করোনাভাইরাসকে হাতিয়ার করে ভারতে হত্যার নির্দেশ, জেহাদিদের জন্য বার্তা ইসলামিক স্টেটের
- FB
- TW
- Linkdin
করোনাভাইরাসের সুযোগ নিয়ে ভারতে হত্যালীলা সম্পন্ন করতে নির্দেশ দিয়েছে ইসলামিক স্টেট। ভয়েস অব ইন্দ নামে সংগঠনের একটি অনলাইন ম্যাগাজিন রয়েছে। সেই ম্যাগাজিনেই ভারত বিরোধী প্রচারকে আরো দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ভারত বিরোধী প্রচারকে আরও দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভারতীয় জেহাদি, অনুগামী বা সমর্থকদের কাছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণকে হাতিয়ার করতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে করোনাভাইরাসের বাহক হওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ভয়েস অব হিন্দ ইংরেজি ভায়ায় প্রকাশিত একটি ওয়েব ম্যাগাজিন। এই ম্যাগাজিনের ১৭ পৃষ্ঠায় 'লকডাউন' নামে বিশেষ একটি সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল। আর সেই সংস্করণে বলা হয়েছে যতবেশি সম্ভব কাফেরকে হত্যা করতে হবে।
'কাফের'কে হত্যার পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নানা ভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে এই উগ্র মুসলিম ধর্মীয় সংগঠনের সদস্য বা অনুগামীদের। পাশাপাশি নিজামুদ্দি ও দিল্লি দাঙ্গার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
হত্যালীলা সম্পন্ন করার জন্য বেশ কয়েকটি টিপসও দেওয়া হয়েছে ওনলাইন ম্যাগাজিনে। বলা হয়েছে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যার পাশাপাশি কাঁচি, হাতুড়ি, ছুরি ব্যবহার করে খুন করার কথাও বলা হয়েছে।
ম্যাগাজিনে হত্যালীলা সম্পন্ন করার জন্য গণপ্রহারের কথাও বলা হয়েছে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই এই দেশে যথেষ্ট উদ্বেগ রয়েছে। কারণ এই দেশে প্রায়শই গণপ্রহারের ঘটনা ঘটে। যানিয়ে সাম্প্রদায়িক বা রাজনীতির রঙ লাগিয়ে তোলপাড় শুরু করেদেয় বিরুদ্ধ পন্থীরা। আর ভয়েস অব হিন্দ ম্যাগাজিনের কভার পেজে ব্যবহার করা হয়েছে দিল্লি হিংসা ও নিজামুদ্দিনের ছবি।
করোনাভাইরাসের মাধ্যমেও হত্যালীলা সম্পন্ন করা যেতে পারে বলে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ম্যাগাজিনে বলা হয়েছে করোনাভাইরাসের মাধ্যমেই কাফেরদের সংখ্যা কমিয়ে আনা যেতে পারে। প্রয়োজনে সুপরা স্প্রেডার হয়ে ছড়িয়ে পড়তে হবে বলেও উদাহরণ দেওয়া হয়েছে জামাত ও মৌলানা সাদাদের নাম।
জেহাদিদের করোনাভাইরাসের বাহক হয়ে লকডাউনের সময় পুলিশদের সংক্রমিত করে দেওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছি। করোনাভাইরাসকেও অস্ত্র হিসেবে বিচেবনা করা হয়েছে এই ম্যাগাজিনে।
লকডাউন সংস্করণে জামাতের পাশাপাশি উঠে এসেছে দিল্লির হিংসার কথা। পাশাপাশি জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার শিক্ষার্থীদের গ্রেফতারের প্রতিশোধ নিতেও বলা হয়েছে।
তবে সন্ত্রাসবাদের রাষ্ট্র সংঘের রিপোর্টে বা হয়েছে কেরল ও কর্নাটকে ইসলামিক স্টেট রীতিমত সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সংগঠনের সদস্য সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানান হয়েছে। ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ময়ানমারসহ ভারতীয় উপমহাদেশে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আল কায়দার হামলার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।