- Home
- World News
- International News
- সব ভ্যাকসিন-ই হতে পারে ব্যর্থ, মালয়েশিয়ার মিলল করোনা-র সবচেয়ে সংক্রামক রূপ
সব ভ্যাকসিন-ই হতে পারে ব্যর্থ, মালয়েশিয়ার মিলল করোনা-র সবচেয়ে সংক্রামক রূপ
- FB
- TW
- Linkdin
নতুন করো ভয় ধরালো করোনা। বিশ্বজুড়ে এখন করোনাভাইরাসের বিভিন্ন ভ্যাকসিন পরীক্ষার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। বিতর্ক থাকলেও ইতিমধ্য়েই নথিবদ্ধ হয়েছে রাশিয়ার টিকা। এই অবস্থায় মনে করা হচ্ছিল, অনেকদিন তো হল, আর কয়েকটা মাস পরেই হয়তো স্বাভাবিক জীবনে ফেরা যাবে। কিন্তু, সম্প্রতি মালয়েশিয়ার গবেষকরা একটি সম্পূর্ণ নতুন করোনাভাইরাসের স্ট্রেইন-এর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছেন। ডি৬১৪জি (D614G) নামে পরিচিত করোনার এই রূপাভেদটি, সাধারণ করোনার জীবানুগুলির তুলনায় অন্তত ১০ গুণ বেশি সংক্রামক বলে দাবি করেছেন মালয়েশিয় বিজ্ঞানীরা।
সবচেয়ে ভয়ের বিষয় হল, এর পিছনে ভারতীয় যোগ পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে করোনাভাইরাসের এই মারাত্মক ছোঁয়াচে রুপটি মিলেছে সেখানকার এক রেস্তোঁরা মালিকের দেহ থেকে। অতি সম্প্রতি তিনি ভারত থেকে ফিরে এসেছিলেন। নিয়ম মতো তাঁর পরের ১৪ দিন কোয়ারানটাইনে থাকার কথা ছিল। তা না করে তিনি বাইরে বের হতেই একটি এলাকায় গোষ্ঠী সংক্রমণ দেখা দিয়েছে।
ফেসবুকে মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্যবিভাগের ডিরেক্টর নূর হিশাম আবদুল্লা জানিয়েছেন, শুধু এই একটি ক্ষেত্রেই নয়, মালয়েশিয়ায় এই মুহূর্তে দুটি ক্লাস্টারের করোনার এই ভয়াল রূপটির সন্ধান মিলেছে। অন্য ক্লাস্টার-টি তৈরি হয়েছে ফিলিপাইন্স থেকে ফেরা এক বাসিন্দার দেহ থেকে। দুটি ক্লাস্টারকেই এখন কোয়ারেন্টাইন করে, সেখানে আক্রান্তদের সনাক্তকরণের কাজ চলছে।
উদ্বেগের বিষয় হল, এই ডি৬১৪জি নামের করোনার রূপভেদটির সংক্রামক ক্ষমতা সত্যিই এত বেশি হলে, ভ্যাকসিন নিয়ে এতদিন ধরে যা গবেষণা হয়েছে তার সবই ফেলে দিতে হতে পারে। যে ভ্যাকসিনগুলি বাজারে আসার জন্য প্রায় প্রস্তুত, সেগুলি এই নতুন রূপভেদটির অসম্পূর্ণ অথবা একেবারে অকার্যকর বলে প্রমাণিত হতে পারে। এমনকী ভাইরাসটির মিউটেশন বা অভিযোজন রোধ করার জন্য যে প্রযুক্তির বিকাশ ঘটানো হচ্ছে, তাকেও ব্যর্থ করে দিতে পারে করোনার এই রূপটি।
এশিয়ার আগেই অবশ্য করোনার এই রূপভেদটি এখন ইউরোপ এবং আমেরিকায় করোনার প্রধানতম রূপে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেইসব দেশের বিশেষজ্ঞরা। তবে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন বা হু বরাভয় দিয়ে বলেছে, এই স্ট্রেইন-এর সংক্রমণে মানুষ যে আরও গুরুতর রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি। 'সেল প্রেস'-এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, এই রূপ পরিবর্তনের ফলে ভ্যাকসিনগুলির কার্যকারিতাটিতে কোনও বড় প্রভাব পড়বে না।
তবে মালয়েশিয়ায় নাগরিকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে আরও যত্নবান হওয়া এবং আরও স্বাস্থ্য-সতর্কতা অবলম্বনে জন্য আহ্বান জানিয়েছে। জনগণের সমর্থন ছাড়া এই রূপান্তরিত করোনা স্ট্রেইনের সংক্রমণের যোদ ভেঙে ফেলা যাবে না বলেই জানিয়েছে মালয়েশিয় সরকার।