- Home
- Lifestyle
- Health
- Blood Donor Day 2022: দুর্বল শরীরে রক্তদানে বাড়বে জটিলতা, জেনে নিন কাদের রক্তদান করা অনুচিত
Blood Donor Day 2022: দুর্বল শরীরে রক্তদানে বাড়বে জটিলতা, জেনে নিন কাদের রক্তদান করা অনুচিত
রক্তদানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বিশেষ মানবিকতার দিক। মানবিক ব্যক্তিদের সম্মান জানাতেই প্রতি বছর ১৪ জুন পালন করা হয় Blood Donor Day। এই দিনে রক্তদারের গুরুত্ব প্রসঙ্গে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হয়। রক্ত দানকে জীবনদানকারী উপাহার হিসেবে বিচার করা হয়। বিভিন্ন অস্ত্রোপচারের সময়, রোগীর জটিল অসুখের থেকে মুক্তি সময় প্রয়োজন হয় রক্তের। তাই প্রাণ বাঁচাতে প্রতিটি ব্যক্তির রক্ত দান করা উচিত। কেমনই বিশেষজ্ঞার মতে, একজন ব্যক্তির দুই মাস বা ৫৬ দিনে একবার রক্ত দেওয়া উচিত। এতে একদিকে যেমন তার শরীর সুস্থ থাকবে। তবে, সব ব্যক্তি রক্তদান করতে পারেন না। আজ রইল রয় ধরনের রোগীর কথা। চিকিৎসকরা, এই ধরনের রোগীদের রক্তদানের অনুমতি দেন না।
| Published : Jun 14 2022, 10:46 AM IST
- FB
- TW
- Linkdin
গর্ভবতী মহিলারা রক্ত দান করবেন না। বেশির ভাগ মহিলারই গর্ভাবস্থায় অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতার সমস্যা দেখা যায়। তাই রক্তদান করলে সমস্যা বাড়তে পারে। তাই এমন সময় চিকিৎসকরা রক্তদানের অনুমতি দেন না। তাই গর্ভধারণ করলে, বা গর্ভধারণের পরিকল্পনা করা কালীন রক্তদান না করাই ভালো। এমন সময় রক্তদান করা মা ও গর্ভস্থ সন্তান উভয়ের জন্য ক্ষতিকর।
জ্বর, সর্দি, কাশি থাকলে রক্ত দান করবেন না। এতে শরীর আরও দুর্বল হয়ে যাবে। শরীরে জ্বর, সর্দি, কাশির মতো সমস্যা থাকলে এমনিই দুর্বল থাকে। আর দুর্বল শরীরে রক্তদান করা উচিত নয়। এতে শরীর অসুস্থ হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তাই রক্তদান করার আগে আপনি নিশ্চিত করুন, আপনি শারীরিক ভাবে সুস্থ কি না।
রক্তদান করার আগে নিজের ওজন প্রসঙ্গে অবগত হন। ওজন কম থাকলে রক্ত দান করা যায় না। বিশেষ করে যাদের, ৫০ এর নীচে ওজন আছে তারা রক্তচান করবেন না। এতে শারীরিক জটিলতা বৃদ্ধি পাবে। তাই সকল ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্পে রক্ত নেওয়ার আগে ব্যক্তির ওজন পরীক্ষা করে নেওয়া হয়।
আজকাল ট্যাটুর ফ্যাশন ট্রেন্ডে ইন। অনেকেই গায়ে নানা রকম নকশ করে থাকেন। তবে, এমন ট্যাটু আঁকার পর রক্ত দান করবেন না। শুধু ট্যাটু নয়, কান কিংবা নাক ফুটো করার পরও রক্ত দান করতে নেই। বিশেষজ্ঞের মতে, ট্যাটু করার অন্তত ৬ মাস পর্যন্ত রক্তদান নয়। ৬ মাস অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পর রক্ত দিতে পারেন।
১৮ বছরের নিচে রক্তদান নয়। রক্তদান করার একটি নির্দিষ্ট বয়স আছে। রক্তদান প্রসঙ্গে আইন রয়েছে। তাই যে কোনও বয়সে রক্তদন করা সম্ভব নয়। রক্তদান করতে হলে ব্যক্তির বয়স অন্তত ১৮ পার করতে হবে। বিভিন্ন অস্ত্রোপচারের সময়, রোগীর জটিল অসুখের থেকে মুক্তি সময় প্রয়োজন হয় রক্তের। তাই রক্ত দানকে জীবনদানকারী উপাহার হিসেবে বিচার করা হয়।
উচ্চ বা নিম্ন রক্তচাপ থাকলে রক্ত দান করা সম্ভব নয়। তাই ব্যক্তির প্রেসার পরীক্ষা করে নেওয়া হয় সবার আগে। প্রেসার ঠিক না থাকলে রক্তদান করবেন না। বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন ব্যক্তির দুই মাস বা ৫৬ দিনে একবার রক্ত দেওয়া উচিত। এতে একদিকে যেমন তার শরীর সুস্থ থাকবে। তেমনই তার দান করা রক্ত আরও একটি প্রাণ রক্ষা করবে।
ব্লাড সুগার থাকলেও রক্ত দান করা যায় না। এক্ষেত্রে ব্যক্তির রক্তে শর্কররা মাত্রা বেড়ে যায়। তাই রক্তদান করতে চাইলে শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকতে হবে। আজ বিশ্ব জুড়ে পালিত হচ্ছে world blood donor day। রক্তদানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বিশেষ মানবিকতার দিক। মানবিক ব্যক্তিদের সম্মান জানাতেই প্রতি বছর ১৪ জুন পালন করা হয় এই দিনটি।
এইডস থাকলেও রক্তদান করা যায় না। এক্ষেত্রে রক্তের মাধ্যমে এক ব্যক্তির থেকে অন্য ব্যক্তির শরীর রোগ প্রবাহিত হবে। তাই রক্তদান করার পূর্বে পরীক্ষা করে নিন আপনি কোনও রোগে আক্রান্ত কি না। রক্ত দানকে জীবনদানকারী উপাহার হিসেবে বিচার করা হয়। তবে, রক্তদান করার আগে ব্যক্তি সম্পূর্ণ সুস্থ কি না সে বিষয় আগে জেনে নেওয়া প্রয়োজন।
দাঁতের ডাক্তার দেখালে তার ২৪ ঘন্টার মধ্যে রক্ত দেবেন না। বিশেষজ্ঞের মতে, রক্ত দান করার সঠিক সময় আছে। ব্যক্তির শরীরে কোনও রকম জটিলতা থাকলে বা তিনি চিকিৎসাধীন থাকলে রক্তদান করা উচিত নয়। এতে একদিকে যেমন রক্ত যিনি দান করছেন তার ক্ষতি হবে, তেমনই সেই রক্ত যে ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করবে তারও ক্ষতি হতে পারে।
আজ পালিত হচ্ছে হয় Blood Donor Day। ব্লাড ট্রান্সফিউশিন পন্থার জনক হলেন অস্ট্রিয়ান বায়োলজিস্ট ও ফিজিশিয়ান ল্যাজেস্টেইনার। তিনি প্রথম আবিস্কার করেছিলেন ব্লাড গ্রুপ সিস্টেম। তাঁর জন্মদিনকে স্মরণ করতেই প্রতি বছর ১৪ জুন পালিত হয় Blood Donor Day। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO)-এর উদ্যোগেই ২০০৮ সালে দিনটি স্থির করা হয়েছিল।