রূপকানোয়ারের রাজস্থান বদলে গেছে, দুই সন্তানের মা পিঙ্কির প্রেমের গল্প সেই কথাই বলছে
রূপকানোয়ারের রাজস্থান বদলে গেছে। তা আবারও প্রমাণ করলের রাজস্থানের সমাদাদি পঞ্চায়েতের প্রধান পিঙ্কি চৌধুরী। তাঁর দুই সন্তান। কিন্তু কন্যা সন্তান রেখে, পুত্র সন্তানকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ির থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। তাঁর খোঁজে উদ্বিগ্ন হয়ে পরিবারের সদস্যরা থানা পুলিশ শুরু করেদেন। তিন্তু পাঁচ দিন পর সকলকে চমকে দিয়ে গ্রামে ফিরে আসেন পিঙ্কি। জানিয়ে দেন তিনি তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্কে থাকবেন। তবে তিনি চলে যাওয়ার পর থেকেই তাঁর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে গ্রামে শুরু হয়ে যায় কানাঘুসো। তার তাতেই শিলমহর দিলেন তিনি। আর এই রাজস্থানেই ১৯৮৭ সালে স্বামীর সঙ্গে সহমরণে যেতে হয়েছিল রূপ কানোয়ারকে। যা নিয়ে গোটা দেশে রীতিমত আলোচনা হয়েছিল।
| Published : Aug 25 2020, 05:15 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
মাইকের গ্রামের বাসিন্দা সোহনলাল চৌধুরীকে নিয়ে নতুন ভাবে জীবন শুরু করতে চান পিঙ্কি চৌধুরী। দুই সন্তানের জননী তিনি। দিন পাঁচেক আগে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যান।
বারমেড়ের পুলিশ সুপার আনন্দ শর্মা জানিয়েছেন শাশুড়িকে চা বানিয়ে দিয়ে নিজের মায়ের কাছে যাবেন বলেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন। কিন্তু মায়ের বাড়িতে পৌঁছাননি তিনি। তাঁর চিন্তিত হয়েই তাঁর পরিবারের সদস্যরা পুলিশের দ্বারস্থ হয়।
সামাদরির পুলিশ আধিকারির মিঠারাম চৌধুরী জানিয়েনিয়েছেন পিঙ্কি স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়েছেন। তাঁর সঙ্গে ছিল সোহনলাল। আর পুলিশকে দেওয়া বিবৃতিতে পিঙ্কি জানিয়েছেন তিনি আগামী দিনে সোহনলালের সঙ্গেই থাকতে চান।
পাঁচ বছর আগে সামাদরির পঞ্চায়েত প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন পিঙ্কি চৌধুরী। কিন্তু নির্বাচন স্থগিত রয়েছে।
পিঙ্কির শ্বশুর বিজেপি স্থানীয় নেতা হিসেবেই পরিচিত। সামাদারির আসনটি সংরক্ষিত হওয়ায় সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছিলেন পিঙ্কি।
পিঙ্কি জানিয়েছেন তিনি নিরাপদেই রয়েছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে রয়েছে তাঁর সন্তান।
পিঙ্কি পুলিশকে জানিয়েছেন তিনি আইনগত বিবাহ বিচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত তাঁর প্রেমিকের সঙ্গেই থাকতে চান। লিভ ইন সম্পর্কে থাকতে চান বলেও স্পষ্ট করে জানিয়েছেন তিনি।
পিঙ্কি পুলিশকে দেওয়া বিবৃতি জানিয়েছেন তাঁর বিরুদ্ধে অনেক মনগড়া কথা বলা হয়েছে। যা সত্যি নয়। তিনি স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়েছেন বলেও জানিয়েদেন।
পিঙ্কির বাড়ি ছাড়ার পর থেকেই তাঁর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে গ্রাম জুড়ে আলোচনা হয়। আর পিঙ্কি চৌধুরীর বয়ান বা তাঁর ফিরে আসা সেই আলোচনাতেই শিলমহর দেয়।
পিঙ্কি চৌধুরীর ঘটনা আবারও প্রমান করল রাজস্থানে বর্তমানে অনেকটাই স্বাধীনতা পেয়েছেন মহিলারা। কারণ ১৯৮৭ সালে রূপ কারোনায়রকে মাল সিং শেখাওয়াতের সঙ্গে সহমহরণে যেতে হয়েছিল। সেই সেই সময় থেকে রীতিমত আলোচনা হয়েছিল রাজস্থানের সতীপ্রথা নিয়ে।