রাম জন্মভূমি মন্দিরের ভূমি পুজো, রূপোর ইট গেঁথে শেষ হল ভূমি পুজো
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাম মন্দির নির্মাণের ভিত্তি স্থাপন করেছেন। রাম মন্দিরের ভিত্তি স্থাপন করা হয়েছে ১২টা বেজে ৪৪ মিনিট ৮ সেকেন্ডের মধ্যে এই সময়ে হরি সংকীর্তনের আয়োজন করা হয়েছিল। প্রধান উপাসনা শেষে মঞ্চ থেকে উঠেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এই উপলক্ষে মন্দিরের মূল উপাসনা করা হয়েছিল। সংখ্যাবিদ্যায় ৫ সংখ্যাটি বুধ গ্রহের ফ্যাক্টর হিসাবে বিবেচিত হয়। জ্যোতিষশাস্ত্রে বুধকে একটি শুভ গ্রহ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এই গ্রহটি সুখ এবং সমৃদ্ধির সঙ্গে সম্পর্কিত। মন্দিরের উপাসনার সময়,৫ টি রৌপ্য ইট স্থাপন করা হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী মোদী মন্দিরের ভিত্তি খনন করতে রূপোর শাবল এর ব্যবহার করেছেন। এই সময়ে, ভিত্তি ইটের উপর সিমেন্ট দেওয়ার জন্য সিলভার ট্রেরও ব্যবহার করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
রামলালায় সবুজ এবং জাফরান রঙের পোশাক পরানো হয়েছিল। রামলালার পোশাক মখমলের কাপড় দিয়ে তৈরি। এই পোশাকগুলিতে ৯ ধরণের রত্ন ব্যবহার করা হয়েছে।
এই ভূমি পুজো সম্পূর্ণ রীতিনিতে মেনেই করা হয়েছে এবং পুজোয় উপস্থিত পন্ডিতদেরা অযোধ্যায় বহু প্রতীক্ষিত এই ভূমিপুজোর জন্য সরযূ নদীর উপর ‘রাম কি পৈড়ী’ ঘাটটির সাজানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ভূমি পুজোয় বসে সকল উপাসনার নিয়ম মেনে এই কর্মসূচিটি সম্পন্ন করেছেন। প্রথমে তাঁর হাত ধুয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং প্রধানমন্ত্রী মোদী প্রধান জায়গায় বসে জপ করেছেন।
সেখানে উপস্থিত পন্ডিতরা যেভাবে বলছে, প্রধানমন্ত্রী মোদী এই সমস্ত রীতি পালন করেছেন। ঘট প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে মন্ত্র উচ্চারণ করা হয়েছে। ভূমি পূজনও সরাসরি সম্প্রচারিত হচ্ছে এবং সমস্ত উপস্থিতিও এটি বড় এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে সকলের দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী মোদী রাম জন্মভূমি ক্ষেত্রে পারিজাত গাছ লাগিয়েছিলেন। তিনি হনুমানগড়ীতে গিয়ে ভগবান বজরঙ্গ বালির আশীর্বাদ নিয়েছিলেন।
মূল অনুষ্ঠানের সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মাত্র পাঁচ জন । এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, আরএসএসের প্রধান মোহন ভাগবত, উত্তর প্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ অঞ্চলের সভাপতি মহন্ত নৃত্য গোপাল দাস।
রাম মন্দিরের ভূমি পুজোয় উপস্থিত প্রত্যেক অতিথির হাতে তুলে দেওয়া হবে রুপোর মুদ্রা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে রাম মন্দিরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে এবং ভূমি পুজোর কর্মসূচিও শেষ হয়েছে।