- Home
- Lifestyle
- Lifestyle Tips
- বিশ্ব বাঘ দিবস, ২০২২ সালের মধ্যে দেশে বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে ভারত
বিশ্ব বাঘ দিবস, ২০২২ সালের মধ্যে দেশে বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে ভারত
- FB
- TW
- Linkdin
উত্তর প্রদেশের লক্ষিমপুর খেড়ি টাইগার রিজার্ভে ১০০ টিরও বেশি বাঘ রয়েছে। আর পিলিভিট টাইগার রিজার্ভে ৬৫ টিরও বেশি বাঘ রয়েছে। ভারতীয় বনগুলিতে অনুকূল পরিবেশ পাওয়ার পরে বাঘের সংখ্যা বাড়ছে। তবে এর সঙ্গে বনে মানুষের ক্রমবর্ধমান হস্তক্ষেপ এদের জীবনধারায় সমস্যা সৃষ্টি করছে ক্রমাগত।
বাঘ তার মায়ের সঙ্গে আড়াই বছর থাকে। এদের বংশ বিস্তারের সময় জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত। এর পর বছরের ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারী পর্যন্ত চলে গর্ভবতী বাঘেদের সন্তান জন্ম দেওয়া। বাঘের বয়স বনে প্রায় ১০ থেকে ১২ এবং চিড়িয়াখানায় গড়ে প্রায় ১৫ বছর হয়।
সমগ্র মাংসাশী স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে ভারতবর্ষে বাঘ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রাণী। এটি তার প্রজাতির বৃহত্তম এবং শক্তিশালী প্রাণী। তিব্বত, শ্রীলঙ্কা এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ বাদে এশিয়ার অন্যান্য সমস্ত অঞ্চলে এর বিচরণ ক্ষেত্র।
ভারত, নেপাল, ভুটান, কোরিয়া, আফগানিস্তান এবং ইন্দোনেশিয়ায় বেশি সংখ্যায় এদের দেখা যায়। একটি পূর্ণবয়স্ক সুস্থ বাঘ প্রায় ১৩ ফুট দীর্ঘ এবং ৩০০ কেজি ওজনের হতে পারে। বাঘটির বৈজ্ঞানিক নাম পান্থের টাইগ্রিস। এটি ভারতের জাতীয় পশু। তাই ২০২২ সালের মধ্যে দেশে বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে ভারত সরকার।
প্রায় ৬০ শতাংশ বাঘের বাচ্চা জন্মানোর আড়াই বছরের মধ্যে অন্য বাঘের হাতে মারা যায়। একটি বাঘ যদি সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকে তবে সে ৬ থেকে ১১ টি শাবকের জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। বাঘের মৃত্যুর ১ বছর আগে থেকে তাদের দেহের লোম ঝড়ে পড়তে থাকে এবং শেষ অবস্থায় দাঁত ও পড়ে যায়।
যদি বাঘ বাচ্চা তাদের জীবদ্দশায় না মারা যায়, তবে তারা তাদের জীবদ্দশায় ৬ থেকে ১১ টা শাবককে জন্ম দিতে পারে। মৃত্যুর এক বছর আগে বাঘের চুল পড়া শুরু হয় এবং ১২ বছর বয়সে, তার মুখের শেষ দাঁতও পড়ে যায়।
২০১৪ সালের ২ মার্চে একটি বাঘকে পুরানপুর রোডের গড়ওয়া খেদা ব্রিজ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল তারপর সেটি কানপুর চিড়িয়াখানায় প্রেরণ করা হয়েছিল।
২০১৬ সালের ২৩ নভেম্বরে মাহফ রেঞ্জের মালপুর থেকে একটি বাঘ ধরা হয়েছিল এবং লখনউ চিড়িয়াখানায় প্রেরণ করা হয়েছিল।