সংক্ষিপ্ত
‘ঢাকা ষড়যন্ত্র মামলা’ ছিল চিত্তরঞ্জনের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন অনুশীলন সমিতির প্রধান নেতা সহ আরও অনেক বিপ্লবী। বিচারে ব্রিটিশ সরকার অনুশীলন সমিতির প্রধান পুলিন বিহারী দাশকে নির্বাসনের সাজা দেয়।
"দাতা চিত্তরঞ্জন"- ব্যারিস্টার চিত্তরঞ্জন দাশ।আইনজীবী হিসেবে ঈর্ষণীয় রোজগার করা মানুষটি একদিন সব ছেড়ে দেশের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন।একঝটকায় ছেড়েছিলেন সব শখ আহ্লাদ বিলাসীতা। বহরের ফরমায়েশি ঢাকাই ধুতি ছেড়ে পরা শুরু করেছিলেন মোটা খাদির ধুতি। গিলে করা পাঞ্জাবির বদলে গায়ে দিয়েছিলেন খাদির মোটা ফতুয়া। ৫ নভেম্বর এই আত্মত্যাগী মানুষটির ১৫১ তম জন্মদিবস। যিনি নিজের বসতবাড়িটিও দান করে দিয়েছিলেন জনসাধারণের উদ্দেশ্যে। লিখছেন অনিরুদ্ধ সরকার
১৯১০ সাল। ঢাকা ষড়যন্ত্র মামলা চলছে। গোয়ালন্দ স্টিমারের ফার্স্ট ক্লাসে বসে আছেন ব্যারিস্টার চিত্তরঞ্জন দাশ। হঠাৎ মলিনবেশ এক ব্যক্তি তাঁর সামনে এসে দাঁড়ালেন। চিত্তরঞ্জন দেখে চমকে উঠলেন। আরে এ যে তার পুরনো সহপাঠী। সহপাঠীকে দেখে চিনতে পারলেন চিত্তরঞ্জন। বন্ধুর কাছে সব শুনলেন। মেয়ের বিয়ের জন্য টাকা জোগাড় করতে গিয়ে তার ওই অবস্থা হয়েছে শুনে চোখ ছলছল করে উঠল চিত্তরঞ্জনের। সহপাঠীর দুঃখ দূর করতে মুহূর্তের মধ্যে সঙ্গে থাকা তিন হাজার টাকার অর্ধেকটা দিয়ে দিলেন চিত্তরঞ্জন। এই ছিলেন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ।এক চিরদাতা।
‘ঢাকা ষড়যন্ত্র মামলা’ ছিল চিত্তরঞ্জনের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন অনুশীলন সমিতির প্রধান নেতা সহ আরও অনেক বিপ্লবী। বিচারে ব্রিটিশ সরকার অনুশীলন সমিতির প্রধান পুলিন বিহারী দাশকে নির্বাসনের সাজা দেয়। পুলিন বিহারীর সঙ্গীদের মধ্যে কয়েকজনের নির্বাসন এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষিত হয়।এছাড়া অন্য বিপ্লবীদের বিভিন্ন মেয়াদে কারদণ্ড ঘোষিত হয়। কিন্তু চিত্তরঞ্জন দাশ এই রায়ের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে আপিল করেন। তাঁর আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে ৩ জন সাজাপ্রাপ্তের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পরিবর্তে ৬ মাসের শাস্তি হয়। অন্যদিকে আটক ৩৩ জন বন্দির মধ্যে ১১ জনের সাজা তুলনামূলক কমে যায় ।
দেশবন্ধুকে একজন দক্ষ আইনজীবী হিসাবে প্রতিষ্ঠা দিয়েছিল 'কুতুবদিয়া রাজবন্দি মামলা’।এই মামলায় ১৭ জন রাজবন্দিদের পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ছিল। চিত্তরঞ্জন দাশ মামলা নেন। মামলাটি পরিচালনার জন্য তিনি প্রায় দিন পনেরোর জন্য চট্টগ্রামে থেকে যান । দেশবন্ধু বিচারকের কাছে এই মর্মে যুক্তি পেশ করেন যে, রাজবন্দিরা পালিয়ে যাননি। তারা জেলা ম্যাজিট্রেটের কাছে কিছু যুক্তিসঙ্গত ও আইনগত দাবির জন্যে গেছিলেন। তাঁর যুক্তির দলিল শুনে অবাক হয়ে যান ইংরেজ বিচারক। বিচারক শেষ অবধি কোনো উপায় না পেয়ে বন্দিদের মাত্র দুমাসের কারাদণ্ডের সাজা দিতে বাধ্য হন। রাজবন্দিদের জন্য বিনা ফি’তে মামলা লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন চিত্তরঞ্জন।
আরও পড়ুন- Three feet long moustache- ৩ ফুটের গোঁফ রেখে তাক লাগালেন 'গোঁফ মাস্টার'
চিত্তরঞ্জন ছেলেবেলা থেকেই ছিলেন আত্মভোলা গোছের। খেতেও ভুলে যেতেন। মা মনে করালে মনে পড়ত তাঁর। কিন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন। আর অসম্ভব শ্রদ্ধা করতেন শিক্ষকদের। চিত্তরঞ্জনের তেমনই একটি গুরুভক্তির গল্প। একদিন হঠাৎ করে চিত্তরঞ্জন শুনলেন, ভবানীপুরের শিক্ষক পূর্ণ হালদারের বাড়ি নিলামের উপক্রম হয়েছে। দাম উঠেছে ছহাজার। পূর্ণ হালদার ছিলেন চিত্তরঞ্জনের শিক্ষক। গুরুজ্ঞানে পূর্ণবাবুকে শ্রদ্ধা করতেন চিত্তরঞ্জন। খবর কানে আসতেই চিত্তরঞ্জন ছহাজার টাকা দিয়ে দিলেন তাঁর একসময়ের গৃহশিক্ষক পূর্ণবাবুকে।
শিক্ষক পূর্ণবাবু জানালেন তিনি ছাত্রের কাছে টাকা নেবেন না। ‘ঋণ’ হিসেবেও তিনি ওটাকা নিতে পারবেন না। শিক্ষক মহাশয়ের কাছে একথা শুনে সসঙ্কোচে চিত্তরঞ্জন বললেন, "মাস্টারমশাই, ও-কথা একেবারে বলবেন না ওতে আমার পাপ হবে। পিতৃঋণের মতো গুরুঋণও বলেও তো একটা বিষয় আছে।"
চিত্তরঞ্জন দাশ অর্থ উপার্জনের জন্য রাজনৈতিক মামলার পাশাপাশি মাঝে মাঝে জমিদার, মহাজনদের মামলাও পরিচালনা করতেন। উপার্জিত অর্থ তিনি সর্বদা গরীব-অসহায় জনগণকে দিতেন এবং তা দিয়ে দেশপ্রেমিক বিপ্লবীদের মামলা পরিচালনা করতেন। একবার ডুমরাঁওয়ের মহারানীর মৃত্যুর পর রাজা কেশবপ্রসাদ তাঁর সম্পত্তির উত্তরাধিকার না হতে পেরে মামলা করেন। শোনা যায় এই মামলা লড়ার জন্য নাকি চিত্তরঞ্জন প্রতি মাসে একটা মোটা টাকা পারিশ্রমিক পেতেন। আর মামলায় জয়ী হওয়ার পর রাজা কেশবপ্রসাদ খুশি হয়ে চিত্তরঞ্জনকে ৫০,০০০ টাকা পারিশ্রমিক দেন।
আরও পড়ুন- Drawing on train- চক দিয়ে ট্রেনেই কৃষ্ণ ফুটিয়ে তুললেন এক শিল্পী, ভিডিও ভাইরাল
১৯২০ সালে মহাত্মা গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলনের সময় আইনসভা বর্জন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন তিনি। কিন্তু কিছুদিন পর তিনি নিজেই অসহযোগ আন্দোলনের প্রস্তাব কংগ্রেস অধিবেশনে উত্থাপন করেন এবং গান্ধীজীর ডাকে ব্যারিস্টারি পেশা ত্যাগ করে দেশ সেবায় পুরোপুরিভাবে আত্মনিয়োগ করেন। স্বয়ং ভারত সরকার একটি মামলায় প্রচলিত নজীর উপেক্ষা করে সাহেব অ্যাডভোকেট জেনারেল অপেক্ষা অধিক পারিশ্রমিক দিয়ে চিত্তরঞ্জনকে সরকারি কৌঁসুলী নিযুক্ত করেন। চিত্তরঞ্জন যেহেতু পুরোপুরিভাবে অসহযোগ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে ফেলেছেন তাই তিনি এ দায়িত্ব পরিত্যাগ করেন। এই অসামান্য ত্যাগের জন্য ভারতবর্ষের জনগণ তাঁকে ‘দেশবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করেন।
মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক পাওয়া চিত্তরঞ্জন দেশের প্রতি ভালোবাসার তাগিদে ব্যারিস্টারির মত পেশা ছাড়লেন। ছাড়লেন সব শখ আহ্লাদ। যে মানুষটি বহরের ফরমায়েশি ঢাকাই ধুতি পরতেন, তিনিই মোটা খাদির ধুতি অঙ্গে দিলেন। ফিনফিনে গিলে করা ধবধবে সাদা পাঞ্জাবির বদলে পরলেন খাদির মোটা ফতুয়া। যে মানুষটি রেলযাত্রার সময়ে গোটা কামরা রিজ়ার্ভ করতেন, তিনিই জনতার সঙ্গী হতে নেমে এলেন তৃতীয় শ্রেণিতে। ত্যাগ করলেন হুঁকোর বিলাসী টান।সব ছেড়ে গান্ধীজীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের পুরোধা হবেন বলে ঠিক করলেন।
দাতা চিত্তরঞ্জন নিজের বাড়িতে এক ডাকাতকে অবধি আশ্রয় দিয়েছিলেন। ঘটনাটি এরকম চিত্তরঞ্জন তখন সেন্ট্রাল জেলে বন্দি। বন্দি থাকাকালীন চিত্তরঞ্জনের ঘনিষ্ঠ হয় মথুর নামে এক কুখ্যাত ডাকাত। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে মথুর একদিন সিধা হাজির হল দেশবন্ধুর বাড়ি। দুঃখের কথা শোনালো। মায়ায় ভরা দেশবন্ধুর হৃদয়। তিনি মথুরকে না বলতে পারলেন না।বাড়িতে জায়গা হল ডাকাতের! ভাবা যায়।
আর একবার কি হল আত্মীয়কে ঋণের হাত থেকে রক্ষা করতে নিজে পড়লেন চরম অর্থসঙ্কটের মধ্যে। আত্মীয়কে বাঁচাতে নিজে জড়িয়ে পড়েছিলেন ঋণের জালে। পরিবারকে না জানিয়ে এক আত্মীয়কে ঋণের হাত থেকে রক্ষা করতে তিনি চরম অর্থসঙ্কটের মধ্যেও একবার ১০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন ৯ শতাংশ সুদে। আত্মীয়কে ঋণের জাল থেকে মুক্ত করেছিলেন ঠিকই কিন্তু তিনি নিজে পড়ে গেছিলেন ঋণের জালে। নির্দিষ্ট সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পর যখন ঋণদাতা ওই ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানোর জন্য নতুন চুক্তি করতে আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে এলেন, তখন কিন্তু তাঁর সেই আত্মীয় বিপুল ধনীতে পরিণত হয়েছেন। চিত্তরঞ্জন দাশ বলতেই পারতেন, তুমি এবার তোমার ঋণের বোঝা নিজের কাঁধে নিয়ে আমায় মুক্তি দাও। চিত্তরঞ্জন তা কিন্তু বললেন না। তিনি হাসিমুখে আবার সেই ঋণ পরিশোধের কাগজে দস্তখত করলেন।
চিত্তরঞ্জন দাশ অনুজ সহকর্মীদের প্রায়শই বলতেন, "তোমরা আসলে মনে করো আমাকে সকলে ঠকিয়ে যায় এবং আমি কিছুই বুঝি না, তাই না! আমাকে বোকা ভাবে সকলে। কিন্তু জানো তো, আমি সব বুঝতে পারি। কিছু বলি না। আমার কাজ দিয়ে যাওয়া, তাই দিয়ে যাই।"
পৈতৃক সূত্রে বিপুল ঋণের বোঝা ছিল চিত্তরঞ্জের ওপর। ‘দেউলিয়া’ অবধি হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল চিত্তরঞ্জন ও তাঁর পরিবারের।আপ্রাণ চেষ্টা করে বাঁচান পরিবারের মান। 'দাতা চিত্তরঞ্জনের' সবচেয়ে বড় বিষয় ছিল নিজের না থাকলেও তিনি জোগাড় করে দিতেন। বাজারের ঋণ থেকে মুক্ত হতে চেয়ে আদালতে অমানুষিক পরিশ্রম করতেন তিনি। কিছুকালযাবৎ সিটি কলেজে আইনের শিক্ষক হিসেবে পড়িয়েছিলেন। টাকা বাঁচাতে হেঁটে যাতায়াত করতেন একসময়। এমন নানা কিছুই করতে হয়েছিল সেযুগে চিত্তরঞ্জনকে।
