ইন্টারনেটে কখনও এই বিষয়গুলো সার্চ করবেন না, হতে পারে বড় বিপদ
- FB
- TW
- Linkdin
ইন্টারনেট থেকে নানান ধরনের তথ্য একই জায়গায় বসেই পাওয়া যায়। আর ইন্টারনেটের এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অনেক সময় রোগ, রোগের উপসর্গ ও সমস্যা সম্পর্কে তথ্য জানার চেষ্টা করেন আজকালকার মানুষ।
গুগল থেকে তথ্য নিয়ে নিজেকেই ডাক্তার ভেবে ফেলেন কেউ কেউ। এতেই বাঁধে বিপত্তি। রোগের প্রতিরোধ, চিকিত্সা সংক্রান্ত তথ্য গুগল থেকে জেনে তা প্রয়োগ করতে গেলে চরম বিপদ আসতে পারে।
ছোটোখাটো যেকোনো বিষয়ে জানতে আমরা ইন্টারনেটের সাহায্য নিই। কিন্তু সবার আগে যাচাই করে দেখতে হবে ওই সমস্ত তথ্য আদৌ বিশ্বাসযোগ্য কিনা ।
কারণ, ইন্টারনেটে সব তথ্যই যে ঠিক তা কিন্তু মোটেই নয়। অনেক সময় একেবারে অসম্পূর্ণ তথ্য ইন্টারনেটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। আর এই সমস্ত ভুল তথ্যই অসুস্থ রোগীর স্বাস্থ্যের উপর আরও খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।
মাথা ব্যাথা সংক্রান্ত বিষয়ে যখন ইন্টারনেটে সার্চ করা হয়, তখন ইন্টারনেটে ব্রেন টিউমার বা ফ্যাটিগ সংক্রান্ত বিষয়েও সবকিছু তথ্য উঠে আসে। সেজন্য, এই সব তথ্যের মধ্যে ব্রেন টিউমারকেই অগ্রাধিকার দিয়ে বসতে পারেন অনেকেই।
আর ব্রেন টিউমারের আশঙ্কায় এভাবে বেড়ে যেতে পারে উদ্বেগবোধ, উড়ে যেতে পারে রাতের ঘুম। আর এই জাতীয় বিষয় একেবারে সাধারণ সমস্যাগুলোকে জটিল করে তুলতে পারে।
মেডিক্যাল সায়েন্সে এই রোগটিকে বলা হয় সাইবারকোন্ড্রিয়া অর্থাৎ স্বাস্থ্য সম্পর্কে অস্বাভাবিক উদ্বেগ। সেক্ষেত্রে সামান্য কাশি ও গায়ে ব্যথা হলেও গুরুতর অসুখে আক্রান্ত বলে অনেকে মনে করতে থাকেন।
রোগী বারবার ডাক্তারের পরামর্শ নেন এবং প্রায় জোর করেই অপ্রয়োজনীয় টেস্ট করানোর ব্যবস্থা করেন। যেমন সামান্য গ্যাসের কারণে বুকে ব্যাথা হলে হার্ট অ্যাটাক মনে করে ইসিজি, ইকো-র মতো পরীক্ষা করানোর জন্য অনেকেই ব্যস্ত হয়ে ওঠেন।
অবশ্য সবসময় যে এ ধরণের উদ্বেগ ইন্টারনেটের কারণে হয় তা নয়, অনেকসময় আশেপাশের লোকজনের নানান কথাবার্তায় মানুষের সুস্থ শরীর ব্যস্ত হতে পারে।
তাই কোনো মানুষ যদি সাইবারকোন্ড্রিয়া নামক রোগে ভোগেন, তাহলে এর থেকে রক্ষা পেতে হলে নিজেকে অপ্রয়োজনীয় আতঙ্ক থেকে দূরে রাখতে হবে। শরীর অসুস্থ হলে প্রয়োজনে চিকিত্সকের কাছে যেতে হবে, তাঁর পরামর্শ নিতে হবে।