- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- Bardhaman - মুসলমানদের হাতে এল লক্ষ্মীপুজোর সামগ্রী, কী বলছেন হিন্দু পড়শিরা, দেখুন
Bardhaman - মুসলমানদের হাতে এল লক্ষ্মীপুজোর সামগ্রী, কী বলছেন হিন্দু পড়শিরা, দেখুন
- FB
- TW
- Linkdin
মিলেমিশে থাকার এক অনন্য নজির উপহার দিলেন বর্ধমানের আলুডাঙ্গার বাসিন্দারা। এদিন, এখানকার মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা, পড়শি হিন্দুদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দিলেন লক্ষ্মীপুজোর সামগ্রী।
মঙ্গলবার রাত আর বুধবার দিনভর কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। এপাড় বাংলার ঘরে ঘরে হয় এই পুজো। তার আগে ভিন ধর্মের পড়শির হাত থেকে দারুণ উপহার পেলেন এখানকার হিন্দু পরিবারের মানুষেরা।
একটি থলিতে অনেকরকম ফল। আরেকটিতে দশকর্মা ভাণ্ডারের জিনিস। আরেকটি থলিতে লক্ষ্মীপূজার অন্যান্য উপকরণ। এভাবেই পুজোর সব সামগ্রি হিন্দুদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তুলে দিলেন মুসলিম ভাইয়েরা।
এর জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছিলেন এলাকার মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী তাঁদেরও ব্যথিত করেছে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই পাড়েও অশান্তি ছড়ানোর প্রচেষ্টা চলছে। সেই চেষ্টাকে ব্যর্থ করতেই একেবারে নিজেরা হাত লাগিয়ে আলাদা আলাদা করে ফল, পূজার সামগ্রী, আলাদা আলাদা করে প্যাকেট করে রেখেছিলেন তাঁরা।
কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো এবং নবিজির জন্মদিনের সন্ধ্যায় হিন্দু ভাইবোনদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁদের হাতে সেগুলি তুলে দেন। আর হিন্দুরাও এই ভালবাসার উপহার মন থেকে গ্রহণ করেছেন। ভিনধর্মী পড়শিদের এই উদ্যোগ তাঁদের মন জিতে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষরা।
তাঁরা জানিয়েছেন, বারোমাস পাশাপাশি বাস করি আমরা। ধর্ম আমাদের আলাদা হলেও, উৎসব-আনন্দ সবার। আর এটা নতুন কিছু নয়, এখানে এমনটাই হয়ে আসছে। আরও একবার সৌভ্রাতৃত্বের নজির রাখলেন মুসলিম ভাইয়েরা।
যাঁরা এই মহান কর্মসূচির উদ্যোগ নিয়েছেন, সেই এলাকার মুসলিমরা জানিয়েছেন, ইদের সময় হিন্দু ভাইরাও তাঁদের শিমাই, লাচ্চা, ফল ইত্যাদি উপহার দেন। বস্তুত, হিন্দুদের উৎসবেও তাঁরা যোগ দেন, ইদে-কুরবানিতে তাঁদের পাশে থাকেন হিন্দুরাও। এদিন হিন্দুদের হাতে ফল ও পুজোর সামগ্রী তুলে দিয়ে দারুণ আনন্দ পেয়েছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত বর্ধমান জেলায় হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতির এই ঐতিহ্য দীর্ঘদিনের। এখানে যেমন সর্বমঙ্গলা মন্দির রয়েছে, তেমনই আছে খক্কর শাহের মাজার। এই জেলায় দুর্গাপুজোর কমিটির প্রধান হতে দেখা যায় কোনও নুরুলকে। আবার মহরম কমিটির কর্মকর্তা হন কোনও স্বপন। আলুডাঙ্গা ঐতিহ্যকেই বহন করে নিয়ে চলেছে।