১৯১৩সালে হাতে কিছু পয়সা এলে সব ঋণ শোধ করেন চিত্তরঞ্জন। আইনজীবী হিসেবে ঈর্ষণীয় রোজগার করতেন মানুষটি। আবার এই মানুষটিই রোজগারের পুরোটাই দাতা কর্ণের মত বিলিয়ে দিতেন মানুষজনের মধ্যে। আইনজীবী হিসেবে আলিপুর ষড়যন্ত্র মামলা ছাড়াও চিত্তরঞ্জনের জীবনের আরও কয়েকটি বাঁক ফেরানো মামলা ছিল।যেগুলি হয় ঢাকা ষড়যন্ত্র মামলা, নোয়াখালি নোট চুরি, ভূকৈলাশ জমিদারির নোট চুরি, ঢাকা ষড়যন্ত্র মামলা, লছমীপুর, বন্দেমাতরম ইত্যাদি। মামলার সওয়াল-জবাবে চিত্তরঞ্জন প্রয়োজনে ব্রিটিশ বিচারকদেরও যথেষ্ট বাক্যবাণে বিদ্ধ করতেন।
চিত্তরঞ্জন ছিলেন সাহিত্যপ্রেমিক। তিনি প্রচুর পুঁথি সংগ্রহ করেছিলেন। যা তার বাড়িতে সংরক্ষিত ছিল। তা একদিন বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদে বসে রয়েছেন দুই পুঁথি বিশেষজ্ঞ, হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ও কাব্যরত্ন শাস্ত্রী।
কাব্যরত্ন হরপ্রসাদকে বললেন, "দাশ মহাশয় তো সর্বস্ব দান করে ফেলেছেন। কিন্তু তাঁর সংগ্রহে অনেক বাংলা পুঁথি আছে। সেগুলি যদি কোনোভাবে পাওয়া যেত! " হরপ্রসাদ একথা শুনে বললেন, "কোনও মানুষ সর্বস্ব ত্যাগ করতে পারেন। কিন্তু শৌখিন জিনিস ছাড়াটা বোধহয় সহজ নয়। তবুও আপনি বলছেন যখন তখন আমি যাব।"
অত্যন্ত সঙ্কোচ নিয়ে হরপ্রসদ শাস্ত্রী দেখা করতে গেলেন চিত্তরঞ্জনের কাছে। হজির হয়ে নিজের পরিচয় দিলেন। আর বললেন, "আমি সাহিত্য পরিষদের দূত হয়ে এসেছি।" শুনে চিত্তরঞ্জন বললেন, " আমার তো এখন আর কিছুই দেওয়ার মতো নেই যা সাহিত্য পরিষদের উপকারে আসব।" হরপ্রসাদ শাস্ত্রী চিত্তরঞ্জন বললেন, " আপনি যে বহু যত্ন করে বাংলা পুঁথি সংগ্রহ করেছেন, সেগুলির কী ব্যবস্থা করবেন?"
চিত্তরঞ্জন মৃদু হাসলেন আর কালবিলম্ব না করে তাঁর পুঁথির আলমারির চাবি তুলে দিলেন হরপ্রসাদকে। পরিষদের খাতায় সেই দুষ্প্রাপ্য পুঁথিগুলি ‘চিত্তরঞ্জনের দান’ হিসেবে রয়ে গেল। চিত্তরঞ্জন অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করেছিলেন।কিন্তু দাতা চিত্তরঞ্জন একটি কাজ পারেন নি। আর তা হল গান্ধীজীর সঙ্গে চরকায় সুতো কাটতে। গান্ধী তা দেখে একদিন বললেন, ‘এ কাজে তুমি একেবারেই অযোগ্য।’ একথা শুনে চিত্তরঞ্জন মৃদু হেসেছিলেন সেদিন। ১৯২৫ সালের ১৬ জুন, দার্জিলিংয়ে মৃত্যুবরণ করেন দেশবন্ধু। মৃত্যুর আগে তিনি তাঁর পৈতৃক বসতবাড়িটি জনসাধারণের জন্য দান করে যান। সেখানে ‘চিত্তরঞ্জন সেবাসদন’ প্রতিষ্ঠিত হয়।
তথ্য ঋণ:
১|| CR Das and Indian National Movement - Dilip kumar Chatterjee
২||দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন- হেমেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত
৩ ||ভারতের মুক্তি সংগ্রামে দেশবন্ধু ও দেশনায়ক- ব্রজগোপাল রায়
৪||মানুষ চিত্তরঞ্জন- অপর্ণা দেবী
৫||বাংলায় বিপ্লবী প্রচেষ্টা- হেমচন্দ্র দাস (কানুনগো)।
৬||বারীন্দ্রের আত্মকাহিনী- বারীন্দ্রকুমার ঘোষ।
৭||দেশবন্ধু রচনাসমগ্র, মণীন্দ্র দত্ত ও হারাধন দত্ত-সম্পাদিত , ১৩৮৫ বঙ্গাব্দ।
৮||উদার জাতীয়তাবাদের দিশারি- সুগত বসু।