- Home
- Lifestyle
- Lifestyle Tips
- জীবনের যে কোনও স্তরে ঘিরে ধরতে পারে অবসাদ, জেনে নিন এর প্রাথমিক লক্ষণগুলি
জীবনের যে কোনও স্তরে ঘিরে ধরতে পারে অবসাদ, জেনে নিন এর প্রাথমিক লক্ষণগুলি
বর্তমানে বিভিন্ন ঘটনার জেরে অবসাদ বিষয়টি আলোচনার বিষয় বস্তু হয়ে উঠেছে। অনেকেই এই বিষয়ে জানতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এছাড়া এই বিষয়ে অনেকে সচেতনও হয়েছেন। কীভাবে অবসাদ একটা মানুষের জীবন নিয়ে নিতে পারে? এর চাপ কি এতটাই শক্তিশালী, যে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব হয়ে ওঠে? বিশেষজ্ঞদের মতে, আমরা প্রায়ই জীবনে কখনও না কখনও অবসাদে ভুগেছি। কখনও কাজের চাপে, কখনও চাকরির সমস্যা, কখনও সাংসারিক জীবনে অশান্তির কারণ, কখনও পড়াশুনা রেজাল্ট ভালো না হওয়া, কখনও অন্যদের থেকে পিছিয়ে পড়ার ভয়, এর থেকে জীবনের যে কোনও স্তরে যে কোনও কারণে ঘিরে ধরতে পারে এই অবসাদ।

এমন কিছু ঘটনা জীবনে ঘটে যা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। এই কারণে আমাদের মধ্যে নেতিবাচকতা বৃদ্ধি পায়। যা সেই ব্যক্তির চারপাশে কাছের মানুষ ঘিরে থাকা সত্ত্বেও নিজেকে একাকী বলে মনে করেন।
মানসিক স্বাস্থ্যকে এই রোগ এমনভাবে প্রভাবিত করে কিছু ক্ষেত্রে মৃত্যুই একমাত্র বাঁচার পন্থা হয়ে ওঠে। এই কারণে, একজন সফল ও ধনী ব্যক্তিও অবসাদে ভুগে থাকেন।
একাকীত্ব, মানসিক যন্ত্রণা, দুঃখ ধীরে ধীরে রূপ নেয় অবসাদের। যদি সময় মতো এর চিকিৎসা না হয় তবে অবসাদ মানুষকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়।
এগুলি কিছু ক্ষেত্রে শরীরের হরমোনের পরিবর্তনেও গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসাবে বিবেচিত হয়।
অবসাদের লক্ষণ- ১) বিষণ্ণতা, ২) একাকীত্ব, ৩) খুব রাগ, ৪) অসুখী ৫) দৈনিক কাজের প্রতি অনিহা ৬) বেশিরভাগ সময় মাথা ব্যথা ৭) নিজেকে অপছন্দ করা
এই ধরণের লক্ষণ যদি আপনার বা কাছের কোনও মানুষের ভিতরে দেখতে পান, তবে অবিলম্বে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ নিন।
মধ্যবিত্ত পরিবারে অনেকেই মনে করেন মনরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়া মানেই সে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে তাই চিকিৎসার প্রয়োজন। এটা একেবারেই ভুল ধারণা।
শরীরের সুস্থতার জন্য যেমন চিকিৎসকের প্রয়োজন, ঠিক একইভাবে মানসিক অসুস্থতার জন্যও চিকিৎসার প্রয়োজন। এর মানে এই নয় যার মনের চিকিৎসা হচ্ছে তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছেন।
মানসিক চাপ ও অবসাদ কাটিয়ে উঠতে প্রতিদিন প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুম, মনের কথা কাছের বা বিশ্বস্ত কোনও মানুষের সঙ্গে আলোচনা করা।
আলোচনার মাধ্যমে সমস্ত সমস্যার সমাধান সম্ভব হয়। প্রতিদিন শরীরচর্চা অথবা হাঁটুন। সেই সঙ্গে বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান।