রোমাঞ্চে ভরা সোনু পঞ্জাবনের ব্যক্তিগত জীবন, দুই স্বামীর মৃত্যু পুলিশের এনকাউন্টারে
- FB
- TW
- Linkdin
৩৫ বছরের সোনু পঞ্জাবনের জন্ম পূর্ব দিল্লিতে। দক্ষিণ দিল্লির বাসিন্দা সাইদুল্লাজাবের বাড়িতে প্রথম সেক্স রেকেটের ব্যবসা ফাঁদে সোনু। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তা ছড়িয়ে পড়ে বিস্তীর্ণ এলাকায়।
মূলত দিল্লির উচ্চবত্তিরাই কাস্টোরাম ছিলেন সোনুর। সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে ওঠাবসা ছিল। তাই পুলিশ একাধিকবার গ্রেফতার করলেও হাজতে পুরতে সক্ষম হয়নি। প্রমানের অভাবে ছাড়া পেয়েছে সোনু ও তার সঙ্গীরা।
সোনুর ব্যক্তিগত জীবনও ছিল রহস্য রোমাঞ্চে ভরা। এবার নয়। দু-দুবার বিয়ে করেছিল সোনু। কিন্তু তার দুই স্বামীরও মৃত্যু হয় পুলিশের এনকাউন্টারে। দুই স্বামীও সমাজবিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত ছিল বলেই দাবি পুলিশ মহলের।
সোনুর প্রথম স্বামী হেমানু সোনু। এনকাউন্টারে মৃত্যুর পর এই গ্যাংস্টারের থেকেই সোনু নামটি গ্রহণ করেছিল গীতা অরোরা।
পরবর্তীকালে গ্যংস্টার শ্রী প্রকাশ শুক্লার ঘনিষ্ঠ সহযোগী বিজয় সিং-এর প্রেমে পড়ে সোনু। ২০০৩ সালে সোনু ও বিজয় বিয়ে করে। কিন্তু দাম্পত্য জীবন বেশি দিন স্থায়ী হয়নি সোনুর। বিয়ের অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই উত্তর প্রদেশ পুলিশের এনকাউন্টারে গড় মুক্তেশ্বরে মৃত্যু হয় বিজয়ের।
পরবর্তীকালে দীপক নামে একটি ব্যক্তির সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্কে আবদ্ধ হয় সোনু। কিন্তু সেই সম্পর্কও স্থায়ী হয়নি। অসমে গুলি করে হত্যা করা হয় দীপককে। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান সমাজবিরোধীদের প্রতি বারবার আকৃষ্ট হয় সোনু পঞ্জাবন।
রায় ঘোষণার সময় আদালত রীতিমত করোঠর মন্তব্য করে সোনু পঞ্জাবনের উদ্দেশ্যে। আদালতে বলে মহিলা হওয়ার সীমা অতিক্রম করেছে এবং কঠোরওতম শাস্তির দাবিদার।
সেক্স রেকেট চালানোর পাশাপাশি অবৈধ মানুষ কেনাবেচর অভিযোগে দিল্লির আদালত সোনুকে দোষী সাব্যস্ত করে ২৪ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি ৬৪০০০ টাকা জরিমানাও করেছে।
১৬ জুলাই দিল্লির আদালত দোষী সাব্যস্ত করেছিল তাকে। তারপরই তিহার জেলে বন্দি অবস্থায় মাথা যন্ত্রণার ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল। ভর্তি করা হয়েছিল হাসপাতালে।
রায় ঘোষণার সময় আদালত রীতিমত করোঠর মন্তব্য করে সোনু পঞ্জাবনের উদ্দেশ্যে। আদালতে বলে মহিলা হওয়ার সীমা অতিক্রম করেছে এবং কঠোরওতম শাস্তির দাবিদার।
সোনু পঞ্জাবন ও তার সেক্স রেকেটের ওপর দুটি ছবি তৈরি হয়েছে বলিউডে। নাম ভূমিকায় ছিলে রিচা চাড্ডা। ছবির নাম ফুকরে আর ফুকরে রিটার্নস।