হুড়মুড়িয়ে ধসে গেল পাহাড় - সেবক-রংপো রেলপথে মৃত ১, বিচ্ছিন্ন বাংলা-সিকিম, দেখুন
- FB
- TW
- Linkdin
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই মুষল ধারে বৃষ্টি নেমেছিল উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি অঞ্চলে। তারপর বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত একটানা বৃষ্টি চলেছে পাহাড়ে। আর তার জেরেই জায়গায় জায়গায় ধস নেমেছে।
মামখোলায় এলাকায় সেবক রংপো রেললাইনে নাইট শিফটে কাজ চলছিল ১০ নং টানেলে। প্রশাসন সুত্রে জানা গিয়েছে, অবিরাম বৃষ্টির জেরে আচমকাই স্থানীয় পাহাড়ি নদীর জল বেড়ে গিয়ে বৃহস্পতিবার রাত (বা শুক্রবার ভোর) দুটো নাগাদ ওই এলাকা ভাসিযে নিয়ে যায়। বেশ কয়েকজন শ্রমিক সেই থেকে নিখোঁজ ছিলেন।
এদিন ভোরে তাঁদের মধ্যে একজনকে উদ্ধার করে সিংতাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অপর এক শ্রমিকের মৃতদেহও উদ্ধার করা হয়েছে। আরও অন্তত দু'জন এখনও নিখোঁজ।
সেনা জওয়ানদের নেতৃত্বে নিখোঁজদের উদ্ধারের কাজ চলছে। স্থানীয় র্যাফটিং টিম নামানো হয়েছে। আসছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও।
এর আগে গত ১৭ জুন তারিখেও অতিবৃষ্টির জেরে এই রেলপথের ৯ নম্বর টানেলে ধস নেমেছিল। সেই ঘটনায় ২ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল। বারবার করে দুর্ঘটনার জেরে এই এলাকায় বর্ষায় কাজ করা নিয়ে ক্রমেই বাড়ছে উদ্বেগ।
অন্যদিকে টানা বৃষ্টির জেরে ধস নেমেছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কেও। কালিম্পং এবং সিকিমের লাইফলাইন বলে পরিচিত এই রাস্তাটি। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের ২৯ মাইল এলাকায় ধস নেমেছে।
এর জেরে ওই রাস্তায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে যান চলাচল। জাতীয় সড়কে এই মুহূর্তে লাইন দাঁড়িয়ে আছে সার সার গাড়ি। রাস্তা পরিষ্কার করার কাজে নেমেছে রাজ্য পূর্ত দফতর।
পূর্ত দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ধস সরিয়ে রাস্তা সাফ করার কাজ শুরু হয়েছে। তবে, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জাতীয় সড়কটি দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। তার উপর বারবার বৃষ্টি এসে এবং নতুন করে ধস নেমে কাজ যেভাবে ব্যবহত হচ্ছে, তাতে যান চলাচল কতক্ষণে স্বাভাবিক করা যাবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
ধস নেমেছে মল্লিতেও। ১০ জাতীয় সড়কের উপর মল্লি পুলিশ ফাঁড়ির কাছে ধস নেমেছে। আবার মল্লি বাজার এলাকায় ধসের ফলে বন্ধ রয়েছে সিকিম-শিলিগুড়ি রুটও।
শুধুমাত্র মল্লি-তেই নয়, গত কয়েকদিনে ছোট বড় মিলিয়ে এই জাতীয় সড়কের বেশ কয়েক জায়গায় ধস নেমেছে। রংপো সীমান্ত, ভালুখোলা এবং তারখোলা থেকেও ধস নামার খবর এসেছে। এর ফলে বিপর্যস্ত হাজার হাজার মানুষের জীবন।