- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- নন্দীগ্রামে 'নাটক' করে মমতার লাভ কী - এতে কোন কোন রাজনৈতিক সুবিধা পেতে পারেন তিনি
নন্দীগ্রামে 'নাটক' করে মমতার লাভ কী - এতে কোন কোন রাজনৈতিক সুবিধা পেতে পারেন তিনি
- FB
- TW
- Linkdin
লড়াকু নেত্রী মমতা
অনেকে মনে করছেন, এই ঘটনা মমতাকে ফের লড়াকু নেত্রী হিসাবে তুলে ধরবে। যেমন এখনও তিনি সভায় সভায় বলে থাকেন, বাম আমলে তাঁকে রাইটার্স বিল্ডিং থেকে চুলের মুঠিধরে সরিয়ে দেওয়ার কথা বা ডান্ডা মেরে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার কথা। সেইসব ঘটনার তালিকায় এই ঘটনা নবতম সংযোজন হতে চলেছে, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
কেন্দ্রের দিকে আঙুল
বাম আমলে মাথা ফাটা বা চুলের মুঠি ধরে বের করে দেওয়ার ঘটনা মমতাকে রাজনৈতিক দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে দিয়েছিল, তা বলাই বাহুল্য। প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়াকে নিজের দিকে টানতে পেরেছিলেন তিনি। কিন্তু, গত ১০ বছর ধরে তিনিই শাসকের আসনে। প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া এখন তাঁর বিরুদ্ধেই। এই অবস্থায় যেমন বাম আমলে প্রশাসনিক অত্যাচারের অভিযোগ করতেন মমতা, এই ঘটনায় তিনি চক্রান্তের আঙুল তুলতে পারেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের দিকে।
কর্মীদের এককাট্টা করা
রাজ্যজুড়ে এখন অগোছালো তৃণমূলের সংগঠন। অন্যান্য দল ভাঙিয়ে যেসব রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের এনে দল বাড়িয়েছিল তৃণমূল, এখন তাঁরা তো বটেই, এমনকী একেবারে ঘরের নেতা-কর্মীরাও দল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। নেত্রীর উপর 'হামলা'র এই ঘটনার অভিযোগ দলীয় কর্মীদের এককাট্টা করে দিতে পারে। দিদির উপর হামলার ঘটনায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভুলে তাঁরা ভোটের প্রচারে নামতে পারেন।
ভোঁতা শুভেন্দুর প্রচার
নন্দীগ্রামে মমতার জয় নিয়ে সংশয় রয়েছে। উল্টো দিকে রয়েছেন, তাঁরই হাতে রাজনৈতিক উত্থান হওয়া শুভেন্দু অধিকারী। ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে বহিরাগত তকমা দিয়ে পোস্টার পড়েছে বিধানসভা কেন্দ্রে। এই ঘটনার পর বাকি সব সমস্যা ভুলিয়ে এই বিষয়টিকেই মূল প্রচারের বিষয় করে তুলতে পারে তৃণমূল। শুভেন্দু অধিকারীর করা অভিযোগ সব ভোতা করে 'দিদির উপর আঘাত' এই আবেগকে মমানুষের মনে উসকে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে ঘাসফুল শিবিরের সামনে।
বড় ঝুঁকি নিলেন মমতা
কাজেই পরিকল্পিত হামলাই হোক আর রাজনৈতিক ভন্ডামি বা নাটকই হোক - এই ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক লাভ নেহাত কম নয়। ঘটনার তদন্ত চলছে। প্রাথমিক রিপোর্টে পুলিশ কিন্তু বলেছে, ঘটনাটি নিছকই দুর্ঘটনা, প্রত্যক্ষদর্শীরাও তাই বলেছেন। শেষ পর্যন্ত যদি বিরোধীদের দাবিই সত্যি বলে প্রমাণিত হয়, তাহলে কিন্তু সখাত সলিলে পড়তে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি থেকে শুরু করে বামদল বা কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধেও কিন্তু কখনও 'নাটক' করার অভিযোগ ওঠেনি। এমনকী মমতার দল থেকেই গেরুয়া শিবিরে আসা নেতা শুভেন্দু অধিকারী বা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়দের বিরুদ্ধেও নয়।