চোখের জলে শেষ বিদায় ঘরের ছেলেকে, পাটনা ঝাঁপিয়ে পড়ল হাবিলদার সুনীল কুমারের শেষযাত্রায়
- FB
- TW
- Linkdin
পারস্পরিক শান্তি চুক্তি মেনে লাদাখের গালোয়ান উপত্যকা থেকে সোমবার রাতে পিছিয়ে আসছিল ভারতীয় সেনা। সেই সময় অতর্কিতে আক্রমণ হানে অপরপ্রান্তে থাকা চিনা সেনা। আত্মরক্ষার্থে পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনা। সংঘর্ষে শহিদ হন ভারতীয় সেনার ১ আধিকারিক সহ ২০ জওয়ান।
শহিদ জওয়ানদের মধ্যে ছিলেন বিহারের বাসিন্দা হাবিলদার সুনীল কুমারও।
বৃহস্পতিবার সকালে হাবিলদার সুনীল কুমারের মৃতদেহ নিয়ে আসা হয় তাঁর পাটনার বাড়িতে।
এর আগে বুধবার রাতে পাটনা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছয় সুনীলের মরদেহ। তাঁকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে সেখানে হাজির ছিলেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুনীল কুমার মোদী এবং অন্যান্য মন্ত্রীরাও। ছিলেন বিরোধী দলের নেতা তেজস্বী যাদবও।
বৃহস্পতিবার সকালে হাবিলদার সুনীল কুমারের ফুলে ঢাকা দেহ নিয়ে যাওয়া হয় পাটনা শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে তাঁর গ্রামের বাড়িতে। সেখানে তখন ছেলেক শেষ দেখা দেখতে অপেক্ষা করছিলেন বৃদ্ধ বাবা-মা। স্বামীর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকেই জ্ঞান হারাচ্ছেন স্ত্রী।
ভারত মাতার বীর যোদ্ধাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় উপড়ে পড়েছিল পাটনা শহরে। উপস্থিতি ছিলেন পাটালিপুত্রের বিজেপি সাংসদ কৃপাল যাদব।
গঙ্গার ঘাটে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় হাবিলদার সুনীল কুমারের।
ভারত মাতাকে রক্ষা করতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন সুনীল। জাতীয় পতাকায় ঢেকেই শেষ বিদায় জানান হল এই বীর যোদ্ধাকে।
শেষকৃত্যের আগে গঙ্গার ঘাটে হাবিলদার সুনীল কুমারকে গার্ড অফ অনারও দেওয়া হয়।
গালওয়ান উপত্যকায় চিনের হামলায় সুনীল সহ শহিদ হয়েছেন বিহারের মোট ৫ জন সেনা জওয়ান।