শুধু করোনার থাবা নয়, আইপিএল বন্ধের পেছনে রয়েছে অন্য কারণ
- FB
- TW
- Linkdin
৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছিল আইপিএল। কিন্তু ২৯ টি ম্যাচ হতে না হতেই বন্ধ করে দিতে হল প্রতিযোগিতা। কারণ বায়ো বাবল ভেদ করে একের পর এক দলে করোনার থাবা।
এই পরিস্থিতিতে প্লেয়ার, সাপোর্টিং স্টাফ সহ একাধিক সদস্যকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে নারাজ ছিল বিসিসিআই। তাই করোনার কারণ দেখিয়ে আইপিএলকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
কিন্তু আইপিএলে বন্ধ হওয়ার পেছনে কি শুধু করোনা দায়ী। করোনা অন্যতম প্রধান কারণ হলেও, একটু খতিয়ে দেখলেই জানা যাবে আইপিএল স্থগিত হওয়ার পেছনে রয়েছে অন্য কারণও।
তা হল টিআরপিতে বিরাট পতন। বার্ক-এর রিপোর্ট বলছে, এবার আইপিএলের ভিউয়ারশিপ ১৪ শতাংশ কমে গিয়েছিল। অর্থাৎ দেশ জুড়ে যখন মানুষ করোনার থাবায় নাজেহাল, তখন আইপিএল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছিল দর্শকরা।
বার্ক-এর রেটিং বলছে, আইপিএল স্থগিত না হলেও ভিউয়ারশিপ অনেকটাই কমে যেত। ২০২০ সালে আইপিএলের প্রতি ম্যাচে ভিউয়ারশিপ ৮.৩৪ মিনিট ছিল। কিন্তু এবার শেষ ১৭টি ম্যাচে ভিউয়ারশিপছিল ৬.৬২ মিনিট।
বার্ক-এর রিপোর্ট বলছে আইপিএল শুরু হওয়ার প্রথম এক সপ্তাহ ভিউয়ারশিপ ঠিকঠিকই ছিল। কিন্তু দেশ জুড়ে করোনার ভয়াবহ রূপ যত বেড়েছে ততই কমেছে আইপিএলের টিআরপি।
বার্ক-এর রিপোর্ট বলছে আইপিএল শুরু হওয়ার প্রথম এক সপ্তাহ ভিউয়ারশিপ ঠিকঠিকই ছিল। কিন্তু দেশ জুড়ে করোনার ভয়াবহ রূপ যত বেড়েছে ততই কমেছে আইপিএলের টিআরপি।
কিন্তু টুর্নামেন্ট গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ভিউয়ারশিপ কমতে থাকে। যার প্রভাব পড়ে বিজ্ঞাপনেও। ফলে রেট নিয়েও সমস্যা তৈরি হয়। ফলে সব মিলিয়ে আইপিএল বন্ধের অন্যতম কারণ টিআরপির পতনও।
এমনিতেও টুর্নামেন্ট বন্ধ হওয়ায় দু'হাজারের কোটিরও বেশি টাকার ক্ষতি হয়েছে বিসিসিআই-এর। সম্প্রচারক সংস্থাকেও বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। বার্কের রেটিং বলছে, আইপিএল স্থগিত না হলেও ভিউয়ারশিপ অনেকটাই কমে যেত। যার ফলে আরও বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারত বিসিসিআইকে।
ফলে এবার আইপিএলের যদি ভিউয়ারশিপ অনেকটাই কমে যেত তাহলে পরের বারও আইপিএল থেকে আয় অনেকটাই কমে যেতে পারত বিসিসিআইয়ের। সব দিক বিচার বিবেচনা করেই আইপিএল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌরভের বৌর্ড।