিন। একা সিঁড়ি দিয়ে না ওঠাই ভালো।
তাড়াহুড়ো করবেন না একেবারেই। হতেই পারে আপনার বাড়িতে ঘর এমন স্থানে যে আপনাকে সিঁড়ি ভাঙতেই হবে। এমন হলে খুব আসতে আসতে যাওয়া-আসা করুন। যতটা পারবেন কম হাঁটা-চলা করুন। আর অবশ্যই কারও সাহায্য নিন। সতর্ক না হলে পড়তে পারেন বিপদে। এই সময় আসতে হাঁটা চলার পরমর্শ দিয়ে থাকেন সকলকে।
ভাঙা সিঁড়ি বা উঁচু সিঁড়ি দিয়ে একেরবারে ওঠা নামা নয়। এই কথা মাথায় রাখুন। এতে বাড়তে পারে শারীরিক জটিলতা। অপারেশনের কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত সিঁড়ি দিয়ে ওঠা নামা করার পরামর্শ দেন না চিকিৎসকরা। এই সময় শরীর পুরোপুরি সুস্থ হওয়া প্রয়োজন। তারপর সিঁড়ি দিয়ে উঠলেও এই ধরনের সিঁড়ি এড়িয়ে চলুন নিজের স্বাস্থ্যের জন্য।
হতেই পারে হাঁটতে গিয়ে আপনার আঘাত লেগেছে। এমন হলে তৎক্ষণাত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আঘাত লাগলে ফেলে রাখবেন না। এই সময় বিশ্রাম নিয়ে এই সময় শরীর পুরোপুরি সুস্থ হওয়া প্রয়োজন। তাই যতটা পারবেন বিশ্রাম করুন। আর সামান্য শারীরিক জটিলতা অনুভব করলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সুস্থ থাকতে এই কয়টি জিনিস মেনে চলুন। সঙ্গে সঠিক খাওয়া দাওয়া করুন। এই সময় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া খুবই প্রয়োজন। রোজ খাদ্যতালিকাতে রাখুন সবজি ও ফল। পর্যাপ্ত খাবার শরীর রাখবেন সুস্থ। এই সময় ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজের মতো উপাদান রাখুন তালিকাতে। তবেই তাড়াতাড়ি সুস্থ হওয়া সম্ভব।
অপারেশনের পর ভালো মতো বিশ্রাম করুন। এই সময় বাচ্চার দিকে খেয়াল রাখতে গিয়ে নিজের কথা ভাবেন না অনেকে। এতে শরীরে মারাত্মক ক্ষতি হয়। তাই অপারেশনের পর সঠিক বিশ্রামের প্রয়োজন। সঙ্গে সঠিক সময় খাবার খান। এই সময় বাচ্চার সঙ্গে মায়ের শরীরের যত্ন নেওয়া খুবই দরকার।
অনেকের অপারেশনের পর জ্বল আসে। এমন হলে নিজে না জেনে কোনও ওষুধ খাবেন না। জ্বর এলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এই সময় ছোট ছোট জিনিস উপেক্ষা করবেন না। এতে জটিলতা বৃদ্ধি পেতে পারে। খুবই সতর্ক থাকুন অপারেশেনর পর।
বর্তমানে সি সেকশনে ওপর ভরসা করে থাকেন চিকিৎসকরা। কিন্তু, এই পদ্ধতিতে সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর মেনে চলতে হবে বিশেষ নিয়ম। থাকতে হবে সতর্ক। যদি দেখেন কাটা জায়গা লাল হয়ে যাচ্ছে বা ফুলে যাচ্ছে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ক্ষত ঠিক করতে ওষুধ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। তা সত্ত্বেও কোনও জটিলতা দেখলে ফেলে রাখবেন না।
অপারেশেনর পরে বুকে ব্যথা ও শ্বাস নিতে সমস্যা হয় অনেকের। এক্ষেত্রে সতর্ক হন। তৎক্ষণাত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আর এই সময় নির্দিষ্ট কিছু সপ্তাহ চিকিৎসকের পারমর্শ মেনে চলুন। তা না হলে কাটা স্থানে সংক্রমণ হতে পারে। এই সময় সতর্ক থাকুন। তা না হলে সমস্যা বড় আকার নিতে পারে।
যোনি থেকে রক্তপাত হলে উপেক্ষা করবেন না। অপারেশনের এমন হওয়া স্বাভাবিক কি না, তা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তাই নতুন মায়েরা এই সময় সতর্ক থাকুন। কোনও ভুল পদক্ষেপ নেবেন না। বিশ্রাম করুন এই সময় । তা না হলে সমস্যা বড় আকার নিতে পারে। যোনি দিয়ে রক্তপাত হলে তা উপেক্ষা করবেন না।