ছবিতে দেখুন কৃষকদের ডাকা ভারত বনধ, কাল রাষ্ট্রপতির কাছে যাবে বিরোধীরা
- FB
- TW
- Linkdin
প্রস্তুতি ছিল সকাল থেকেই। মঙ্গলবার নির্ধারিত সময় রাস্তা নামে কৃষকরা। কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে বার্তা দেওয়াই ছিল তাঁদের মূল উদ্দেশ্য। আর সেই উদ্দেশ্যে তাঁরা অনেকটাই সফল হয়েছেন বলেও দাবি করছে বিক্ষোভকারী কৃষকদের একটি অংশ। বিক্ষোভকারী কৃষকদের ডাকা বনধে গোটা দেশে প্রায় মিশ্র প্রভাব পড়ছে। সাধারণ নাগরিকদের সমস্যায় ফেলতে না চেয়ে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টি পর্যন্ত বনধ ডাক দিয়েছিল তারা।
কৃষকদের এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। তারমধ্যে রাস্তায় নেমে বনধে সামিল হয়েছে বাম, কংগ্রেস, তৃণমূল, রাষ্ট্রীয় জনতা দল, ডিএমকে, শিবসেনা-সহ একাধিক দল।
কৃষকদের আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের বেশ কয়েকটি সংগঠক। বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক ইউনিয়ন কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আইনজীবীদের বেশ কয়েকটি সংগঠনই আন্দোলনকারী কৃষকদের পাশে দাঁড়ায়।
বনধের দিন সকাল থেকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেরজিওয়াল ইস্যতে তরজায় জড়িয়ে পড়ে বিজেপি ও আম আদমি পার্টি। আপের অভিযোগ কেজরিওয়ালকে গৃহবন্দি করে রেখেছে দিল্লি পুলিশ। যদিও দিল্লি পুলিশ সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে।
দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীষ সিসৌদিয়া বলেন সিংহু বর্ডারে কৃষকদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তারপর থেকেই তাঁকে বাড়িতে আটক করা হয়েছে। যদিও সেসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি দাবি করেছিলেন একটা সময় কেজরিওয়াল কৃষি বিলের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছিলেন।
আন্দোনকারী কৃষকরা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন বনধের আওয়া থেকে ছাড় দেওয়া হবে অ্যাম্বুলেন্স ও বিয়ের অনুষ্ঠানকে। সেইসমত একাধিক জায়গায় বনধ সমর্থকরা অ্যাম্বুলেন্স ছেড়ে দেন। আন্দোলন প্রতিহত করার জন্য এদিন পাল্টা তৈরি ছিল দিল্লি পুলিশ।
দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে জানান হয়েছিল কেউ যদি আইন হাতে তুলে নেয় তাহলে তা বরদাস্ত করা হবে না। আর বনধ সমর্থকদের প্রতিহত করতে এদিন সকাল থেকেই সীমানা এলাকাগুলিতে বেশি পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।
কৃষি বিল নিয়ে আবারও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে ঐক্য তৈরি হয়েছে। আগামিকার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিরা দেখা করবেন। রাহুল গান্ধী, শরদ পাওয়ার-সহ প্রথম সারির নেতৃত্বরা থাকবেন। করোনাভাইরাস প্রটোকল মেনে ৫ জনের প্রতিনিধি দল যাবে বলেই জানিয়েছেন সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি।