- Home
- Lifestyle
- Lifestyle Tips
- মাতৃ দিবসে গুরুত্ব দিন ১০ বিষয়, মায়ের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে রইল টোটকা
মাতৃ দিবসে গুরুত্ব দিন ১০ বিষয়, মায়ের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে রইল টোটকা
- FB
- TW
- Linkdin
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে বাসা বাঁধে একাধিক রোগ। ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা, প্রেসার থেকে শুরু করে কোলেস্টেরলের সমস্যা বাসা বাঁধে শরীরে। এর সঙ্গে দেখা দেয় হাঁটুর ব্যথা ও কোমড়ে ব্যথার মতো সমস্যা। মহিলাদের মেনোপোজের পর একের পর এক সমস্যা দেখা দেয়। এবার মা-কে যোগা ক্লাসে ভর্তি করান। যে কোনও এক্সারসাইজই রোগ মুক্ত থাকতে সাহায্য করে।
মেডিটেশন করাটা সুস্থ থাকার জন্য কতটা প্রয়োজন তা মা-কে বোঝান। তাকে কোনও মেডিটেশনের ক্লাসে ভর্তি করতে পারেন। যে কোনও কারণে অনেকেই মানসিক চাপে ভুগছেন। এর থেকে শরীরে বাসা বাঁধছে একের পর এক রোগ। এই রোগ মুক্ত থাকতে প্রয়োজন মেডিটেশন। তাই মায়ের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকতে মেডিটেশনে গুরুত্ব দিন।
নিয়মিত মায়ের হেলথ চেকআপ করান। মহিলাদের মেনোপোজের পর একের পর এক সমস্যা দেখা দেয়। এর সঙ্গে বয়স বাড়ার সঙ্গে আছেই একের পর এক শারীরিক জটিলতা। তাই নিয়মিত মায়ের হেলথ চেকআপ করান। তার শরীরে কোনও জটিলতা থাকলে চিকিৎসা করান। নিজের এই কর্তব্য পালনে ভুলবেন না।
মায়েদের জীবন কাটে বাড়ির চার দেওয়ালের মধ্যে। কিন্তু, কারওই একঘেঁয়ে জীবন ভালো লাগে না। তাই মায়ের বিনোদনের ব্যবস্থা করুন। তাকে নিয়ে সিনেমা দেখতে যান। অথবা বাড়িতে সিনেমা দেখার ব্যবস্থা করুন। সে যা করতে ভালোবাসে, তার ব্যবস্থা করুন। তার বন্ধুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার ব্যবস্থা করে দিন। মায়ের প্রতি এই টুকু কর্তব্য পালন করতেই পারেন।
অধিকাংশ বাড়িতেও রান্নার পুরো দায়িত্ব মায়েদের কাঁধে। এবার থেকে সুযোগ পেতে তাকে সাহায্য করুন। মাঝে মধ্যে অনলাইনে খাবার আনিয়ে তার রান্নায় বিরতি দিন। মায়ের ডিউটি ৩৬৫ দিন। তাই তাকে মাঝে মাঝে বিরতি দেওয়াও আপনার কর্তব্য। আর খাবার নিয়ে অকারণ বায়না করবেন না। রান্না করাও যে পরিশ্রমের কাজ সে কথা মাথায় রাখুন।
মায়ের ডায়েটের দিকে নজর রাখুন। অধিকাংশ মায়েরাই নিজের খাবার ও স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখেন না। কিন্তু, এমন হতে দেবেন না। আপনার মায়ের ডায়েট প্ল্যানে কতটা উপকারী পুষ্টিগুণ আছে, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। সুস্থ থাকতে সঠিক খাদ্যগ্রহণ করা সবার আগে প্রয়োজন। তা না হলে বাড়তে থাকে শারীরিক জটিলতা।
অফিস, তারপর বন্ধু এই সব নিয়ে আমরা এতটাই ব্যস্ত হয়ে যাই যে পরিবারকে সময় দিই না। এই ভুল কাজ বন্ধ করুন। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান। মায়ের সঙ্গে গল্প করুন, ঘুরতে যান- তাঁকে সময় দিন। দুজনের সম্পর্ক ভালো রাখার অঙ্গিকার করুন। এতে বাড়ির পরিবেশও ঠিক থাকবে।
প্রতিটি মানুষের আলাদা আলাদা ভালোলাগা আছে। সংসারের চাপে সব মায়েরা নিজেদের ভালো লাগাকে বিসর্জন দিয়ে থাকেন। এবার সময় এসেছে মায়ের সেই ভালোলাগা ফিরিয়ে দেওয়ার। আপনার মায়ের শখকে গুরুত্ব দিন। তার মনে হয়তো কোনও সুপ্ত ইচ্ছে আছে, তা পূরণের চেষ্টা করুন। এতে আপনাদের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।
আপনার জীবনের যে কোনও বিষয় আলোচনা করুন। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে মা-এর সঙ্গে কথা বলুন। ছেলে মেয়েরা বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মায়ের গুরুত্ব কমতে থাকে। অনেকেই মায়ের থেকে দূরত্ব বজায় রাখে। এবছর মাদার্স ডে-তে অঙ্গীকার নিন এই দূরত্ব দূর করার। আপনার জীবনে তার গুরুত্ব কতটা তা সব সময় মনে রাখুন।
একজন শিশুকে জন্ম দেওয়া, তাতে লালন পালন করা থেকে তার চলার পথ দেখানো- মায়ের জীবনের রয়েছে বিস্তর দায়িত্ব। প্রতিটি মানুষের জীবনের সাফল্যের পিছনে সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে তার মা। তাই বছরের এই একটা দিন ভালোবাসা ও শ্রদ্ধ জানালে হবে না। মাদার্স ডে হোক প্রতিদিন।